চুয়াডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা নদী বাচাতে হ্যান্ডবিল বিতরণ
- আপলোড টাইম : ০৮:০৭:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
- / ৪৬ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে প্রবাহিত মাথাভাঙ্গা নদী থেকে দখল দূষণ দূর করার দাবিতে হ্যান্ডবিল বিতরণ করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে ও কোর্ট চত্ত্বরে হ্যান্ডবিল বিতরণ করা হয়। এসময় মাথাভাঙ্গা নদীতে আবর্জনা না ফেলা এবং কোনোভাবে নদী দূষণ না করা বিষয়ে শুভসংঘের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করা হয়।
হ্যান্ডবিল বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাথাভাঙ্গা নদী সুরক্ষা সংকটের কারণ এবং সম্ভাব্য করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট বদর উদ্দিন। প্রধান অতিথি ছিলেন মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী। হ্যান্ডবিল বিতরণ অনুষ্ঠানে হ্যান্ডবিলের লেখা পাঠ করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি অ্যাডভোকেট বদর উদ্দিন। আলোচনা করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের উপদেষ্টা ও কালের কণ্ঠ পত্রিকার চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি মানিক আকবর, অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন হাসু, সাংবাদিক ইয়াসির আরাফাত মিলন, সাংবাদিক শেখ লিটন, শিক্ষানবিশ আইনজীবী রোকনুজ্জামান, আখতার আলী, বহুলুল হাসান, আলমগীর হোসেন প্রমুখ। ‘কথা হলো একটাই, মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাতে চাই’ স্লোগান সম্বলিত হ্যান্ডবিলে নদীর ইতিহাস, বর্তমান অবস্থা, সংকটের কারণ, সংকটের প্রভাব এবং সম্ভাব্য করণীয় তুলে ধরা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী বলেন, ‘মাথাভাঙ্গা সংকটের কারণ হিসেবে আমরা ৮টি বিষয় চিহ্নিত করেছি। সংকটের প্রভাব নিয়েও ৬টি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্ভাব্য করণীয় নিয়েও প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের সচেতন হতে হবে। জনগণ সচেতন হলেই মাথাভাঙ্গা নদীকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে।’
সভাপতি অ্যাড. বদর উদ্দিন তার বক্তৃতায় বলেন, ‘আমরা নিজেরা যদি মাথাভাঙ্গা নদীতে আবর্জনা না ফেলি, নদীর পানি যদি দূষণ না করি। নদীতে বাঁধ দিয়ে স্রোতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করি তহলেই মাথাভাঙ্গা নদীকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে। আমরাই পারি আমাদের নদীকে রক্ষা করতে।’