ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মেহেরপুরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার রায়

খালাস পেলেন জামায়াতের ২০০ নেতা-কর্মী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩২:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরে ২০১৩ সালে পুলিশের করা মামলায় জামায়াতের ২০০ নেতা-কর্মী খালাস পেয়েছেন। গতকাল সোমবার জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিক এ রায় দেন। তাদের খালাসের নির্দেশ দেন। এদের মধ্যে শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মুকুল, মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমির ও পৌর কাউন্সিলর সোহেল রানা ডলার, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি খাইরুল বাশার ও গাংনী পৌর জামায়াতের সাবেক আমির আব্দুল মজিদ উল্লেখযোগ্য।
২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মুজিবনগর উপজেলার গৌরীনগর গ্রামের খালের পাশে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এসময় মুজিবনগর থানা পুলিশ জামায়াত নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ ও জামায়াত নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শিবির কর্মী দেলোয়ার হোসেনসহ ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ দেলোয়ার হোসেনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ অন্যরা হলেন- শিবিরকর্মী হাসিবুল ইসলাম, রাফিউল ইসলাম, জামায়াতকর্মী আক্তারুজ্জামান, আব্দুস সালাম ও মানিক হোসেন। এসময় মুজিবনগর থানা পুলিশের তৎকালীন ওসি রবিউল ইসলাম, এসআই মান্নানসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ এনে মুজিবনগর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে জামায়াত-শিবিরের ২০০ নেতা-কর্মীর নামে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন মেহেরপুরের সভাপতি ও তৎকালীন বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মুকুল। এছাড়া মামলার উল্লেখযোগ্য নেতারা হলেন- মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমির সোহেল রানা ডলার, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি খাইরুল বাশার, গাংনী পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল মজিদ। মামলাটি দীর্ঘদিন চলার পরে গতকাল সোমবার দুপুরে নির্ধারিত দিনে জামায়াত-শিবিরের ২০০ নেতা-কর্মী আদালতে উপস্থিত হলে বিচারক সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।
মেহেরপুর জেলা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল জানান, ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে পুলিশ জামায়াত ইসলামীর অসংখ্য নেতা-কর্মীর নামে গত ১৬ বছরে ৮৬টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছিলে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে। স্বৈরাচার সরকারের আমলে এসব মামলায় জামায়াতের শতাধিক নারী নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। জামায়াত-শিবিরের শত শত নেতা-কর্মীকে রিমান্ডের নামে করা হয়েছে অমানবিক নির্যাতন। এ মামলাসহ ১১টিতে খালাস পেয়েছেন আসামিরা। বাকি মিথ্যা মামলাগুলো থেকেও দ্রুত খালাস পাবেন এ প্রত্যাশা জামায়াত নেতাদের।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার রায়

খালাস পেলেন জামায়াতের ২০০ নেতা-কর্মী

আপলোড টাইম : ০৯:৩২:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

মেহেরপুরে ২০১৩ সালে পুলিশের করা মামলায় জামায়াতের ২০০ নেতা-কর্মী খালাস পেয়েছেন। গতকাল সোমবার জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিক এ রায় দেন। তাদের খালাসের নির্দেশ দেন। এদের মধ্যে শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মুকুল, মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমির ও পৌর কাউন্সিলর সোহেল রানা ডলার, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি খাইরুল বাশার ও গাংনী পৌর জামায়াতের সাবেক আমির আব্দুল মজিদ উল্লেখযোগ্য।
২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মুজিবনগর উপজেলার গৌরীনগর গ্রামের খালের পাশে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এসময় মুজিবনগর থানা পুলিশ জামায়াত নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ ও জামায়াত নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শিবির কর্মী দেলোয়ার হোসেনসহ ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ দেলোয়ার হোসেনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ অন্যরা হলেন- শিবিরকর্মী হাসিবুল ইসলাম, রাফিউল ইসলাম, জামায়াতকর্মী আক্তারুজ্জামান, আব্দুস সালাম ও মানিক হোসেন। এসময় মুজিবনগর থানা পুলিশের তৎকালীন ওসি রবিউল ইসলাম, এসআই মান্নানসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ এনে মুজিবনগর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে জামায়াত-শিবিরের ২০০ নেতা-কর্মীর নামে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন মেহেরপুরের সভাপতি ও তৎকালীন বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মুকুল। এছাড়া মামলার উল্লেখযোগ্য নেতারা হলেন- মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমির সোহেল রানা ডলার, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি খাইরুল বাশার, গাংনী পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল মজিদ। মামলাটি দীর্ঘদিন চলার পরে গতকাল সোমবার দুপুরে নির্ধারিত দিনে জামায়াত-শিবিরের ২০০ নেতা-কর্মী আদালতে উপস্থিত হলে বিচারক সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।
মেহেরপুর জেলা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল জানান, ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে পুলিশ জামায়াত ইসলামীর অসংখ্য নেতা-কর্মীর নামে গত ১৬ বছরে ৮৬টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছিলে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে। স্বৈরাচার সরকারের আমলে এসব মামলায় জামায়াতের শতাধিক নারী নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। জামায়াত-শিবিরের শত শত নেতা-কর্মীকে রিমান্ডের নামে করা হয়েছে অমানবিক নির্যাতন। এ মামলাসহ ১১টিতে খালাস পেয়েছেন আসামিরা। বাকি মিথ্যা মামলাগুলো থেকেও দ্রুত খালাস পাবেন এ প্রত্যাশা জামায়াত নেতাদের।