সকল ধর্মের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন ভাসানী
চুয়াডাঙ্গায় ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় গণফ্রন্ট সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস
ভাসানীর সংগ্রামের ইতিহাস আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে : বিএনপি নেতা শরীফুজ্জামান
- আপলোড টাইম : ০৮:৩৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩১ বার পড়া হয়েছে
মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় জেলা সাহিত্য পরিষদের হলরুমে জাতীয় গণফ্রন্ট চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় গণফ্রন্টের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সমন্বয়ক লিটু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জাতীয় গণফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মজলুম জননেতা ভাসানী ছিলেন দেশের কৃষক ও শ্রমিকের নেতা। তাঁর সংগ্রামী জীবন ও আদর্শ আজও আমাদের আন্দোলন ও গণতন্ত্র রক্ষায় প্রেরণা দেয়। তিনি ছিলেন গণমানুষের নেতা, যার নেতৃত্বে মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখেছিল।’
টিপু বিশ্বাস বলেন, ‘মওলানা ভাসানী মেহনতি মানুষের মুক্তির সংগ্রামে অগ্রসর হয়েছিলেন। তাকে বারবার জেল-জুলুম এবং অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে। তবে সংগ্রাম থেকে তিনি কখনো পিছুপা হননি। আজ মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা স্মরণ করি তাঁর অবদান এবং সংগ্রামের ইতিহাস। তিনি ছিলেন এক মহান নেতা। যিনি আজও আমাদেরকে অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে প্রেরণা দিয়ে চলেছেন।’
টিপু বিশ্বাস বলেন, ‘মওলানা ভাসানী শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন দিকনির্দেশক একজন সংগ্রামী মহাপুরুষ। যিনি সাধারণ খেটে খাওয়া কৃষক, শ্রমিকের ন্যায় জীবন অতিবাহিত করেছেন। সকল ধর্মের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন ভাসানী। একই সঙ্গে মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জীবন বাজি রেখে আন্দোলন চালিয়েছেন। তাঁর জীবন ও সংগ্রাম আমাদের শেখায়, কীভাবে দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করতে হয়। আমরা সেই নেতার আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করি। আমাদের রাজনীতি টাকা কামানোর জন্য নয়। আমরা লড়ব মানুষের অধিকার আদায়ে, প্রয়োজনে মরব।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ। তিনি বলেন, ‘আজ এমন একজন মানুষের মৃত্যুবার্ষিকীতে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, যিনি ছিলেন গণতন্ত্রের প্রতীক। আজ থেকে ৫ বছর আগে এমনই একটি সভায় একই স্থানে দাঁড়িয়ে আমি কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। তিনি যদি আজ বেঁচে থাকতেন, আমি মনে করি বাংলাদেশের মানুষ দল-মত নির্বিশেষে তাঁর নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে মানুষের কল্যাণে কাজ করতো।’
শরীফুজ্জামান বলেন, ‘মওলানা ভাসানী সারাজীবন অসহায় মানুষের পক্ষে কাজ করেছেন। তাঁর এই সংগ্রামের ইতিহাস আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। তাঁর আদর্শকে সামনে রেখে আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে হবে। মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী নামটি ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দেয়া যাবে না।’
সভায় বিশেষ অতিথি থেকে আরও বক্তব্য দেন দৈনিক সময়ের সমীকরণের প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, ন্যাপ ভাসানী চুয়াডাঙ্গা শাখার সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আরিফিন ও চুয়াডাঙ্গা বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন ওমর।
সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে মাওলানা ভাসানীর কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা করেন উদীচী চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি হাবীবী জহির রায়হান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রবীণ লেখক সংঘ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজল মাহমুদসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সংগঠনের সদস্য, কৃষক ও শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।