ইপেপার । আজ শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

দামুড়হুদায় আমন ধান কাটা—মাড়াই কাজে কৃষকদের ব্যস্ততা, উৎসবের আমেজ

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো, দামেও খুশি চাষীরা

সালেকিন মিয়া সাগর:
  • আপলোড টাইম : ০১:০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে

অগ্রহায়ণ মাস শুরু হতেই দামুড়হুদা উপজেলায় আমন ধান কাটা—মাড়াই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। সেই সঙ্গে বাড়িতে—বাড়িতে নতুন ধানের ভাত খেতে নবান্ন উৎসব পালনও চলছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্বিঘ্নে ধান কাটা মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন কৃষক। এবার ধানের দাম বেশি পেয়ে খুব খুশি কৃষকরা। সব মিলিয়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে দামুড়হুদার গ্রামীণ জনপদে।
আনন্দের এই ক্ষণে মেয়ের জামাইসহ অন্য আত্মীয়—স্বজনদের আতিথেয়তার জন্য বাড়িতে আমন্ত্রণও জানাচ্ছেন অনেকে। তাই স্থানীয় কৃষকদের ঘরে—ঘরে এখন নতুন ধানের সুবাস। উঠানে—উঠানে আত্মীয়—স্বজনকে নিয়ে পিঠা—পুলি খাওয়ার ব্যস্ততাসহ অনেক কৃষক ধান মাড়াই করে সেগুলো বিক্রির জন্যও ছুটছেন এলাকার ধান ব্যবসায়ীদের কাছে। এবারে বর্ষা মৌসুমে সঠিক সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হবে বলে তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার দেখা দিয়েছে। এ বছর আমন ধান পাকার সময়ে কিছু ধানের জমিতে পোকামাকড়ের আক্রমণ হলেও ধানের ফলন ভালো হচ্ছে। কৃষকরা আশা করছেন, এবার বিঘাপ্রতি ২০—২২ মণ ধান হবে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এবারে দামুড়হুদা উপজেলায় ৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আমন লাগানো হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল বিঘা প্রতি গড়ে ১৮ মণ। কৃষক কৃষি বিভাগের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণ করার পাশাপাশি অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষকদের মাঝে প্রণোদনাসহ সুষম সার ব্যবহারের কারণে এবার আমন ধানের আশাতীত ফলন হয়েছে। আশা করছি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছি ইউনিয়নের নতুন গ্রামের ধানকাটা শ্রমিকের দলনেতা তারিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি বিঘা জমির (৩৩ শতাংশ) আমন ধান কাটতে কৃষকের কাছ থেকে ১২০০ থেকে সাড়ে ১৬০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। তার দলের ৮—১০ জন শ্রমিক ধান কাটা, বাধা ও মাড়াই কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত বছর এ কাজে মজুরি বেশি থাকলেও বর্তমানে মজুরিও কম। গত বছর তারা ৫৫০ টাকারও বেশি মুজুরি নিয়েছিলেন। কিন্ত এবার ৪০০ টাকার বেশি মুজুরি পাচ্ছেন না।
একই ইউনিয়নের কৃষক মনিরুজ্জামান জানান, লাল স্বর্ণা, একান্ন, বাবু আটাশ জাতসহ আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। এ বছর ধানের ফলন ভালো। তবে সম্প্রতি বৈরী আবহাওয়ার কারণে হঠাৎ দমকা বাতাসে ধান গাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়ায় কিছু কিছু জমির ধান ফলনে কম হয়েছে। ধানকাটা শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে মাড়াই করে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমানে হাট—বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১৩০০—১৩৫০ টাকায়। আর ধানের বিচালী বিক্রি হচ্ছে প্রতি কাহন (১৬ পন) ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকায়। সব মিলিয়ে এবার খুব খুশি কৃষ

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

দামুড়হুদায় আমন ধান কাটা—মাড়াই কাজে কৃষকদের ব্যস্ততা, উৎসবের আমেজ

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো, দামেও খুশি চাষীরা

আপলোড টাইম : ০১:০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

অগ্রহায়ণ মাস শুরু হতেই দামুড়হুদা উপজেলায় আমন ধান কাটা—মাড়াই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। সেই সঙ্গে বাড়িতে—বাড়িতে নতুন ধানের ভাত খেতে নবান্ন উৎসব পালনও চলছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্বিঘ্নে ধান কাটা মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন কৃষক। এবার ধানের দাম বেশি পেয়ে খুব খুশি কৃষকরা। সব মিলিয়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে দামুড়হুদার গ্রামীণ জনপদে।
আনন্দের এই ক্ষণে মেয়ের জামাইসহ অন্য আত্মীয়—স্বজনদের আতিথেয়তার জন্য বাড়িতে আমন্ত্রণও জানাচ্ছেন অনেকে। তাই স্থানীয় কৃষকদের ঘরে—ঘরে এখন নতুন ধানের সুবাস। উঠানে—উঠানে আত্মীয়—স্বজনকে নিয়ে পিঠা—পুলি খাওয়ার ব্যস্ততাসহ অনেক কৃষক ধান মাড়াই করে সেগুলো বিক্রির জন্যও ছুটছেন এলাকার ধান ব্যবসায়ীদের কাছে। এবারে বর্ষা মৌসুমে সঠিক সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হবে বলে তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার দেখা দিয়েছে। এ বছর আমন ধান পাকার সময়ে কিছু ধানের জমিতে পোকামাকড়ের আক্রমণ হলেও ধানের ফলন ভালো হচ্ছে। কৃষকরা আশা করছেন, এবার বিঘাপ্রতি ২০—২২ মণ ধান হবে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এবারে দামুড়হুদা উপজেলায় ৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আমন লাগানো হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল বিঘা প্রতি গড়ে ১৮ মণ। কৃষক কৃষি বিভাগের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণ করার পাশাপাশি অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষকদের মাঝে প্রণোদনাসহ সুষম সার ব্যবহারের কারণে এবার আমন ধানের আশাতীত ফলন হয়েছে। আশা করছি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছি ইউনিয়নের নতুন গ্রামের ধানকাটা শ্রমিকের দলনেতা তারিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি বিঘা জমির (৩৩ শতাংশ) আমন ধান কাটতে কৃষকের কাছ থেকে ১২০০ থেকে সাড়ে ১৬০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। তার দলের ৮—১০ জন শ্রমিক ধান কাটা, বাধা ও মাড়াই কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত বছর এ কাজে মজুরি বেশি থাকলেও বর্তমানে মজুরিও কম। গত বছর তারা ৫৫০ টাকারও বেশি মুজুরি নিয়েছিলেন। কিন্ত এবার ৪০০ টাকার বেশি মুজুরি পাচ্ছেন না।
একই ইউনিয়নের কৃষক মনিরুজ্জামান জানান, লাল স্বর্ণা, একান্ন, বাবু আটাশ জাতসহ আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। এ বছর ধানের ফলন ভালো। তবে সম্প্রতি বৈরী আবহাওয়ার কারণে হঠাৎ দমকা বাতাসে ধান গাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়ায় কিছু কিছু জমির ধান ফলনে কম হয়েছে। ধানকাটা শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে মাড়াই করে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমানে হাট—বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১৩০০—১৩৫০ টাকায়। আর ধানের বিচালী বিক্রি হচ্ছে প্রতি কাহন (১৬ পন) ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকায়। সব মিলিয়ে এবার খুব খুশি কৃষ