ইপেপার । আজ রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় পান বরজের ঝোপে মুন্নির লাশ; জেলা পুলিশের সংবাদ সম্মেলন

২০ হাজার টাকার প্রতিশোধ নিতে শারীরিক সম্পর্কের পর হত্যা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার আলোচিত মুন্নি হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে মুন্নি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের বর্ণনা করেন।

রিয়াজুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের মাঠে একটি পান বরজের ঝোপে এক বিবস্ত্র নারীর অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহালসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে। একইদিন আলমডাঙ্গার ভাংবাড়ীয়া গ্রামের খোয়াজ আলী শেখের স্ত্রী আহারণ নেছা মৃতদেহটি তার মেয়ে খালেদা আক্তার মুন্নির বলে শনাক্ত করেন। মুন্নির হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে থাকা ট্যাটু মরদেহ শনাক্ত সহজ করে দেয়।
যা ঘটেছিল হত্যার দিন:

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধারের পাঁচ দিন আগে ৯ নভেম্বর (শনিবার) দুপুর ১২টার দিকে খালেদা আক্তার মুন্নি বাড়ি থেকে বের হন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে আহারণ নেছা মুন্নির ফোনে কল করলে তিনি মাকে জানিয়েছিলেন, আলমডাঙ্গায় কিছু কেনাকাটা করবেন এবং রাতে খালার বাড়িতে থাকবেন, সকালে ফিরবেন। এদিকে, মুন্নি বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর ২০ হাজার টাকায় সারারাত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের শেখপাড়ার টোকন আলী মুন্সির ছেলে মানিক আলী মুন্সি (২২) এবং তার চাচাতো ভাই মইদুল ইসলামের ছেলে পারভেজ মহাসিন স্বপনের (১৯) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। সেই অনুযায়ী সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুন্নি সদর থানার বোয়ালমারি নীলমনিগঞ্জ পিটিআই মোড় পৌঁছান। সেখান থেকে স্বপন মোটরসাইকেলে মুন্নিকে বোয়ালমারি শ্মশানের রাস্তার ফাঁকা মাঠে নিয়ে যান। যেখানে আগে থেকেই মানিক অবস্থান করছিলেন। মুন্নি সেখানে পৌঁছানোর পর মানিক ও স্বপন তাকে পান বরজের পাশের একটি ঝোপের মধ্যে নিয়ে যান। পরে চুক্তি অনুযায়ী তারা তার সঙ্গে পালাক্রমে শারীরিক সম্পর্ক করেন।
তিনি আরও জানান, স্বপন শারীরিক সম্পর্ক শেষে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান, তবে মানিক মুন্সি তার সঙ্গে আরও বেশকিছুক্ষণ সময় কাটান। এসময় তারা একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে চুক্তির ২০ হাজার টাকার বদলে পাঁচ হাজার টাকা দিতে চাইলে মুন্নি ও স্বপনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এসময় মুন্নি চিৎকার করবে বললে স্বপন তার গলা চেপে ধরেন। এতেকরে মুন্নি মাটিতে পড়ে গেলে স্বপন তার পিঠের ওপর বসে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করেন। এবং ওঁড়না দিয়ে হাত বেঁধে সেখানেই ফেলে রেখে পালিয়ে স্বপন যায়। পালানোর সময় মুন্নির শপিং ব্যাগ ও জুতা নদীতে ফেলে দেয়া হয়।

লাশ উদ্ধার ও পুলিশের তদন্ত:

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম জানান, ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে অর্ধগলিত মরদেহের বিষয়ে জানতে পেরে তিনিসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান ও সেনাবাহিনীর চুয়াডাঙ্গা ক্যাম্পের একটি দল। এসময় চুয়াডাঙ্গা ডিবি ও সিআইডি পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করে। সেখান থেকে পাওয়া একটি মোবাইল নম্বর ও জুয়েলারি দোকারের ক্যাশ ভাউচার থেকে পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে অজ্ঞাত মরদেহটি পরিচয় খালেদা আক্তার মুন্নির বলে নিশ্চিত হয়। মুন্নির হাতে ও শরীরের বেশ কয়েকটি ট্যাটু দেখে আহারণ নেছা মৃতদেহটি তার মেয়ের বলে শনাক্ত করেন। দুপুরের পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে মুন্নির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে বৃহস্পতিবারই মুন্নির মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সদর থানার মামলা নং-১১, তারিখ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড।

এদিকে, জেলার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। রাতেই বিভিন্ন তথ্যসূত্র ধরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে হাজরাহাটি গ্রাম থেকে মানিক আলী মুন্সি ও পারভেজ মহাসিন স্বপনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তারা হত্যার বিষয়ে নিজেদের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দেন।

১৬৪ ধারায় মানিক আলী মুন্সি ও পারভেজ মহাসিন স্বপনের স্বীকারোক্তি:

শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ মানিক আলী মুন্সি ও পারভেজ মহাসিন স্বপনকে চুয়াডাঙ্গা আদালতে হাজির করে। এসময় মানিক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। স্বীকারোক্তিতে মানিক জানান, গত ৬ নভেম্বর তিনি ও তার বন্ধুরা বড়গাংনীতে মুন্নির সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য যান। এসময় মুন্নি স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের ব্লাকমেইল করে বিশ হাজার টাকা আদায় করেন। মানিক মুন্সি ভিকটিমের ওপর রাগের বশবর্তী হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পরা অনুযায়ী ৯ নভেম্বর শনিবার বিকেলে ফোনকলের মাধ্যমে মুন্নির সঙ্গে সারারাত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলে বিশ হাজার টাকায় চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী মুন্নিকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। এবং একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পর তাকে হত্যা করেন। স্বীকারোাক্তি নেওয়ার পর বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা কামালের আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গায় পান বরজের ঝোপে মুন্নির লাশ; জেলা পুলিশের সংবাদ সম্মেলন

২০ হাজার টাকার প্রতিশোধ নিতে শারীরিক সম্পর্কের পর হত্যা

আপলোড টাইম : ০৯:৫৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার আলোচিত মুন্নি হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে মুন্নি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের বর্ণনা করেন।

রিয়াজুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের মাঠে একটি পান বরজের ঝোপে এক বিবস্ত্র নারীর অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহালসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে। একইদিন আলমডাঙ্গার ভাংবাড়ীয়া গ্রামের খোয়াজ আলী শেখের স্ত্রী আহারণ নেছা মৃতদেহটি তার মেয়ে খালেদা আক্তার মুন্নির বলে শনাক্ত করেন। মুন্নির হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে থাকা ট্যাটু মরদেহ শনাক্ত সহজ করে দেয়।
যা ঘটেছিল হত্যার দিন:

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধারের পাঁচ দিন আগে ৯ নভেম্বর (শনিবার) দুপুর ১২টার দিকে খালেদা আক্তার মুন্নি বাড়ি থেকে বের হন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে আহারণ নেছা মুন্নির ফোনে কল করলে তিনি মাকে জানিয়েছিলেন, আলমডাঙ্গায় কিছু কেনাকাটা করবেন এবং রাতে খালার বাড়িতে থাকবেন, সকালে ফিরবেন। এদিকে, মুন্নি বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর ২০ হাজার টাকায় সারারাত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের শেখপাড়ার টোকন আলী মুন্সির ছেলে মানিক আলী মুন্সি (২২) এবং তার চাচাতো ভাই মইদুল ইসলামের ছেলে পারভেজ মহাসিন স্বপনের (১৯) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। সেই অনুযায়ী সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুন্নি সদর থানার বোয়ালমারি নীলমনিগঞ্জ পিটিআই মোড় পৌঁছান। সেখান থেকে স্বপন মোটরসাইকেলে মুন্নিকে বোয়ালমারি শ্মশানের রাস্তার ফাঁকা মাঠে নিয়ে যান। যেখানে আগে থেকেই মানিক অবস্থান করছিলেন। মুন্নি সেখানে পৌঁছানোর পর মানিক ও স্বপন তাকে পান বরজের পাশের একটি ঝোপের মধ্যে নিয়ে যান। পরে চুক্তি অনুযায়ী তারা তার সঙ্গে পালাক্রমে শারীরিক সম্পর্ক করেন।
তিনি আরও জানান, স্বপন শারীরিক সম্পর্ক শেষে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান, তবে মানিক মুন্সি তার সঙ্গে আরও বেশকিছুক্ষণ সময় কাটান। এসময় তারা একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে চুক্তির ২০ হাজার টাকার বদলে পাঁচ হাজার টাকা দিতে চাইলে মুন্নি ও স্বপনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এসময় মুন্নি চিৎকার করবে বললে স্বপন তার গলা চেপে ধরেন। এতেকরে মুন্নি মাটিতে পড়ে গেলে স্বপন তার পিঠের ওপর বসে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করেন। এবং ওঁড়না দিয়ে হাত বেঁধে সেখানেই ফেলে রেখে পালিয়ে স্বপন যায়। পালানোর সময় মুন্নির শপিং ব্যাগ ও জুতা নদীতে ফেলে দেয়া হয়।

লাশ উদ্ধার ও পুলিশের তদন্ত:

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম জানান, ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে অর্ধগলিত মরদেহের বিষয়ে জানতে পেরে তিনিসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান ও সেনাবাহিনীর চুয়াডাঙ্গা ক্যাম্পের একটি দল। এসময় চুয়াডাঙ্গা ডিবি ও সিআইডি পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করে। সেখান থেকে পাওয়া একটি মোবাইল নম্বর ও জুয়েলারি দোকারের ক্যাশ ভাউচার থেকে পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে অজ্ঞাত মরদেহটি পরিচয় খালেদা আক্তার মুন্নির বলে নিশ্চিত হয়। মুন্নির হাতে ও শরীরের বেশ কয়েকটি ট্যাটু দেখে আহারণ নেছা মৃতদেহটি তার মেয়ের বলে শনাক্ত করেন। দুপুরের পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে মুন্নির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে বৃহস্পতিবারই মুন্নির মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সদর থানার মামলা নং-১১, তারিখ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড।

এদিকে, জেলার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। রাতেই বিভিন্ন তথ্যসূত্র ধরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে হাজরাহাটি গ্রাম থেকে মানিক আলী মুন্সি ও পারভেজ মহাসিন স্বপনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তারা হত্যার বিষয়ে নিজেদের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দেন।

১৬৪ ধারায় মানিক আলী মুন্সি ও পারভেজ মহাসিন স্বপনের স্বীকারোক্তি:

শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ মানিক আলী মুন্সি ও পারভেজ মহাসিন স্বপনকে চুয়াডাঙ্গা আদালতে হাজির করে। এসময় মানিক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। স্বীকারোক্তিতে মানিক জানান, গত ৬ নভেম্বর তিনি ও তার বন্ধুরা বড়গাংনীতে মুন্নির সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য যান। এসময় মুন্নি স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের ব্লাকমেইল করে বিশ হাজার টাকা আদায় করেন। মানিক মুন্সি ভিকটিমের ওপর রাগের বশবর্তী হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পরা অনুযায়ী ৯ নভেম্বর শনিবার বিকেলে ফোনকলের মাধ্যমে মুন্নির সঙ্গে সারারাত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলে বিশ হাজার টাকায় চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী মুন্নিকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। এবং একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পর তাকে হত্যা করেন। স্বীকারোাক্তি নেওয়ার পর বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা কামালের আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।