জীবননগরের সোন্দাহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যাচ্ছেতাই অবস্থা
স্কুলে ওঠে না জাতীয় পতাকা, ক্লাস করান না শিক্ষকেরা- আপলোড টাইম : ০২:৪২:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
- / ২২ বার পড়া হয়েছে
জীবননগর উপজেলার সোন্দাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা ‘অবমাননার’ অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ক্লাস না করেই হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে ট্রেনিং করার নাম করে বাজারে চলে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সরকারি নির্দেশনা মতে উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল চলাকালীন সময় সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার কথা থাকলেও সোন্দাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বেশিরভাগ সময় স্কুলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন না। মাঝে মাঝে করলেও বেলা সাড়ে ১১টা অথবা বেলা ১টার দিকে উত্তোলন করেন। এছাড়া স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. মুসফিকুর রহমান রিণ্টুর বিরুদ্ধে সকাল সাড়ে ১০টায় স্কুলে এসে আবার ট্রেনিংয়ের নাম করে স্কুল থেকে চলে যাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভাবক জানান, এই স্কুলটি বহুদিন থেকে নানা অনিয়মে পরিচালিত হয়ে আসছে। স্কুলে বেশিরভাগ সময় জাতীয় পতাকা তোলা হয় না। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারে না আসলে স্কুল চালু আছে না বন্ধ আছে। প্রধান শিক্ষক তার ইচ্ছেমতো স্কুল পরিচালনা করে থাকেন। প্রধান শিক্ষক এলাকার আওয়ামী লীগ নেতার ভাইপো, সে কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারেনি। আবার স্কুলের শিক্ষকেরা তাদের খেয়াল খুশি মতো স্কুলে যাওয়া-আসা করেন। কেউ কোনো আইন মানেন না। যার ফলে এই স্কুলে শিক্ষার্থীর হারও অনেক কম।
এসব বিষয়ে মুঠোফোনে প্রধান শিক্ষক মো. শরিফ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি স্কুলে গিয়ে পতাকা উত্তোলন করে থাকি।’ কয়টার সময় পতাকা উত্তোলন করেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৯টায় গিয়ে পতাকা উত্তোলন করে থাকি। সহকারী শিক্ষক রিণ্টুর বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষক একটু জমি নিয়ে ঝামেলায় আছেন, এ জন্য বেশ কয়েকদিন আমার কাছে মৌখিকভাবে বলে স্কুল থেকে চলে যান।’
এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইসমাইল হোসেন জানান, ‘স্কুলে পতাকা উত্তোলন না করার বিষয়টি আমি জানি না। আপনি ফোন করে জানালেন, ভালো করলেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।