ইপেপার । আজ শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

১৪ বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন

গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতা নির্বাচন দলটিকে সামনে এগিয়ে নিবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে


১৪ বছর পর উৎসবমুখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সম্মেলনে নেতৃত্ব দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বৃদ্ধি এবং সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে সম্মেলনের বিকল্প নেই। সবশেষ ২০১০ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে আহ্বায়ক কমিটি। ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর দলের সংকটকালীন মুহূর্তে মাহমুদ হাসান খান বাবুকে আহ্বায়ক এবং শরীফুজ্জামান শরীফকে সদস্যসচিব করে দুই সদস্যবিশিষ্ট জেলা কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এরপর ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই বছর ২৭ জানুয়ারি আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা করে। প্রথম সভাতেই চুয়াডাঙ্গা জেলার ৩৬৯টি ওয়ার্ড, ৪১টি ইউনিয়ন, ৪টি পৌরসভা ও ৫টি থানায় প্রকাশ্য সম্মেলনের মধ্যদিয়ে কমিটি গঠনের লক্ষ্যে জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের নিয়ে সমন্বয় টিম গঠন করে। সেই টিম প্রকাশ্য সম্মেলন এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ইউনিট কমিটিগুলো গঠন করে। সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতা নির্বাচনের এই প্রক্রিয়া দলটিকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে।
এতে বোঝা যাচ্ছে, রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতিও এগিয়ে নিচ্ছে দলটি। এ জন্য গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জনসমর্থনকে আরও দৃঢ় করার ওপর। তাই জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এর মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রতিহিংসার রাজনীতিতে না জড়িয়ে সহিংসতাকে প্রতিহত করেছেন এবং সহাবস্থান নিশ্চিত করেছেন। পূজার সময় বিএনপি নেতা-কর্মীরা মন্দির ও উপাসনালয় পাহারা দিয়ে হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ সব মানুষের সুরক্ষায় পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের পূর্বাঞ্চল ও সিলেট অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার সময় সাহায্য নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন নেতা-কর্মীরা। এতে করে দলটি আরও বেশি জনগণের কাছাকাছি পৌঁছাচ্ছে। দীর্ঘ সময় পর চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি এতো বড় সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এই সম্মেলন জেলার মানুষের মধ্যে বিএনপির প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে। দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সবসময় জনগণকে সাথে নিয়ে রাজনীতি করতে চায়। দলটির স্বাভাবিক কার্যক্রমে সেটাই পরিলক্ষিত হয়। জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে দলটির এগিয়ে যাওয়া সফলতার দিকেই ক্রমবর্ধমান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

১৪ বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন

গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতা নির্বাচন দলটিকে সামনে এগিয়ে নিবে

আপলোড টাইম : ১০:৪৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪


১৪ বছর পর উৎসবমুখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সম্মেলনে নেতৃত্ব দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বৃদ্ধি এবং সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে সম্মেলনের বিকল্প নেই। সবশেষ ২০১০ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে আহ্বায়ক কমিটি। ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর দলের সংকটকালীন মুহূর্তে মাহমুদ হাসান খান বাবুকে আহ্বায়ক এবং শরীফুজ্জামান শরীফকে সদস্যসচিব করে দুই সদস্যবিশিষ্ট জেলা কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এরপর ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই বছর ২৭ জানুয়ারি আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা করে। প্রথম সভাতেই চুয়াডাঙ্গা জেলার ৩৬৯টি ওয়ার্ড, ৪১টি ইউনিয়ন, ৪টি পৌরসভা ও ৫টি থানায় প্রকাশ্য সম্মেলনের মধ্যদিয়ে কমিটি গঠনের লক্ষ্যে জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের নিয়ে সমন্বয় টিম গঠন করে। সেই টিম প্রকাশ্য সম্মেলন এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ইউনিট কমিটিগুলো গঠন করে। সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতা নির্বাচনের এই প্রক্রিয়া দলটিকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে।
এতে বোঝা যাচ্ছে, রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতিও এগিয়ে নিচ্ছে দলটি। এ জন্য গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জনসমর্থনকে আরও দৃঢ় করার ওপর। তাই জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এর মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রতিহিংসার রাজনীতিতে না জড়িয়ে সহিংসতাকে প্রতিহত করেছেন এবং সহাবস্থান নিশ্চিত করেছেন। পূজার সময় বিএনপি নেতা-কর্মীরা মন্দির ও উপাসনালয় পাহারা দিয়ে হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ সব মানুষের সুরক্ষায় পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের পূর্বাঞ্চল ও সিলেট অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার সময় সাহায্য নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন নেতা-কর্মীরা। এতে করে দলটি আরও বেশি জনগণের কাছাকাছি পৌঁছাচ্ছে। দীর্ঘ সময় পর চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি এতো বড় সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এই সম্মেলন জেলার মানুষের মধ্যে বিএনপির প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে। দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সবসময় জনগণকে সাথে নিয়ে রাজনীতি করতে চায়। দলটির স্বাভাবিক কার্যক্রমে সেটাই পরিলক্ষিত হয়। জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে দলটির এগিয়ে যাওয়া সফলতার দিকেই ক্রমবর্ধমান।