ইপেপার । আজ রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

ঝিনাইদহে মাদ্রাসাছাত্রকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ পৌর এলাকার শিকারপুর গ্রামে সাফওয়ান (৬) নামের শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তাকে পানি চুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবারের অভিযোগ। এ ঘটনায় একই গ্রামের ইসলাম উদ্দীনের ছেলে সোহান (১৫) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে। সাফওয়ান শিকারপুর গ্রামের ফাতেমা-মিজান হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার ছাত্র ছিল। সে একই গ্রামের জাম্মিম হোসেন সবুজ মালিথার ছেলে।

সাফওয়ানের মা সুমাইয়া খাতুন জানান, দুপুরের পর থেকে সাফওয়ানকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্ধ্যার দিকে দরিগোবিন্দপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে সাফওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সুমাইয়া খাতুন অভিযোগ করেন, সোহানই তার ছেলেকে হত্যা করেছে। এদিকে সাফওয়ানের বাবা জাম্মিম হোসেন সবুজ জানান, দীর্ঘদিন ধরে সোহান তার ছেলেকে নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখাতো। বিছানায় শুয়ে শুয়ে সাফওয়ান তাকে এ কথা বলতো আর ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে যেতো।

গ্রামবাসী শরিফুল ইসলাম জানান, সোহানকে আটকের পর শত শত মানুষের সামনে সে সাফওয়ানকে পানিতে চুবিয়ে চুবিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এদিকে সাফওয়ানের মুখে একাধিক নখের আঁচড় রয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে পানিতে চুবানোর সময় তাকে মারধর করা হতে পারে। ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গ্রামবাসীর হাতে আটক সোহানকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শিশু সাফওয়ানকে হত্যার মোটিভ উদ্ধারে প্রশাসনের একাধিক টিম কাজ করছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ঝিনাইদহে মাদ্রাসাছাত্রকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১০:০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ঝিনাইদহ পৌর এলাকার শিকারপুর গ্রামে সাফওয়ান (৬) নামের শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তাকে পানি চুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবারের অভিযোগ। এ ঘটনায় একই গ্রামের ইসলাম উদ্দীনের ছেলে সোহান (১৫) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে। সাফওয়ান শিকারপুর গ্রামের ফাতেমা-মিজান হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার ছাত্র ছিল। সে একই গ্রামের জাম্মিম হোসেন সবুজ মালিথার ছেলে।

সাফওয়ানের মা সুমাইয়া খাতুন জানান, দুপুরের পর থেকে সাফওয়ানকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্ধ্যার দিকে দরিগোবিন্দপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে সাফওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সুমাইয়া খাতুন অভিযোগ করেন, সোহানই তার ছেলেকে হত্যা করেছে। এদিকে সাফওয়ানের বাবা জাম্মিম হোসেন সবুজ জানান, দীর্ঘদিন ধরে সোহান তার ছেলেকে নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখাতো। বিছানায় শুয়ে শুয়ে সাফওয়ান তাকে এ কথা বলতো আর ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে যেতো।

গ্রামবাসী শরিফুল ইসলাম জানান, সোহানকে আটকের পর শত শত মানুষের সামনে সে সাফওয়ানকে পানিতে চুবিয়ে চুবিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এদিকে সাফওয়ানের মুখে একাধিক নখের আঁচড় রয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে পানিতে চুবানোর সময় তাকে মারধর করা হতে পারে। ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গ্রামবাসীর হাতে আটক সোহানকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শিশু সাফওয়ানকে হত্যার মোটিভ উদ্ধারে প্রশাসনের একাধিক টিম কাজ করছে।