ইপেপার । আজ রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

প্রশাসনে রদবদলের আভাস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৫:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

গত তিন মাসে প্রশাসনের খোল-নলচে পাল্টে ফেলার চেষ্টা করেছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত হয়েছে ব্যাপক বদলি, পদোন্নতি ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। সেই প্রশাসনে আবারো রদবদলের আভাস পাওয়া গেছে। বিশেষ করে প্রশাসনের শীর্ষ পদ সচিব এবং অতিরিক্ত সচিব পদ, দপ্তর প্রধান এবং মাঠ প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে এই রদবদল আনা হতে পারে। তার আগে পদোন্নতি দিয়ে এসব পদে ‘উপযোগী’ কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হবে এবং নতুন ডিসি তালিকা ঠিক করা হবে। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের কথায় এমন ইঙ্গিতই পাওয়া যায়। দুপুরে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। মূলত সরকারি চাকরিতে নিয়োগের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানাতে তিনি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে এরইমধ্যে প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল এনেছে। গত ১৫ বছরে যে কর্মকর্তারা নানাভাবে বঞ্চিত ছিলেন, তাদের পদোন্নতিও দেয়া হয়েছে। গত ১৩ আগস্ট ‘বঞ্চিত’ ১১৭ কর্মকর্তা উপসচিব পদে পদোন্নতি পান। ১৮ আগস্ট একসঙ্গে ২০১ জনকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। সেপ্টেম্বরে সব জেলায় ডিসিও বদলে ফেলা হয়। সে সময় ‘বঞ্চিত’ উপসচিবরা সচিবালয়ে গিয়ে দিনভর হট্টগোলও করেন। পাশাপাশি বেশ কিছু শীর্ষ পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও দেয়া হয়।

জনপ্রশাসন সচিব বলেছেন, ডিসি নিয়োগে আরেকটি ফিটলিস্ট হচ্ছে। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত, যদিও আগে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছিল তারা ভালোই করছে। তিনি বলেন, ‘ডিএস টু জয়েন্ট সেক্রেটারি’র শর্টলিস্ট খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে। নতুন ডিসি ফিটলিস্ট করা শুরু হবে। গতবার যেমন তাড়াহুড়া করা হয়েছিল; ফলে কিছু ত্রুটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগের নিয়োগ নিয়ে আপনারা যে যাই বলুন না কেন, মাঠের অবস্থা কিন্তু ভালো। তারপরও সরকারের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আবার ফিটলিস্ট হবে। সেই ফিটলিস্টে যারা স্থান পাবেন, তাদের মধ্যে থেকে নতুন ডিসি নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করা হবে। এ কাজটা এসএসবির মাধ্যমে শিগগরিই শুরু হবে।

পর্যাপ্ত পদ ছাড়া পদোন্নতি নিয়েও নানা আলোচনা আছে- এমন বিষয়েও ব্যাখ্যা দিয়ে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, অনেককে পদোন্নতির পরও পদ দেয়া যায়নি, এটি আলাদা বিষয়। কিন্তু ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি আটকে গেলে আবার আরেক বিষয়। ‘বঞ্চিত’ অতিরিক্ত সচিবদের গ্রেড-১ পদে পদোন্নতির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সচিব বলেন, কারো চাকরি হয়তো ১৫ দিন আছে, ১ মাস আছে বা ২ মাস আছে- এ রকম সব অতিরিক্ত সচিবকে গ্রেড-১ দিয়ে অবসরে দেয়া হবে। এর ফলে অনেকের মনের দুঃখ প্রশমিত হবে। সামাজিক, পারিবারিক ও আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। এ জন্যই মানুষ চাকরি করেন। দাবি করার আগেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবশ্য যাদের নামে ফৌজদারি ও দুর্নীতির অভিযোগে এবং বিভাগীয় মামলা আছে, তাদের এই বিবেচনায় আনা হবে না।

বঞ্চিত যারা অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন সবাইকে কি গ্রেড-১ দিতে পারবেন- এ বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি যারা চাকরি করি বিধি-বিধানের মাধ্যমে করতে হয়। যদি ডিসিপ্লিনারি মামলা থাকে, ফৌজদারি মামলা থাকে; যদি কারো বিরুদ্ধে- যেমন এক কলিগের বিরুদ্ধে আরেক কলিগের মোটরসাইকেল চুরির মামলা; মানে মামলা-মোকদ্দমা-অভিযোগ-তদন্ত যদি থাকে এদের বিবেচনায় আনা হবে না। তাদের গ্রেড-১ দেয়া হবে না। অন্যান্য ক্যাডারের পদোন্নতি বিধি মোতাবেক শুরু হবে জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আর নতুন করে দল বেঁধে দাবি করার কিছু নেই। যে বিষয়গুলো চিহ্নিত সে বিষয়গুলো সরকার বিধি মোতাবেক যার যতটুকু প্রাপ্য সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। বিসিএসে কোটা পদ্ধতি কীভাবে প্রয়োগ হবে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, ৭ শতাংশ অন্যান্য এবং ৯৩ শতাংশ মেধা, সেভাবে হবে।

টার্গেট ছিল একটা করে স্টাম্প ফেলে দেয়া :
দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের মুখে পড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেছেন, ‘মোখলেস উর রহমান টার্গেট ছিল না, তাদের টার্গেট ছিল জনপ্রশাসন সচিব। তাদের আরো টার্গেট ছিল, এই পদটাকে যদি ‘ভালনারেবল’ করা যায়, তবে সরকারের একটা একটা করে, যদি ক্রিকেটের ভাষায় বলি-স্টাম্প পড়ে যাবে। দ্যাট ওয়াজ দ্য পালস। তিনি বলেন, আলটিমেটলি যেহেতু সারা জীবন একইভাবে জীবনযাপন করেছি, এখনও করি, আমি পজিটিভ লোক। আমি যেহেতু জনপ্রশাসনের সচিব, এই মিনিস্ট্রিকে অন্য সব মিনিস্ট্রির অভিভাবক বলা হয়, আমার মাধ্যমে কোনো কিছু নেগেটিভ অথবা আমার মাধ্যমে কোনো কিছু পাওয়া না হোক, এটা ঘটবে না ইনশাল্লাহ।

প্রসঙ্গত, সরকার পরিবর্তনে জনপ্রশাসনের দায়িত্ব নেয়ার পর এ সচিবের বিরুদ্ধে ‘তিন কোটির ক্যাশ চেক দিয়ে ডিসির পদায়ন!’ এবং ‘আমার ফাইভ সি হলেই চলবে স্যার, ১০ সি নিয়ে রাখব’- শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। এরপর এ বিষয়ে তদন্ত নিয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, ভালোবাসা দিয়ে বিশ্ব জয় করা যায়। আমি এটাকে পজিটিভলি নিয়েছি। যে পত্রিকা বা মিডিয়া প্রচার করেছে, হয়তো তারা না বুঝে বা ভুল বুঝে করেছে, এখন তারা রিয়েলাইজ করে, ইট ওয়াজ রং। এর বেশি আমি বলব না। তিনি বলেন, এর জন্য আমাকে তিনজন হাই-পাওয়ার উপদেষ্টার তদন্ত ফেস করতে হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছিল। অন্যান্য সংস্থা তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছিল। তা প্রসেসড হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গিয়েছে। এখানে কমেন্ট হলো- (পত্রিকায়) ভুয়া, বানোয়াট, মিথ্যা রিপোর্ট করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

প্রশাসনে রদবদলের আভাস

আপলোড টাইম : ০৯:২৫:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

গত তিন মাসে প্রশাসনের খোল-নলচে পাল্টে ফেলার চেষ্টা করেছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত হয়েছে ব্যাপক বদলি, পদোন্নতি ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। সেই প্রশাসনে আবারো রদবদলের আভাস পাওয়া গেছে। বিশেষ করে প্রশাসনের শীর্ষ পদ সচিব এবং অতিরিক্ত সচিব পদ, দপ্তর প্রধান এবং মাঠ প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে এই রদবদল আনা হতে পারে। তার আগে পদোন্নতি দিয়ে এসব পদে ‘উপযোগী’ কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হবে এবং নতুন ডিসি তালিকা ঠিক করা হবে। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের কথায় এমন ইঙ্গিতই পাওয়া যায়। দুপুরে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। মূলত সরকারি চাকরিতে নিয়োগের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানাতে তিনি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে এরইমধ্যে প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল এনেছে। গত ১৫ বছরে যে কর্মকর্তারা নানাভাবে বঞ্চিত ছিলেন, তাদের পদোন্নতিও দেয়া হয়েছে। গত ১৩ আগস্ট ‘বঞ্চিত’ ১১৭ কর্মকর্তা উপসচিব পদে পদোন্নতি পান। ১৮ আগস্ট একসঙ্গে ২০১ জনকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। সেপ্টেম্বরে সব জেলায় ডিসিও বদলে ফেলা হয়। সে সময় ‘বঞ্চিত’ উপসচিবরা সচিবালয়ে গিয়ে দিনভর হট্টগোলও করেন। পাশাপাশি বেশ কিছু শীর্ষ পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও দেয়া হয়।

জনপ্রশাসন সচিব বলেছেন, ডিসি নিয়োগে আরেকটি ফিটলিস্ট হচ্ছে। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত, যদিও আগে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছিল তারা ভালোই করছে। তিনি বলেন, ‘ডিএস টু জয়েন্ট সেক্রেটারি’র শর্টলিস্ট খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে। নতুন ডিসি ফিটলিস্ট করা শুরু হবে। গতবার যেমন তাড়াহুড়া করা হয়েছিল; ফলে কিছু ত্রুটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগের নিয়োগ নিয়ে আপনারা যে যাই বলুন না কেন, মাঠের অবস্থা কিন্তু ভালো। তারপরও সরকারের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আবার ফিটলিস্ট হবে। সেই ফিটলিস্টে যারা স্থান পাবেন, তাদের মধ্যে থেকে নতুন ডিসি নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করা হবে। এ কাজটা এসএসবির মাধ্যমে শিগগরিই শুরু হবে।

পর্যাপ্ত পদ ছাড়া পদোন্নতি নিয়েও নানা আলোচনা আছে- এমন বিষয়েও ব্যাখ্যা দিয়ে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, অনেককে পদোন্নতির পরও পদ দেয়া যায়নি, এটি আলাদা বিষয়। কিন্তু ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি আটকে গেলে আবার আরেক বিষয়। ‘বঞ্চিত’ অতিরিক্ত সচিবদের গ্রেড-১ পদে পদোন্নতির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সচিব বলেন, কারো চাকরি হয়তো ১৫ দিন আছে, ১ মাস আছে বা ২ মাস আছে- এ রকম সব অতিরিক্ত সচিবকে গ্রেড-১ দিয়ে অবসরে দেয়া হবে। এর ফলে অনেকের মনের দুঃখ প্রশমিত হবে। সামাজিক, পারিবারিক ও আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। এ জন্যই মানুষ চাকরি করেন। দাবি করার আগেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবশ্য যাদের নামে ফৌজদারি ও দুর্নীতির অভিযোগে এবং বিভাগীয় মামলা আছে, তাদের এই বিবেচনায় আনা হবে না।

বঞ্চিত যারা অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন সবাইকে কি গ্রেড-১ দিতে পারবেন- এ বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি যারা চাকরি করি বিধি-বিধানের মাধ্যমে করতে হয়। যদি ডিসিপ্লিনারি মামলা থাকে, ফৌজদারি মামলা থাকে; যদি কারো বিরুদ্ধে- যেমন এক কলিগের বিরুদ্ধে আরেক কলিগের মোটরসাইকেল চুরির মামলা; মানে মামলা-মোকদ্দমা-অভিযোগ-তদন্ত যদি থাকে এদের বিবেচনায় আনা হবে না। তাদের গ্রেড-১ দেয়া হবে না। অন্যান্য ক্যাডারের পদোন্নতি বিধি মোতাবেক শুরু হবে জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আর নতুন করে দল বেঁধে দাবি করার কিছু নেই। যে বিষয়গুলো চিহ্নিত সে বিষয়গুলো সরকার বিধি মোতাবেক যার যতটুকু প্রাপ্য সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। বিসিএসে কোটা পদ্ধতি কীভাবে প্রয়োগ হবে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, ৭ শতাংশ অন্যান্য এবং ৯৩ শতাংশ মেধা, সেভাবে হবে।

টার্গেট ছিল একটা করে স্টাম্প ফেলে দেয়া :
দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের মুখে পড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেছেন, ‘মোখলেস উর রহমান টার্গেট ছিল না, তাদের টার্গেট ছিল জনপ্রশাসন সচিব। তাদের আরো টার্গেট ছিল, এই পদটাকে যদি ‘ভালনারেবল’ করা যায়, তবে সরকারের একটা একটা করে, যদি ক্রিকেটের ভাষায় বলি-স্টাম্প পড়ে যাবে। দ্যাট ওয়াজ দ্য পালস। তিনি বলেন, আলটিমেটলি যেহেতু সারা জীবন একইভাবে জীবনযাপন করেছি, এখনও করি, আমি পজিটিভ লোক। আমি যেহেতু জনপ্রশাসনের সচিব, এই মিনিস্ট্রিকে অন্য সব মিনিস্ট্রির অভিভাবক বলা হয়, আমার মাধ্যমে কোনো কিছু নেগেটিভ অথবা আমার মাধ্যমে কোনো কিছু পাওয়া না হোক, এটা ঘটবে না ইনশাল্লাহ।

প্রসঙ্গত, সরকার পরিবর্তনে জনপ্রশাসনের দায়িত্ব নেয়ার পর এ সচিবের বিরুদ্ধে ‘তিন কোটির ক্যাশ চেক দিয়ে ডিসির পদায়ন!’ এবং ‘আমার ফাইভ সি হলেই চলবে স্যার, ১০ সি নিয়ে রাখব’- শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। এরপর এ বিষয়ে তদন্ত নিয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, ভালোবাসা দিয়ে বিশ্ব জয় করা যায়। আমি এটাকে পজিটিভলি নিয়েছি। যে পত্রিকা বা মিডিয়া প্রচার করেছে, হয়তো তারা না বুঝে বা ভুল বুঝে করেছে, এখন তারা রিয়েলাইজ করে, ইট ওয়াজ রং। এর বেশি আমি বলব না। তিনি বলেন, এর জন্য আমাকে তিনজন হাই-পাওয়ার উপদেষ্টার তদন্ত ফেস করতে হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছিল। অন্যান্য সংস্থা তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছিল। তা প্রসেসড হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গিয়েছে। এখানে কমেন্ট হলো- (পত্রিকায়) ভুয়া, বানোয়াট, মিথ্যা রিপোর্ট করা হয়েছে।