ইপেপার । আজ রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

গড়াইটুপিতে চুরি হওয়া ৪ লাখ টাকার সরকারি গাছ উদ্ধার

ফাঁসছেন স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন

প্রতিবেদক, তিতুদহ:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৭৮ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদ নির্মাণের নাম ভাঙিয়ে সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একজন ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। অবৈধভাবে সরকারি রাস্তার গাছ কাটার খবর পেয়ে গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বন বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ। গাছগুলো জেলা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার সামসুল আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গাছগুলো জব্দ করেন।

সূত্র থেকে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বৃহত্তর তিতুদহ ইউনিয়ন বিভক্ত হয়ে গঠিত হয় গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদ। গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হত তিতুদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম সাইদুর রহমান ছাব্দারের পুরাতন বাড়ি। গত কয়েকদিন আগে চিত্রা নদীর পাড়ে গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত জমিতে ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

গতকাল রোববার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের নাম ভাঙিয়ে গড়াইটুপি বাজার-গহেরপুর সড়কের কানাপুকুর নামক স্থান থেকে সরকারি রাস্তার তিনটি গাছ কাটছিলেন গড়াইটুপি গ্রামের সাহাজুল ইসলাম, খাড়াগোদা গ্রামের নাসির উদ্দীন, গোষ্ঠবিহার গ্রামের আদম আলী, গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার লিটু হোসেনসহ কয়েকজন। পরে অবৈধভাবে গাছ কাটার বিষয়টি অবগত হয়ে স্থানীয় যুবদলের নেতা-কর্মীরা রুখে দেয়।

পরে খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন বন বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের এসআই শফিউল ইসলাম। এরপর গাছগুলো চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত হবার কারণে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার সামসুল আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গাছগুলো জব্দ করেন। এর আগেও ইউনিয়ন পরিষদের নাম ভাঙিয়ে সরকারি রাস্তার গাছ কেটেছেন এবং কলাগাছি সরকারি খালের মাটি বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

জেলা পরিষদের কর্মকর্তা শামসুল আলম বলেন, ‘এখানে যে গাছগুলো কর্তন করেছে, তার মূল্য ৪ লাখ টাকার বেশি। এ ঘটনায় কাউকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।’ এ বিষয়ে গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আশাদুল হক লিটু বলেন, ‘গাছগুলো কর্তন করেছি নবনির্মিত ইউনিয়ন পরিষদের নির্মাণাধীন কাজের খরচ হিসেবে ব্যয় করার জন্য। তবে বিষয়টি এমন হবে জানা ছিল না। এর পিছনে অনেকে থাকলেও এখন কেউ স্বীকার করছে না।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

গড়াইটুপিতে চুরি হওয়া ৪ লাখ টাকার সরকারি গাছ উদ্ধার

ফাঁসছেন স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন

আপলোড টাইম : ০৯:৪৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদ নির্মাণের নাম ভাঙিয়ে সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একজন ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। অবৈধভাবে সরকারি রাস্তার গাছ কাটার খবর পেয়ে গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বন বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ। গাছগুলো জেলা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার সামসুল আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গাছগুলো জব্দ করেন।

সূত্র থেকে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বৃহত্তর তিতুদহ ইউনিয়ন বিভক্ত হয়ে গঠিত হয় গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদ। গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হত তিতুদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম সাইদুর রহমান ছাব্দারের পুরাতন বাড়ি। গত কয়েকদিন আগে চিত্রা নদীর পাড়ে গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত জমিতে ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

গতকাল রোববার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের নাম ভাঙিয়ে গড়াইটুপি বাজার-গহেরপুর সড়কের কানাপুকুর নামক স্থান থেকে সরকারি রাস্তার তিনটি গাছ কাটছিলেন গড়াইটুপি গ্রামের সাহাজুল ইসলাম, খাড়াগোদা গ্রামের নাসির উদ্দীন, গোষ্ঠবিহার গ্রামের আদম আলী, গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার লিটু হোসেনসহ কয়েকজন। পরে অবৈধভাবে গাছ কাটার বিষয়টি অবগত হয়ে স্থানীয় যুবদলের নেতা-কর্মীরা রুখে দেয়।

পরে খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন বন বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের এসআই শফিউল ইসলাম। এরপর গাছগুলো চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত হবার কারণে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার সামসুল আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গাছগুলো জব্দ করেন। এর আগেও ইউনিয়ন পরিষদের নাম ভাঙিয়ে সরকারি রাস্তার গাছ কেটেছেন এবং কলাগাছি সরকারি খালের মাটি বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

জেলা পরিষদের কর্মকর্তা শামসুল আলম বলেন, ‘এখানে যে গাছগুলো কর্তন করেছে, তার মূল্য ৪ লাখ টাকার বেশি। এ ঘটনায় কাউকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।’ এ বিষয়ে গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আশাদুল হক লিটু বলেন, ‘গাছগুলো কর্তন করেছি নবনির্মিত ইউনিয়ন পরিষদের নির্মাণাধীন কাজের খরচ হিসেবে ব্যয় করার জন্য। তবে বিষয়টি এমন হবে জানা ছিল না। এর পিছনে অনেকে থাকলেও এখন কেউ স্বীকার করছে না।’