ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে


আফ্রো-এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার ভুখা-নাঙ্গা গণমানুষের নেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। নির্লোভ আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৭৬ সালের এদিনে ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে সমাহিত করা হয়। মজলুম জননেতার ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে আজ ভোর থেকে ঢল নামবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। প্রয়াত এই নেতার মাজারে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে।
ক’দিন আগে থেকে মওলানা ভাসানীর ভক্ত, অনুসারী ও মুরিদানরা সন্তোষে এসেছেন। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানীর মাজার প্রাঙ্গণে বসেছে মেলা। বিভিন্ন সংগঠন-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা, সেমিনার চলছে। মাজার প্রাঙ্গণে ভক্ত, অনুসারী ও মুরিদরা ‘যুগ যুগ জিও তুমি, মওলানা ভাসানী’ স্লোগানে ক্ষণে ক্ষণে আওয়াজ তুলছেন- এ আওয়াজ আজ আকাশচুম্বি হবে। মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল চেগা মিয়া। তবে তিনি লাল মওলানা হিসেবেও সমধিক পরিচিত। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও তার জীবনের সিংহভাগই টাঙ্গাইলের সন্তোষে কাটিয়েছেন। সন্তোষের মাটিতেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত।
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। লাইন-প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন ইত্যাদি সহ সারাজীবনই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন।
তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন তৎকালীন রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। মওলানা ভাসানী পাক জান্তাদের ‘ওয়া আলাইকুম আসসালাম’ বলে বিদায় জানিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সর্বশেষ কীর্তি- ফারাক্কা লং মার্চ। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। বঙ্গবন্ধুও তাকে পিতার মতো শ্রদ্ধা করতেন।
মওলানা ভাসানীর নাতি আজাদ খান ভাসানী জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাজারে ফুলেল শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, তবারক বিতরণ এবং মজার প্রাঙ্গণে কয়েকদিনব্যাপী মেলা ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করা হবে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্ব স্ব কর্মসূচি পালন করবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপলোড টাইম : ০৯:৪৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪


আফ্রো-এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার ভুখা-নাঙ্গা গণমানুষের নেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। নির্লোভ আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৭৬ সালের এদিনে ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে সমাহিত করা হয়। মজলুম জননেতার ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে আজ ভোর থেকে ঢল নামবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। প্রয়াত এই নেতার মাজারে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে।
ক’দিন আগে থেকে মওলানা ভাসানীর ভক্ত, অনুসারী ও মুরিদানরা সন্তোষে এসেছেন। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানীর মাজার প্রাঙ্গণে বসেছে মেলা। বিভিন্ন সংগঠন-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা, সেমিনার চলছে। মাজার প্রাঙ্গণে ভক্ত, অনুসারী ও মুরিদরা ‘যুগ যুগ জিও তুমি, মওলানা ভাসানী’ স্লোগানে ক্ষণে ক্ষণে আওয়াজ তুলছেন- এ আওয়াজ আজ আকাশচুম্বি হবে। মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল চেগা মিয়া। তবে তিনি লাল মওলানা হিসেবেও সমধিক পরিচিত। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও তার জীবনের সিংহভাগই টাঙ্গাইলের সন্তোষে কাটিয়েছেন। সন্তোষের মাটিতেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত।
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। লাইন-প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন ইত্যাদি সহ সারাজীবনই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন।
তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন তৎকালীন রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। মওলানা ভাসানী পাক জান্তাদের ‘ওয়া আলাইকুম আসসালাম’ বলে বিদায় জানিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সর্বশেষ কীর্তি- ফারাক্কা লং মার্চ। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। বঙ্গবন্ধুও তাকে পিতার মতো শ্রদ্ধা করতেন।
মওলানা ভাসানীর নাতি আজাদ খান ভাসানী জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাজারে ফুলেল শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, তবারক বিতরণ এবং মজার প্রাঙ্গণে কয়েকদিনব্যাপী মেলা ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করা হবে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্ব স্ব কর্মসূচি পালন করবে।