সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট বদলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ
চুয়াডাঙ্গায় রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন- আপলোড টাইম : ০৯:৩৬:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৬ বার পড়া হয়েছে
ঢাকাগামী আন্তঃনগর ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ এবং ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং চুয়াডাঙ্গা স্টেশন হয়ে চলাচল অব্যহত রাখার দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি খুলনা থেকে ছাড়ার পর চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছালে স্থানীয় সর্বস্তরের জনগণ রেলস্টেশনে ট্রেনটি আটকে রেখে রেললাইনের ওপর বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। এসময় বিক্ষোভকারীরা ট্রেনটি আটকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে অবরোধকারীরা রেলপথ থেকে সরে গেলে ট্রেনটি ১০ মিনিট বিলম্বে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ে।
বিক্ষোভকারীরা জানান, খুলনা থেকে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ এবং বেনাপোল থেকে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেন দুটি ১৫ নভেম্বর থেকে চুয়াডাঙ্গা পরিহার করে যশোর-নড়াইল হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় যাওয়ার কথা। এই খবর চুয়াডাঙ্গা জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। ট্রেন দুটির রুট পরিবর্তন হলে চুয়াডাঙ্গাসহ আশপাশের জেলার মানুষ রেলসেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই তাঁরা রেলপথ অবরোধ ও মানববন্ধন করেন।
চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় ট্রেন যাত্রী সালমান হোসেন বলেন, “আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ও ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেন দুটি চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রত্যাহার করে যশোর-খুলনা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় যাবে বলে শুনেছি। এটি কোনোভাবেই আমরা হতে দেব না। এমন সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আমি চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে মানববন্ধন করছি।”
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাকিব বিশ্বাস বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে ট্রেন কেন, একটি পাথর আমরা সরাতে দেব না। ট্রেন দুটি তো থাকবেই, আমরা অনেক আগে থেকে আরও নতুন ট্রেন স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছি। সেই দাবি না মানলে আমরা কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, “শুনেছি ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ও ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেন দুটি চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রত্যাহার করে যশোর-খুলনা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় যাবে। আজ (গতকাল সোমবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এলাকাবাসী হঠাৎ বিক্ষোভ শুরু করে। ঢাকাগামী আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশনে পৌঁছালে বিক্ষোভকারীরা রেললাইনের উপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। আমি তাদেরকে বুঝিয়েছি এবং আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানোর জন্য বলেছি। পরে বিক্ষোভকারীরা রেললাইন থেকে সরে যান।’ তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভের কারণে আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১০ মিনিট বিলম্বে চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ে।’