ইপেপার । আজ শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বর্ষীয়ান রাজনীতিক তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় বিএনপি নেতা শরীফ

মানুষকে কনভিন্স করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল তাঁর

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪২:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

প্রয়াত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ। তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “আমার মনে পড়ে, তিনি আমাকে বলতেন, ‘শরীফ, পত্রিকার সংবাদের শিরোনামগুলো পড়।’ আমি শিরোনাম পড়তাম এবং যে সংবাদটি তাঁর ভালো লাগতো, সেটি সম্পূর্ণ পড়ে শুনাতাম। তখন আমি ঢাকায় থাকতাম, প্রতিদিন বাসে চড়ে প্রথমে গুলিস্তান, তারপর সেখান থেকে হাসপাতালে যেতাম শুধু তার কথাগুলো শুনতে।”

শরীফুজ্জামান আরও বলেন, ‘যখন তিনি বারডেম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তখনও দেখেছি তিনি দেশের খবর সবসময় হাতে রাখতেন। তাঁর সঙ্গে রাজনীতি করার সুযোগ পাওয়া আমাদের জন্য সত্যিই সৌভাগ্যের ব্যাপার ছিল। মানুষকে কনভিন্স করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল তাঁর।’ শরীফুজ্জামান স্মরণ করিয়ে দেন তরিকুল ইসলামের আশাবাদী মনোভাবের কথা। বলেন, “তিনি বলতেন, ‘আমাদের একটিই আশার আলো, আমরা জাতীয়তাবাদী দল করি। এই দলকে ধরে রাখুন, নিশ্চয়ই ভালো কিছু পাবেন।”

দেশ স্বাধীনের পর ২০১৪ সালের আন্দোলনের কথাও উল্লেখ করেন শরীফুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সেই দুর্বার আন্দোলনে তরিকুল ইসলামের বিশাল ভূমিকা ছিল। যদিও ঢাকায় আন্দোলনটি যথাযথভাবে শক্তিশালী না হওয়ায় সফল হতে পারেনি, তবে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির উদ্যোগে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা। এতে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ।

স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মহিলা দলের সভাপতি রউফ উর নাহার রিনা, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার ও কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন। জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিমের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান পল্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব তোবারক হোসেন, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান ও জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা পারভীন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, নাজমুল আরেফিন কিরণ, মহিলা দলের সিনিয়র সহসভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর শেফালী খাতুন, সদর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মতিউর রহমান মিশর প্রমুখ। সভা শেষে প্রয়াত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন জেলা ওলামা দলের সদস্যসচিব মওলানা আনোয়ার হোসেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বর্ষীয়ান রাজনীতিক তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় বিএনপি নেতা শরীফ

মানুষকে কনভিন্স করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল তাঁর

আপলোড টাইম : ০৯:৪২:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

প্রয়াত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ। তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “আমার মনে পড়ে, তিনি আমাকে বলতেন, ‘শরীফ, পত্রিকার সংবাদের শিরোনামগুলো পড়।’ আমি শিরোনাম পড়তাম এবং যে সংবাদটি তাঁর ভালো লাগতো, সেটি সম্পূর্ণ পড়ে শুনাতাম। তখন আমি ঢাকায় থাকতাম, প্রতিদিন বাসে চড়ে প্রথমে গুলিস্তান, তারপর সেখান থেকে হাসপাতালে যেতাম শুধু তার কথাগুলো শুনতে।”

শরীফুজ্জামান আরও বলেন, ‘যখন তিনি বারডেম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তখনও দেখেছি তিনি দেশের খবর সবসময় হাতে রাখতেন। তাঁর সঙ্গে রাজনীতি করার সুযোগ পাওয়া আমাদের জন্য সত্যিই সৌভাগ্যের ব্যাপার ছিল। মানুষকে কনভিন্স করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল তাঁর।’ শরীফুজ্জামান স্মরণ করিয়ে দেন তরিকুল ইসলামের আশাবাদী মনোভাবের কথা। বলেন, “তিনি বলতেন, ‘আমাদের একটিই আশার আলো, আমরা জাতীয়তাবাদী দল করি। এই দলকে ধরে রাখুন, নিশ্চয়ই ভালো কিছু পাবেন।”

দেশ স্বাধীনের পর ২০১৪ সালের আন্দোলনের কথাও উল্লেখ করেন শরীফুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সেই দুর্বার আন্দোলনে তরিকুল ইসলামের বিশাল ভূমিকা ছিল। যদিও ঢাকায় আন্দোলনটি যথাযথভাবে শক্তিশালী না হওয়ায় সফল হতে পারেনি, তবে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির উদ্যোগে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা। এতে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ।

স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মহিলা দলের সভাপতি রউফ উর নাহার রিনা, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার ও কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন। জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিমের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান পল্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব তোবারক হোসেন, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান ও জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা পারভীন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, নাজমুল আরেফিন কিরণ, মহিলা দলের সিনিয়র সহসভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর শেফালী খাতুন, সদর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মতিউর রহমান মিশর প্রমুখ। সভা শেষে প্রয়াত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন জেলা ওলামা দলের সদস্যসচিব মওলানা আনোয়ার হোসেন।