নানা আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
৭ নভেম্বরের তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেবার প্রত্যয়
- আপলোড টাইম : ১১:৫০:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
- / ২৭ বার পড়া হয়েছে
যথাযথ মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে পৃথকভাবে নানা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের উদ্যোগে সদর উপজেলা ও পৌর যুবদলের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র্যালি করা হয়েছে। র্যালিটি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট চত্বর থেকে শহর অভিমুখে যাত্রা করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কোর্ট মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে শেষ হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ব্রিগেডের খালেদরা উল্লাসের মাধ্যমে শহীদ জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতায় আনতে চায়নি। তাদের বড় পরিকল্পনা ছিল জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার। এই ষড়যন্ত্রের পেছনে অনেকেরই মদদ ছিল কিন্তু তা রুখে দিয়েছিল তৎকালীন সিপাহি-জনতা। আমাদের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে, বুঝতে হবে। নইলে আমরা যতই বলি যে জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে চলব, তা সম্ভব হবে না। দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্যই জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল। একই কাজটি আবারও করা হয়েছে গত ১৮ বছর ধরে। আমরা মনে করি ২৪ এর অভ্যুত্থান আমাদের তৃতীয় স্বাধীনতা কেননা দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছিল ৭৫ এর ৭ নভেম্বরে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে। এসময় বক্তারা ৭ নভেম্বরের তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝণ্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মো. রাজিব খান, সহসভাপতি তৌফিকুজ্জামান তৌফিক, সহ-সাধারণ সম্পাদক হুসাইন মো. আমির, সাইফুল ইসলাম সুমন, দপ্তর সম্পাদক মামুন উর রশিদ টনিক, কোষাধ্যক্ষ মোমিনুর রহমান মোমিন, সহ-দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান, সহ-পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সম্পাদক আবু সাঈদ, সদর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মতিউর রহমান মিশর, সদস্যসচিব ইমরান মহলদার রিণ্টু, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক বিপুল হাসান হ্যাজি, সদস্যসচিব আজিজুল হক, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হানুল ইসলাম কাজল, হাফিজুর রহমান হ্যাপি, সোহেল রানা নাজমুল, হাফিজুর রহমান, আমির হোসেন মেম্বার, হাসান মালিক, আব্দুল্লাহ আল মাহাবুব, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিলন আলী লিমন, লালন সর্দার প্রমুখ।
এদিকে, নানা আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম পিটুর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে বড় বাজার, শহীদ হাসান চত্বরসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাহিত্য পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম পিটুর সভাপতিত্বে সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে শফিকুল ইসলাম পিটু বলেন, ‘৭ই নভেম্বরের চেতনাকে বিগত ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার ভূলুণ্ঠিত করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকেরা এ দেশের ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছি। আগামীতেও আমরা এই বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করব, ইনশাআল্লাহ।’
র্যালি ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ শরিফুল আলম বিলাস, সহসভাপতি আলাউদ্দিন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হামিদ উদ্দিন বাবু, প্রচার সম্পাদক মাবুদ সরকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল ওহাব, গ্রাম উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আলিম জোরদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ রনি, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক বাবুল শাহ বাবু, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আহ্বায়ক এসএম হাসান, চুয়াডাঙ্গা পৌর আহ্বায়ক রুবেল হাসান, উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম শাহরিয়ার লিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক সানোয়ার মেম্বার, পৌর যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ, মহাসিন আলী এনামুল হক ইমন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সানোয়ার হোসেন, সাইদুর রহমান পলাশ, তুহিন আহমেদ, ফরিদুজ্জামান ফরিদ, ইলিয়াস হোসেন, রাসেল, সোহাগ, রাশেদ, নাসিম মুরাদ, হাবলু, বাবুল, সজল, সবুজ, মনোয়ার, রায়হানসহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নির্দেশে জেলার বিভিন্ন কলেজ ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট। লিফলেটে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হয়। লিফলেট বিতরণের সময় ছাত্রদলের নেতারা বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও বিগত শাসক স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে তা মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। ৭ নভেম্বর যদি সিপাহি-জনতার সংহতি না হতো, তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তো। সেদিন শহিদ জিয়াউর রহমান তাঁর ওপর অর্পিত গুরু দায়িত্ব পালনে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন বলেই নতুন বাংলাদেশের আত্ম প্রকাশ ঘটেছিল।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. শাহাজান খান, সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা, সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হাদিদ জিতু, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফয়সাল ইকবাল, সদস্যসচিব সাইমুম আরাফাত, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু বক্কর, যুগ্ম আহ্বায়ক রকিবুল হাসান, সদস্য আরিয়ান খোকন, আকরাম হোসেন সবুজ, জেলা সদস্য শোয়েব তিতাস, পৌর সদস্য আরমান খান প্রমুখ।
আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজে লিফলেট বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শুভ, সদস্যসচিব আল ইমরান রাসেল, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিক হাসনাত রিংকু, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাওন আহমেদ, টিপু সুলতান, বেলগাছি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সালেক মাহমুদ নিরব প্রমুখ। দর্শনা সরকারি কলেজে লিফলেট বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান, সদস্যসচিব পলাশ আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন মুফা, যুগ্ম আহ্বায়ক আসিফ হাসান, সদস্য শোয়েব খান প্রমুখ। জীবননগর ডিগ্রি কলেজে লিফলেট বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. জিল্লুর রহমান, সদস্যসচিব মোকছেদুর রহমান রিমন, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী, মো. আফ্রিদি, জীবননগর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কিরণ, হাসনাত রাসেল, যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান জয়, সবুজ হোসেন প্রমুখ।
এদিকে, আগামী ২৩ নভেম্বর বিএনপির জেলা সম্মেলনের প্রস্তুতি এবং ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন কৃষক দলের সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সরোজগঞ্জে এই সভা ও র্যালি করা হয়। এসময় উপািস্থত ছিলেন শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি রায়হান উদ্দীন, সহসভাপতি ইউনুস মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক তোতা মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন।
অপর দিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে হাটবোয়ালিয়া ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইসমাইল হুদার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি টিপু সুলতান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আতাউল হুদা, সাংগঠনিক সম্পাদক আ. মাবুদ, যুবদলের থানা সদস্য সেলিম রেজা, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি হাসেম আলী প্রমুখ।
অন্য দিকে, দামুড়হুদার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হাউলী ইউনিয়ন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি ডুগডুগি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে কাঁঠালতলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে ডুগডুগি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলোচনা সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল জাহিদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তোহফাতুর রিংকু, প্রকাশনা সম্পাদক জুয়েল রানা, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিম আহাম্মদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবু নোমান পাপন, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ডালিম রেজা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ওয়ায়েস আল আমিন, সহ-কোষাধ্যক্ষ শাকিল আহম্মেদ শুভ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সদস্য অমিত হাসান রবিন, তানভীর সোহেল, জাহাঙ্গীর আলম সুইট, তানভীর আক্তার, জেলা ছাত্র দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকলাস মুন রায়হান, দপ্তর সম্পাদক সোহেল রানা, বিজ্ঞান ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান সাজু, সহ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক বাপ্পা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য রাজু আহাম্মেদ, রায়হানুল করিম বাপ্পি, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য খায়রুল ইমতিয়াজ তুষ্ট, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য জসিম, বায়জিদ, বাবু, কাকন, ইয়াসিন আরাফাত, শাকিল হোসেন প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন হাউলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুল হক।
এদিকে, সারা দেশের ন্যায় যথাযথ মর্যাদায় দর্শনায় পৃথক স্থানে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় দর্শনা পৌর বিএনপির উদ্যোগে দর্শনা পুরাতন বাজার সংলগ্ন পৌর বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট বলেন, আজ ইতিহাসের মোড় ঘোরানো দিন হিসেবে পরিচিত ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। এই দিবসটির মহানায়ক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তরফদার সাবু। উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপি নেতা দর্শনার সমন্বয় কমিটির সদস্য শরীফ উদ্দীন, মশিউর রহমান, নাসির উদ্দীন খেদু, মাহবুবুল রহমান খোকন, লুৎফর রহমান, রেজাউল ইসলাম, মমিনুল ইসলাম, পৌর যুব দলের আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, থানা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দীন লিটন, যুবদল নেতা মুস্তাফিজুর রহমান মোহন, রকিবুল হোসেন ব্রাইট, আরুক, মাহাবুল, মোর্শেদ লিংকন, আশিক, দর্শনা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব পলাশ আহম্মেদ, দর্শনা পৌর সেস্বছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান মাস্টার, সদস্যসচিব রাশেদ আহম্মেদ, আলতাফ হোসেন, আব্দুস ছাত্তার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক নাহারুল ইসলাম মাস্টার।
অপর দিকে, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য খন্দকার শওকত আলী, এনামুল হক শাহ মুকুল ও ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে দর্শনা রেল ইয়ার্ড থেকে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক এনামুল হক শাহ মুকুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপি নেতা হাজী খন্দকার শওকত আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সমন্বয়ক মালেক মন্ডল, হাবিবুল্লাহ বিশ্বাস, দর্শনা পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি নজির আমিন, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, দর্শনা থানা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক শরিফ উদ্দিন, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
অন্যদিকে, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মিছিল ও সমাবেশ করেছে মেহেরপুর সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজনের নেতৃত্বে মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড় থেকে একটি বিশাল মিছিল বের হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে এসে শেষ হয়। এসময় বিএনপির অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়ে পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রহমান, ইলিয়াস হোসেন, সদর উপজেলায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাবেদ সেনজিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মিণ্টু প্রমুখ।
এদিকে, মেহেরপুরের গাংনীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪টার দিকে গাংনী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এই গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়। গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপি গণসমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন।
অপর দিকে, যথাযথ মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় ঝিনাইদহ শহরে জেলা বিএনপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। এর আগে সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া ও মহল্লা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহরের উজির আলী স্কুল মাঠে নেতা-কর্মীরা জড়ো হন। দুপুর নাগাদ বিশাল মাঠটি নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে মহাসমাবেশে পরিণত হয়।
র্যালির আগে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদ, কে এম ওয়াজেদ, জাহিদুজ্জামান মনা, মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, আলমগীর হোসেন, সাজেদুর রহমান পাপপু, যুবদল নেতা আহসান হাবিব রণক, আশরাফুল ইসলাম পিণ্টু, ছাত্রদল নেতা সোমেনুজ্জামান সমেন, মুশফিকুর রহমান মানিক ও মহিলা দল নেত্রী কামরুন্নাহার লিজি।
সমাবেশে প্রধান অতিথি অ্যাড. এম এ মজিদ বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা অনেক তাজা প্রাণ ও রক্তের বিনিময় দেশকে সাড়ে ১৫ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত করেছে এবং দেশের সামরিক বাহিনী ছাত্র-জনতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা এমনি এক সময় ৭ নভেম্বর পালন করতে যাচ্ছি, যখন জাতি নানা সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবিলায় ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সকল মুক্তিকামী জনতা রাজপথে নেমেছিল। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মেজর জে. খালেদ মোশাররফ পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করেছিল। তখন আমাদের দেশপ্রেমিক সিপাহি ও জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে ৭ নভেম্বর রাজপথে নেমে খালেদ মোশাররফের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত প্রতিহত করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হেফাজত করেছিল।
এদিকে দিবসটি পালনে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, শৈলকুপা, হরিণাকুণ্ডুু, মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলায় র্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলসহ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।