চুয়াডাঙ্গার বেগমপুরে তিন কৃষকের ক্ষেত তছরুপ
কেটে দেয়া হয়েছে লাউ গাছ, ড্রাগন বাগান ও কলার কাদি
- আপলোড টাইম : ১১:১৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
- / ৪৫ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গার বেগমপুরে এক রাতে তিন কৃষকের জমির লাউ গাছ, ড্রাগন বাগান ও কলার কাদি কর্তন করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার সকালে ভুক্তভোগী কৃষকেরা তাদের ফসল তছরুপের বিষয়ে জানতে পারেন। এক রাতে তিন কৃষকের জমির ফসল তছরুপের ঘটনায় এলাকার চাষীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, ভুক্তভোগী কৃষকেরা এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনের নাম উল্লেখ করে গণমাধ্যমের কাছে বক্তব্য প্রদান করেন। পরবর্তীতে তাদের বক্তব্য ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রকাশ হলে তারা গণমাধ্যমের কাছে পুনরায় বক্তব্য দেন। এতে তারা সন্দেহ এবং আবেগে মিথ্যা নাম বলেছেন বলে উল্লেখ করেন।
জানা গেছে, গত শনিবার দিনবাগত রাতে জেলার দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের যদুপুর পারঘাটা মাঠে খালেক মন্ডলের ছেলে খাইরুল ইসলামের ২২ কাটা জমির লাউ গাছ, একই গ্রামের মিনাজ উদ্দিনের ছেলে আজানের জমির প্রায় দেড় হাজার ড্রাগন গাছ ও তরিকুল ইসলামের ছেলে বকুলের কলা বাগানের শতাধিক কলার কাদি কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে গণমাধ্যমের কর্মীরা সংবাদ প্রকাশের জন্য তথ্য সংগ্রহ করলে ভুক্তভোগী কৃষকেরা দুজনকে সন্দেহ করে দু’জনের নাম উল্লেখ। পরবর্তীতে তারাই নিজেদের বক্তব্যে বলা নামদুটি মিথ্যা কলে স্বীকার করে গণমাধ্যমের কাছে আবারো বক্তব্য দেন।
লাউ চাষী খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার দিনগত রাতে দুর্বৃত্তরা আমার ২২কাটা জমিতে লাগানো প্রায় ৫ শতাধিক লাউ গাছ কেটে দিয়েছে। কারা আমার এ ক্ষতি করেছে তা আমি জানি না। তবে আমি সাংবাদিকদের কাছে সন্দেহের বসে একজনের নাম বলেছিলাম। কিন্তু তিনি এই কাজ করেননি। বক্তব্য দেয়ার সময় আমার মাথা কাজ করেনি, আমি আবেগের বসে ভুল নাম বলেছিলাম। কে বা কারা আমার লাই গাছ কেটেছে এ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই।’
কলা চাষী বকুল হোসেনেও তার বক্তব্যে একটি নাম উল্লেখ করেন এবং তাকে সন্দেহ করছেন বলে গণমাধ্যমের কাছে জানান। তবে পরবর্তীতে তিনিও সন্দেহের বসে ভুল নাম বলেছেন বলে পুনরায় গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন। এসময় বকুল হোসেন বলেন, ‘আমরা সব সময় এক সঙ্গে চলাচল করি, আবেগে আমি তার নাম বলেছিলাম যা ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছে। আমি আমার বক্তব্যের ভুল স্বীকার করছি।’
এদিকে, একই রাতে তিন কৃষকের জমির ফসল তছরুপ করায় স্থানীয় চাষীদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী কৃষকেরাসহ স্থানীয়রা এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।