ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির বিশেষ সভায়

নদী বাঁচাতে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৭৪ বার পড়া হয়েছে

মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় কোর্ট রোডে দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ের মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী। সভা পরিচালনা করেন মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাবেক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী বিশ্বাস।

সভায় জেলা প্রশাসক, পৌর প্রশাসকগণসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারেদের সাথে মতবিনিময় সভা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মাথাভাঙ্গা নদীর বর্তমান অবস্থা প্রশাসনকে অবহিতকরণ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে কমিটির পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন উপস্থিত সকলে। এছাড়া সভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন বৃদ্ধি, উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করার লক্ষ্যে তৎপরতা শুরু তথা সাধারণ সদস্য সংগ্রহ প্রক্রিয়াকে গতিশীল করার বিষয়ে নানাবিধ আলোচনা করা হয়। সভায় প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটি, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, টিটিসিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক হেমন্ত কুমার সিংহ রায়, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক মেহেরাব্বিন সানভী, সদস্য আবু বকর সিদ্দিক সৈকত প্রমুখ।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী বলেন, ‘মানুষের অসচেতনতার কারণে মরা পশুপাখি মাথাভাঙ্গা নদীতে ফেলা হচ্ছে। এতে বাড়ছে নদী দূষণ। জেলা শহরের বেশ কয়েকটা ড্রেনের মাধ্যমে নোংরা পানি দেদারছে নদীতে নামছে। এতে নদীর পানি দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে পড়ছে। নদীর তীরে অবৈধভাবে পানবরজসহ বিভিন্ন প্রকার চাষাবাদ করা হচ্ছে। মাটি খননের কারণে তা ধুয়ে নদীতে নেমে নাব্যতা নষ্ট করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অবাক হলেও সত্য যে, নদীর বুক থেকে বালু উত্তোলন করে উপকারের বদলে ক্ষতিই ডেকে আনা হচ্ছে। কিছু স্থানে রয়েছে কোমর। তীরে কারেন্ট জাল দিয়ে নদীর স্বাভাবিক স্রোতের প্রতিবন্ধকতায় শুধু সৃষ্টি করা হচ্ছে না, ক্ষতিকারক ওই জালের কারণে ছোট-বড় মাছের পোনা রেণুও মারা পড়ছে। এসব থেকে পরিত্রাণে প্রশাসনের যেমন আশু পদক্ষেপ নিতে হবে, তেমনই সর্বস্তরের সচেতনতা প্রয়োজন।’ সভায় মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলনে সদস্য সংগ্রহের ওপর তাগাদা উঠে আসে। নতুন সদস্য হওয়ার জন্য ০১৭১২০১০৯৪৫, ০১৭১৭৫১৩৪৩৯, ০১৭৩৪২১৯৭৬৭ নম্বরে যোগাযোগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির বিশেষ সভায়

নদী বাঁচাতে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান

আপলোড টাইম : ১০:০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় কোর্ট রোডে দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ের মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী। সভা পরিচালনা করেন মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাবেক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী বিশ্বাস।

সভায় জেলা প্রশাসক, পৌর প্রশাসকগণসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারেদের সাথে মতবিনিময় সভা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মাথাভাঙ্গা নদীর বর্তমান অবস্থা প্রশাসনকে অবহিতকরণ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে কমিটির পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন উপস্থিত সকলে। এছাড়া সভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন বৃদ্ধি, উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করার লক্ষ্যে তৎপরতা শুরু তথা সাধারণ সদস্য সংগ্রহ প্রক্রিয়াকে গতিশীল করার বিষয়ে নানাবিধ আলোচনা করা হয়। সভায় প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটি, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, টিটিসিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক হেমন্ত কুমার সিংহ রায়, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক মেহেরাব্বিন সানভী, সদস্য আবু বকর সিদ্দিক সৈকত প্রমুখ।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী বলেন, ‘মানুষের অসচেতনতার কারণে মরা পশুপাখি মাথাভাঙ্গা নদীতে ফেলা হচ্ছে। এতে বাড়ছে নদী দূষণ। জেলা শহরের বেশ কয়েকটা ড্রেনের মাধ্যমে নোংরা পানি দেদারছে নদীতে নামছে। এতে নদীর পানি দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে পড়ছে। নদীর তীরে অবৈধভাবে পানবরজসহ বিভিন্ন প্রকার চাষাবাদ করা হচ্ছে। মাটি খননের কারণে তা ধুয়ে নদীতে নেমে নাব্যতা নষ্ট করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অবাক হলেও সত্য যে, নদীর বুক থেকে বালু উত্তোলন করে উপকারের বদলে ক্ষতিই ডেকে আনা হচ্ছে। কিছু স্থানে রয়েছে কোমর। তীরে কারেন্ট জাল দিয়ে নদীর স্বাভাবিক স্রোতের প্রতিবন্ধকতায় শুধু সৃষ্টি করা হচ্ছে না, ক্ষতিকারক ওই জালের কারণে ছোট-বড় মাছের পোনা রেণুও মারা পড়ছে। এসব থেকে পরিত্রাণে প্রশাসনের যেমন আশু পদক্ষেপ নিতে হবে, তেমনই সর্বস্তরের সচেতনতা প্রয়োজন।’ সভায় মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলনে সদস্য সংগ্রহের ওপর তাগাদা উঠে আসে। নতুন সদস্য হওয়ার জন্য ০১৭১২০১০৯৪৫, ০১৭১৭৫১৩৪৩৯, ০১৭৩৪২১৯৭৬৭ নম্বরে যোগাযোগের আহ্বান জানানো হয়েছে।