চুয়াডাঙ্গায় শীতের আগমন, তাপমাত্রা নেমেছে ১৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে
নভেম্বরজুড়ে তাপমাত্রা থাকবে ১৪-১৬ ডিগ্রির মধ্যে
ডিসেম্বর থেকে বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা, শৈত্যপ্রবাহের আভাস
- আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
- / ৫১ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গায় শীতের আগমন স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন ধরে বিকেলের পর থেকেই তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষের মধ্যে শীতের উপস্থিতি অনুভূত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার সকাল ছয়টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, নভেম্বর মাসের শেষ দিন পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ১৪ থেকে ১৬ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করবে। এসময়ের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা নেই। ডিসেম্বরের শুরু থেকে তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করবে এবং শীতের তীব্রতা বাড়বে। গতকাল জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ফলে সন্ধ্যার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে শীতের পোশাক পরিধানের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের শীত মোকাবিলায় আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজার, কোর্ট মোড়, কলেজ রোড, হাসপাতাল চত্বরসহ বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতের দোকানে শীতের পোশাকের চাহিদাও বাড়তে শুরু করেছে।
শহরের কোর্টপাড়ার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এবার শীত পড়তে শুরু করলো কিন্তু কিছু বুঝতেই পারলাম না। হঠাৎই দেখি সন্ধ্যার পর থেকে মানুষজন শীতের পোশাক পরছে। এখন দেখি আমারও শীত অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকেই গায়ে চাদর দিতে হচ্ছে। শীতের পোশাকও বের করেছি।’ অন্যদিকে, শহরের নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সুমন পারভেজ খান জানান, ‘গত কয়েকদিনে বিক্রি ভালো হচ্ছে। বড়দের গরম কাপড় বেশি বিক্রি হয়েছে। মানুষ শীতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
অন্যদিকে, গ্রামাঞ্চলেও শীতের আমেজ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিকেলের পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকায় কৃষকরা কাজ শেষে দ্রুত বাড়ি ফিরে আসছেন। শীতের সকালে কুয়াশার কারণে মাঠে কাজ করা কিছুটা কঠিন হয়ে উঠছে বলে জানান কৃষকরা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, চলতি মাসে শীতের প্রকোপ সামান্য হলেও ডিসেম্বর থেকে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। চুয়াডাঙ্গার মানুষকে শীত মোকাবিলার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি বলেন, তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি রাতে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়ছে। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝাড়ি ধরণের কুয়াশা পড়ছে। এসময় যানবাহন চলাচলে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ।
অন্যদিকে, শীতের আগমনের ফলে চুয়াডাঙ্গায় এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। শীতকে ঘিরে অনেকেই বাড়িতে পিঠা বানানো শুরু করেছেন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পিঠার দোকানগুলোতেও ভিড় বাড়তে দেখা যাচ্ছে। তাপমাত্রা কমতে থাকলেও এই শীতের আমেজ প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের জীবনে এক ভিন্ন স্বাদ এনে দিয়েছে। চুয়াডাঙ্গার মানুষ এখন অপেক্ষা করছে আসন্ন শীতের দিনগুলোর জন্য।