উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়ার ৫ পুরস্কার
- আপলোড টাইম : ০৯:৫৬:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
- / ৪৭ বার পড়া হয়েছে
উত্তম চরিত্র অমূল্য নেয়ামত। এটি মুমিনের ইমানকে পূর্ণতা দেয়। মহানবী (সা.) ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। তাঁর অনুসারীরা কখনো মন্দ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ধারণ করতে পারে না। তাই মুসলমান মাত্রেরই উচিত, সব ধরনের উত্তম চারিত্রিক গুণাবলি ধারণ করা এবং মন্দ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এড়িয়ে চলা। নিজের পরিবার-পরিজনকেও উত্তম চরিত্র শেখানো উচিত। কারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্জন করে নিতে হয়, তা জন্মগত হয় না। এ ক্ষেত্রে উত্তম চরিত্রের পরকালীন সাফল্য আলোচনাও উপকারী। এখানে উত্তম চরিত্রের কয়েকটি পরকালীন পুরস্কারের কথা তুলে ধরা হলো: ১. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি চরিত্র সুন্দর করবে, আমি সর্বোত্তম জান্নাতে তার জন্য ঘরের দায়িত্ব নেব।’ (আবু দাউদ: ৪৮০২) ২. রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘কোন আমল জান্নাতে প্রবেশের জন্য বেশি সহায়ক হবে?’ নবীজি বললেন, ‘আল্লাহর ভয় ও উত্তম চরিত্র।’ (তিরমিজি: ২০০৪) ৩. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইমানের হিসাবে সর্বোত্তম মুমিন সে, যে চরিত্রের দিক দিয়ে সর্বোত্তম।’ (মুসনাদে আহমদ: ৭৪০২) ৪. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি চারিত্রিক গুণাবলি পরিপূর্ণ করার জন্য প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসনাদে আহমদ: ৮৯৩৯) ৫. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন তোমাদের মধ্যে আমার বেশি প্রিয় এবং আমার মজলিসের বেশি নিকটবর্তী থাকবে তারাই, যারা তোমাদের ভেতর সবচেয়ে বেশি চরিত্রবান।’ (তিরমিজি: ২০১৮) আমাদের উচিত, সমাজে চারিত্রিক সৌন্দরে্যর বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। মানুষ যেন আমার চলন-বলন দেখেই মুগ্ধ হয় এবং আমার আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হয়।