ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

শৈলকুপায় কানাই-বলাই গ্রুপের গ্যাংলিডারসহ গ্রেপ্তার ২

আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সামাজিক দ্বন্দ্ব, হামলা-লুটপাট ও চাঁদাবাজদের গডফাদার হিসেবে পরিচিত কানাই-বলাই গ্রুপের গ্যাংলিডার সন্ত্রাসী জুয়েল হাসান ও রানা নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। গত বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে উপজেলার ভুলুন্দিয়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের নিকট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক এবং বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নব্বইয়ের দশকে তৎকালীন সক্রিয় গণবাহিনীর সন্ত্রাসী কানাই-বলাই দুই ভাই ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মাদক, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বহুবার কারাগারে বন্দী হয়েছে। দুই ভাইয়ের সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করতে তারা পরবর্তী বংশধরদেরও লেলিয়ে দিয়েছে। সারুটিয়া ইউনিয়নজুড়ে এই পরিবারটির প্রতি সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করেছে। পারিবারিক সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ঐতিহ্য ধরে রাখতে তারা দীর্ঘ বছর ধরে নানা অপরাধে জড়িয়ে রয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসী পরিবারের সদস্যরা হাট-বাজার, বালিমহল, গ্রাম্য সালিশ, দখলদারি, এমনকি রাজনৈতিক নেতাদেরও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। ইউনিয়নের অন্তত ১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে, যারা এই পরিবারটির ছত্রছায়ায় অপকর্মে লিপ্ত থাকে।

অতিষ্ঠ ইউনিয়নবাসীর গোপন অভিযোগের ভিত্তিতে কানাইয়ের ছেলে জুয়েল ও বলাইয়ের ছেলে রানাকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। এসময় তল্লাশি চালিয়ে একটি পিস্তল, ৬ বোতল ফেন্সিডিল এবং ২৫টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, রাতেই অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়ে এবং ভোরের আলো ফুটতেই কাতলাগাড়ী বাজারে সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। জুয়েল ও রানার গ্রেপ্তারের খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে এবং তারা মিষ্টি বিতরণ করেন। একইসঙ্গে গ্রামবাসী সারুটিয়া ইউনিয়নে সন্ত্রাসী পরিবারটির বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভূমিকায় ব্যাপক অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে শৈলকূপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান জানান, যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল ও রানার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

শৈলকুপায় কানাই-বলাই গ্রুপের গ্যাংলিডারসহ গ্রেপ্তার ২

আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

আপলোড টাইম : ০৮:২৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সামাজিক দ্বন্দ্ব, হামলা-লুটপাট ও চাঁদাবাজদের গডফাদার হিসেবে পরিচিত কানাই-বলাই গ্রুপের গ্যাংলিডার সন্ত্রাসী জুয়েল হাসান ও রানা নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। গত বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে উপজেলার ভুলুন্দিয়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের নিকট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক এবং বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নব্বইয়ের দশকে তৎকালীন সক্রিয় গণবাহিনীর সন্ত্রাসী কানাই-বলাই দুই ভাই ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মাদক, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বহুবার কারাগারে বন্দী হয়েছে। দুই ভাইয়ের সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করতে তারা পরবর্তী বংশধরদেরও লেলিয়ে দিয়েছে। সারুটিয়া ইউনিয়নজুড়ে এই পরিবারটির প্রতি সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করেছে। পারিবারিক সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ঐতিহ্য ধরে রাখতে তারা দীর্ঘ বছর ধরে নানা অপরাধে জড়িয়ে রয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসী পরিবারের সদস্যরা হাট-বাজার, বালিমহল, গ্রাম্য সালিশ, দখলদারি, এমনকি রাজনৈতিক নেতাদেরও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। ইউনিয়নের অন্তত ১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে, যারা এই পরিবারটির ছত্রছায়ায় অপকর্মে লিপ্ত থাকে।

অতিষ্ঠ ইউনিয়নবাসীর গোপন অভিযোগের ভিত্তিতে কানাইয়ের ছেলে জুয়েল ও বলাইয়ের ছেলে রানাকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। এসময় তল্লাশি চালিয়ে একটি পিস্তল, ৬ বোতল ফেন্সিডিল এবং ২৫টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, রাতেই অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়ে এবং ভোরের আলো ফুটতেই কাতলাগাড়ী বাজারে সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। জুয়েল ও রানার গ্রেপ্তারের খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে এবং তারা মিষ্টি বিতরণ করেন। একইসঙ্গে গ্রামবাসী সারুটিয়া ইউনিয়নে সন্ত্রাসী পরিবারটির বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভূমিকায় ব্যাপক অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে শৈলকূপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান জানান, যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল ও রানার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।