চুয়াডাঙ্গা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ
সরেজমিন তদন্তে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা
- আপলোড টাইম : ০৩:৫৯:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
- / ২৭ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের স্ক্রাপের মালামাল পরিমাণে কম দেখিয়ে টেন্ডার না দিয়েই বিক্রির অভিযোগে দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করেছে। গতকাল সোমবার বেলা দুইটার দিকে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রধান, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক ও সরকারের উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমানসহ কমিটির সদস্যরা সরেজমিনে চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে তদন্ত করেন।
তদন্তে কমিটির সদস্যরা আলাদাভাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বক্তব্য নিয়েছেন। মূলত সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরেই স্ক্রাপের সাড়ে ১৩শ কেজি লোহা সরকারি হিসেবে ৪৫০ কেজি দেখিয়ে বিনা টেন্ডারে কম মূল্যে ভাংরিতে বিক্রির অভিযোগ ওঠে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, এতো বেশি পরিমাণে মালামাল নীতিমালা অনুসরণ করে কমিটির মাধ্যমেই টেন্ডার করে বিক্রি করতে হবে। নিয়মের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
এর আগে দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর অনুসন্ধানে উঠে আসে, চুয়াডাঙ্গা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিভিন্ন সময় স্ক্রাপের মালামাল জমে। ওই মালামাল বিক্রির জন্য সরকারি সম্পত্তি বিক্রয় নীতিমালা অনুসরণ করা হয়ে থাকে। তবে চুয়াডাঙ্গা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. আব্দুল মজিদ দায়িত্ব নেয়ার পর এই নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। ইচ্ছামতো যখন খুশি তেমন দামে তিনি মালামাল বিক্রি করে দেন। এবারও প্রায় ১৩শ কেজির ওপরে স্ক্রাপের লোহা-লক্কর হয়। এই মালামাল তিনি টেন্ডার বা পত্রিকায় নিলামের বিজ্ঞাপন না দিয়েই বিক্রি করে দেন। গত ১৭ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল মজিদ ৪৫০ কেজি স্ক্রাপ বিক্রয় বাবদ প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে দেখিয়ে ১৮ হাজার টাকা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে রাজস্ব জমা দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। আমি লিখিত এবং মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছি।’
মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রধান, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক ও সরকারের উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত করতে সরেজমিনে এসেছিলাম। সকলের কথা শুনেছি। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে আমরা মন্ত্রাণলয়ে পাঠাবো। তিনি আরও বলেন, সরকারি মালামাল নিয়ম মেনেই বিক্রি করতে হবে। এতে যদি কেউ দোষী হন, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রাণালয়।