চুয়াডাঙ্গায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় উদ্যাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা
যথাযথ মর্যাদায় দিবস দুটি পালনে নানা কর্মসূচি গৃহীত
- আপলোড টাইম : ০৯:০৯:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
- / ৭৩ বার পড়া হয়েছে
১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। সভায় দিবস দুটি পালনে নানা কর্মসূচি গৃহীত হয়।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হবে। সকাল ৭টায় বড় বাজার শহিদ হাসান চত্বরে অবস্থিত শহিদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ। ওইদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সঠিক মাপ ও রঙের সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অবস্থিত মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। একই দিন দুপুরে হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, সরকারি শিশু পরিবারে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চারু, কারু ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্প পণ্যের আয়োজনে জেলা ও উপজেলায় দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বিজয় মেলা উদ্বোধন শেষে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ১০টায় জেলা শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে শিশুদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, জাতীয় পতাকা ও রঙিন নিশান দ্বারা প্রধান প্রধান সড়ক, সড়ক দ্বীপ এবং বিভিন্ন স্থাপনাসমূহ সজ্জিতকরণ ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত এবং বেসরকারি ভবন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা।
বাদ যোহর দেশের শান্তি ও অগ্রগতি এবং সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শহরের বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং সুবিধাজনক সময়ে মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। ওইদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি বিনোদনমূলক স্থান শিশুদের জন্য উম্মুক্ত রাখা এবং বিনা টিকিটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা গ্রহণ। স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়োজনে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। পরে ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ আলোচনা করা হয়। সভায় সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় ও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালন করা হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন আক্তার, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এস এম ইস্রাফিল, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজিবুল আলম, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুন্সি আবু সাঈফ, চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মারুফ সরোয়ার বাবু, জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকা ও ডেইলি মর্নিং গ্লোরি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এবং দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক মেহেরাব্বিন সানভী, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার চিফ রিপোর্টার আহসান আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির আহ্বায়ক আসলাম হোসেনসহ সকল সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।