ইপেপার । আজ শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের বিশেষ অভিযানে আ.লীগের ৬ নেতা-কর্মীসহ গ্রেপ্তার ১২

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:০৭:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের ৬ নেতা-কর্মীসহ মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার দিবাগত রাত ও গতকাল পৃথক সময়ে দামুড়হুদা, দর্শনা, সরোজগঞ্জ ও আলমডাঙ্গা থেকে বিভিন্ন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

দামুড়হুদায় চাঁদাবাজির মামলায় আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কার্পাসডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার নুর ইসলামের ছেলে আব্দুল কাদের (৩৫), দলিয়ারপুর গ্রামের মনোরুদ্দিনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩৫), বদনপুর গ্রামের মৃত কাশেম পণ্ডিতের ছেলে রেজাউল পণ্ডিত (৪৮) ও দামুড়হুদা দশমী পাড়ার মৃত তৈয়ব আলী মন্ডলের ছেলে শরিফুল আলম (৪০)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ নভেম্বর বেলা আড়াইটার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার বদনপুর গ্রামের নুহু নবীর ছেলে সাইদুর রহমানকে আব্দুল কাদের, জাহিদুল ইসলাম, রেজাউল পণ্ডিত ও শরিফুল আলমসহ ১০-১২ জন বদনপুর গ্রামে কাইজার পণ্ডিতের দোকানের সামনে আটকে রেখে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় দেশীও অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে তাকে বেধড়কভাবে মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজন সাইদুর রহমানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরে সাইদুর রহমান বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, চাঁদাবাজির মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

এদিকে, দশনা থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত রোববার দিন-রাত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন দর্শনা থানার হুলিয়ামারি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাজ্জাদুর রহমান ঝন্টু (৫৮), জয়নগর গ্রামের আজের আলীর ছেলে ইকরামুল (৪৪), পার কৃষ্ণপুর গ্রামের এসকাত আলীর ছেলে সোহাগ আলী( ৫৫), খেজুরতলা গ্রামের শওকত আলির ছেলে আব্দুল মতিন (৫৩), নেহালপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে রাশিদুল ইসলাম (৫৫), সড়াবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আনিসুর রহমান (৪৪)। তাদের গতকাল সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হয়।

জহুরুল ইসলাম জবি

অপর দিকে, চুয়াডাঙ্গা সদরের সরোজগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশের বিশেষ অভিযানে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জবি (৫৫) গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় ক্যাম্প পুলিশের এসআই ফায়াজী আজগার ও সঙ্গীয় ফোর্স সরোজগঞ্জ বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কুতুবপুর ইউনিয়নের নবীননগর গ্রামের মৃত যুরাত উদ্দীনের ছেলে জহুরুল ইসলাম বিভিন্ন মামলার আসামি। রাজনৈতিক এসকল মামলার সূত্রে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এসআই ফায়াজী আজগার।

আশিক আহমেদ কলিন্স

অন্যদিকে, আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের অভিযানে ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আশিক আহমেদ কলিন্স (৩০) গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বোয়ালিয়া গ্রামের আহার আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা আছে বলে থানার একটি সূত্র নিশ্চিত করে। ওসি জানান, মঙ্গলবার (আজ) তাকে চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের বিশেষ অভিযানে আ.লীগের ৬ নেতা-কর্মীসহ গ্রেপ্তার ১২

আপলোড টাইম : ০৩:০৭:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের ৬ নেতা-কর্মীসহ মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার দিবাগত রাত ও গতকাল পৃথক সময়ে দামুড়হুদা, দর্শনা, সরোজগঞ্জ ও আলমডাঙ্গা থেকে বিভিন্ন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

দামুড়হুদায় চাঁদাবাজির মামলায় আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কার্পাসডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার নুর ইসলামের ছেলে আব্দুল কাদের (৩৫), দলিয়ারপুর গ্রামের মনোরুদ্দিনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩৫), বদনপুর গ্রামের মৃত কাশেম পণ্ডিতের ছেলে রেজাউল পণ্ডিত (৪৮) ও দামুড়হুদা দশমী পাড়ার মৃত তৈয়ব আলী মন্ডলের ছেলে শরিফুল আলম (৪০)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ নভেম্বর বেলা আড়াইটার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার বদনপুর গ্রামের নুহু নবীর ছেলে সাইদুর রহমানকে আব্দুল কাদের, জাহিদুল ইসলাম, রেজাউল পণ্ডিত ও শরিফুল আলমসহ ১০-১২ জন বদনপুর গ্রামে কাইজার পণ্ডিতের দোকানের সামনে আটকে রেখে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় দেশীও অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে তাকে বেধড়কভাবে মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজন সাইদুর রহমানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরে সাইদুর রহমান বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, চাঁদাবাজির মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

এদিকে, দশনা থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত রোববার দিন-রাত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন দর্শনা থানার হুলিয়ামারি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাজ্জাদুর রহমান ঝন্টু (৫৮), জয়নগর গ্রামের আজের আলীর ছেলে ইকরামুল (৪৪), পার কৃষ্ণপুর গ্রামের এসকাত আলীর ছেলে সোহাগ আলী( ৫৫), খেজুরতলা গ্রামের শওকত আলির ছেলে আব্দুল মতিন (৫৩), নেহালপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে রাশিদুল ইসলাম (৫৫), সড়াবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আনিসুর রহমান (৪৪)। তাদের গতকাল সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হয়।

জহুরুল ইসলাম জবি

অপর দিকে, চুয়াডাঙ্গা সদরের সরোজগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশের বিশেষ অভিযানে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জবি (৫৫) গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় ক্যাম্প পুলিশের এসআই ফায়াজী আজগার ও সঙ্গীয় ফোর্স সরোজগঞ্জ বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কুতুবপুর ইউনিয়নের নবীননগর গ্রামের মৃত যুরাত উদ্দীনের ছেলে জহুরুল ইসলাম বিভিন্ন মামলার আসামি। রাজনৈতিক এসকল মামলার সূত্রে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এসআই ফায়াজী আজগার।

আশিক আহমেদ কলিন্স

অন্যদিকে, আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের অভিযানে ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আশিক আহমেদ কলিন্স (৩০) গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বোয়ালিয়া গ্রামের আহার আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা আছে বলে থানার একটি সূত্র নিশ্চিত করে। ওসি জানান, মঙ্গলবার (আজ) তাকে চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করা হবে।