গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই: তারেক রহমান
- আপলোড টাইম : ০৮:২৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩১ বার পড়া হয়েছে
ছাত্র-জনতার অভ্্ুযত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজধানীতে এই প্রথম বড় পরিসরে শোভাযাত্রা (র্যালি) করেছে বিএনপি। জাতীয় বিপস্নব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টন থেকে শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য র্যালিতে বিপুলসংখ্যক মানুষের ঢল নামিয়ে বিগত ১৭ বছর পর রাজধানীতে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিয়েছে দলটি। র্যালিকে ঘিরে নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন সমর্থক আর সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে পুরো নয়াপল্টন এলাকা ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
র্যালি পূর্ব সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই উলেস্নখ করে এর বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। পর্রে যালির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
এদিকে বিএনপির ঘোষিত র্যালিতে অংশ নিতে বেলা ১১টা থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানা এবং ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। মোড়ে মোড়ে এবং অলিগলিতে জমায়েত হয়ে বিভিন্ন সেস্নাগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলেন তারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মতিঝিল থেকে ফকিরেরপুল-কাকরাইল ছাড়িয়ে মৎস্য ভবন পর্যন্ত হাজার হাজার নেতাকর্মীর এই সমাবেশে জনসমুদ্রে রূপ নেয়। বিকেল ৪টায় নয়াপল্টন থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁর মোড় থেকে শুরু হওয়ার র্যালিটি কাকরাইল মোড়-কাকরাইল মসজিদ-মৎস্য ভবন-ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট-শাহবাগ-হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-বাংলামোটর-কারওয়ান বাজার-ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়। আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এর্ই যালির কারণে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়। বন্ধের দিনও যানজটে নাকাল হতে হয় ঢাকাবাসীকে। অনেক যাত্রী হেঁটে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হন।
বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটে উদ্বোধনী বক্তব্য শুরু করেন তারেক রহমান। ৪ মিনিটের বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘স্বাধীনতা প্রিয় জনগণকে আমি একটি বিষয় আবারও স্মরণ করিয়ে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানাতে চাই, আমি নিজেও সতর্ক থাকতে চাই। গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো কিন্তু থেমে নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা দেশে-বিদেশে, শাসনে-প্রশাসনে এখনো সক্রিয়। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না।’