নির্মাণ শ্রমিকদেরর টাকা মেহেরপুর জেলা আ.লীগের সম্পাদকের পকেটে
৮ বছর পর আদালতে মামলা করলেন শ্রমিক সর্দার
- আপলোড টাইম : ০৮:১১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩২ বার পড়া হয়েছে
নির্মাণ শ্রমিকদের পাওনা প্রায় ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেননি মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক। সার্টারিং ভাড়া ও শ্রমিকদের এই মজুরির টাকা না দেওয়ায় অবশেষে আদালতের দারস্ত হয়েছেন শ্রমিক সর্দার গাংনী উপজেলার নিত্যানন্দপুর গ্রামের বাহারুল ইসলাম। আদালত তার অভিযোগটি আমলে নিয়ে গাংনী থানাকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। এম এ খালেক বর্তমানে একটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জেলহাজতে রয়েছেন।
জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেকের সাথে ২০১৬ সালে গাংনী উপজেলার নবীনপুর ও করমদি মাঠপাড়ায় দুটি বিদ্যালয়ে নির্মাণকাজের চুক্তি হয়। সে সময় নবীনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটির প্রথম তলা নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর সিঁড়ি ধ্বসের ঘটনা ঘটে। একই সময়ে করমদি মাঠপাড়ার বিদ্যালয় ভবনের কাজ সাময়িক বন্ধ রাখার আদেশ দেন এম এ খালেক। ফলে নবীনপুর ও করমদি বিদ্যালয়ের ছাদ ও সিঁড়ির কাজে ভাড়ায় আনা সার্টারিং আটকে যায়। পরে এম এ খালেক সার্টারিংয়ের ভাড়া বাবদ প্রতিমাসে ৩৮ হাজার টাকা করে ১৬ মাস ১৭ দিনের ভাড়া হিসেবে ৬ লাখ ২৭ হাজার টাকা পরিশোধে অঙ্গীকার করেন।
এদিকে, শ্রমিকদের পাওনা সাড়ে ৭ লাখ টাকার মধ্যে তিনি পরিশোধ করেন ৫ লাখ ৮১ হাজার টাকা। শ্রমিকদের মজুরি এক লাখ ৬৯ হাজার টাকা ও সার্টারিংয়ের ৬ লাখ ২৭ হাজার টাকা এম এ খালেক পরিশোধ করেননি। বারবার টাকা চাইলেও তিনি পরিশোধ না করে তালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি প্রদান করে টাকা পরিশোধে অস্বীকৃতি জানান। এক প্রকার বাধ্য হয়ে শ্রমিক সর্দার বাহারুল ইসলাম গত ৩১ অক্টোবর আমলি আদালত গাংনী বরাবর একটি অভিযোগ করেন বলে জানান। যার নম্বর- সিআর ৮৬/২০২৪, ধারা- ৪০৬/৪২০/৫০৬(২)দঃ বিঃ। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য গাংনী থানাকে আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাফিজুর রহমান জানান, আদালতের আদেশে তিনি অভিযোগটি তদন্ত করছেন। ইতোমধ্যে বাদীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেশ করতে বলা হয়েছে। সে আলোকে তিনি রিপোর্ট প্রদান করবেন। এম এ খালেক একটি মামলায় জেলহাজতে থাকায় অভিযোগের ব্যাপারে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।