কমলা নাকি ট্রাম্প, রায় আজ
- আপলোড টাইম : ০৯:৩০:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩১ বার পড়া হয়েছে
সারা বিশ্বের মানুষের আগ্রহের অবসান ঘটিয়ে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির মসনদে কে বসছেন- ডোনাল্ড ট্রাম্প, নাকি কমলা হ্যারিস, তা নির্ধারণ করবেন ভোটাররা। এবারের নির্বাচন ঘিরে সবার মনেই বড় প্রশ্ন- হোয়াইট হাউস কি প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেতে যাচ্ছে, নাকি আবারো ফিরছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল নির্ধারণী ৭টি সুইং রাজ্যের সবকটিতে এগিয়ে থেকে উজ্জ্বল অবস্থানে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন কমলা হ্যারিস। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট- দলীয় দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে বিভিন্ন সংস্থা, গণমাধ্যম ও প্রতিষ্ঠানের চালানো জনমত জরিপে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চূড়ান্ত ফল নির্ধারণী সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান ৭ অঙ্গরাজ্যে শেষ সময়ের জরিপে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে চমক দেখা গেছে। গতকাল সোমবার ব্রাজিলভিত্তিক জরিপ সংস্থা অ্যাটলাস ইনটেলের জনমত জরিপের ফলে বলা হয়েছে, দোদুল্যমান ৭ রাজ্যের সব কয়টিতে কমলা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তাদের ব্যবধান একেবারে সামান্য। দুজনের মধ্যে ব্যাপক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে অন্যান্য জনমত জরিপেও।
অ্যাটলাস ইনটেলের জরিপের ফলে দেখা যায়, দোদুল্যমান রাজ্য অ্যারিজোনায় জরিপে অংশ নেয়াদের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং হ্যারিসের প্রতি ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ সমর্থন জানিয়েছেন। নেভাদায় জরিপে অংশ নেয়া ৫১ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এবং ৪৬ শতাংশ কমলাকে সমর্থন জানিয়েছেন। নর্থ ক্যারোলিনায় ট্রাম্প ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ১ শতাংশ জনসমর্থন। জর্জিয়ায় ৫০ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এবং ৪৭ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ কমলাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান বলে জানিয়েছেন। মিশিগানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি ৪৯ দশমিক ৭ শতাংশ এবং হ্যারিসের প্রতি ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ সমর্থন জানিয়েছেন। পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্প ৪৯ দশমিক ৬ শতাংশ ও কমলা হ্যারিস ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ এবং উইসকনসিনে ট্রাম্প ৪৯ দশমিক ৭ শতাংশ এবং হ্যারিস ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ জনসমর্থন পেয়েছেন।
অ্যাটলাস ইনটেল বলেছে, ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ও সবচেয়ে নির্ভুল জনমত জরিপ প্রকাশ করেছিল তারা। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেকটি দোদুল্যমান রাজ্যে করা তাদের জনমত জরিপের ফল সঠিক হয়েছিল। দেশটির ৭ রাজ্যে অ্যাটলাসের পরিচালিত এই জনমত জরিপে গড়ে এগিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে তিনি কমলা হ্যারিসের ৪৭ দশমিক ২ শতাংশের তুলনায় ৪৯ শতাংশ জনসমর্থন পেয়েছেন।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস :
মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজের জরিপ অনুযায়ী, এবারে হোয়াইট হাউসের দৌড় অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে যাচ্ছে। জনমত জরিপে নেভাদা, নর্থ ক্যারোলিনা এবং উইসকনসিনে সামান্য ব্যবধানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস। আর অ্যারিজোনায় এগিয়ে আছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মিশিগান, জর্জিয়া এবং পেনসিলভানিয়াতেও দুজনের মাঝে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে। জরিপে অংশ নেয়া প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটার এরই মধ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন। আর আগাম ভোট দেয়াদের মাঝে ট্রাম্পের চেয়ে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন কমলা হ্যারিস। তবে এখনো যারা ভোট দেননি তাদের মাঝে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক বেশি।
নিউইয়র্ক টাইমের জরিপ অনুযায়ী, পেনসিলভানিয়া রাজ্যেও ট্রাম্পের চেয়ে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে কমলা। তবে এই রাজ্যে পূর্বের তুলনায় ট্রাম্পের পক্ষে জনগণের মাঝে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের প্রকাশ করা চূড়ান্ত জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, ট্রাম্প ও কমলা- প্রত্যেকে ৪৯ শতাংশ জনসমর্থন পেয়েছেন। গত অক্টোবর থেকেই তুলনামূলকভাবে অপরিবর্তিত রয়েছে এনবিসির জরিপ। অক্টোবরে প্রকাশিত ফলাফলেও এই দুই প্রার্থী সমান ৪৮ শতাংশ জনসমর্থন পেয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্যই প্রতিটি নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে একই দলকে ভোট দিয়ে আসে। রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত এই অঙ্গরাজ্যগুলোকে বলা হয় রেড স্টেট বা লাল রাজ্য। আর ডেমোক্র্যাটদের প্রাধান্য পাওয়া স্টেটগুলোকে বলা হয় ব্লু স্টেট বা নীল রাজ্য। ফলে, এসব রাজ্য নিয়ে প্রার্থীদের খুব বেশি চিন্তা করতে হয় না বা মনোযোগ দিতে হয় না। কিন্তু হাতে গোনা কিছু অঙ্গরাজ্য আছে যে রাজ্যগুলোর ভোট, প্রার্থীদের কারণে যে কোনো শিবিরে যেতে পারে। ফলে, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা নির্দিষ্ট কিছু সুইং স্টেটের দিকে নজর দেন যেখানে ভোট কোন পার্টির পক্ষে যাবে, তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যায় না। এগুলোই হলো ব্যাটলগ্রাউন্ড বা নির্বাচনী রণক্ষেত্র। এগুলোকে অনেকে বলে থাকে বেগুনি রাজ্য।
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের ফলাফল কখন জানা যাবে :
দোদুল্যমান ৭ অঙ্গরাজ্যে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে ভোটগ্রহণ শেষ হবে। এগুলোর মধ্যে প্রথম যে দুটি রাজ্যের ফলাফল সবার আগে আসতে শুরু করবে, তা থেকেই পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হতে যাচ্ছেন, সেটার পূর্বাভাস পাওয়া যাবে। এসব অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সবার আগে জর্জিয়ায় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ও নর্থ ক্যারোলিনায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার কিছু সময় পর থেকে বুথফেরত ফলাফল আসতে শুরু করবে। যদি ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস এগিয়ে থাকেন, তাহলে তিনিই নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধরে নেয়া যাবে। কারণ, বাকি ৫ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের ফলাফল সার্বিক ফলাফলে এককভাবে এতটা প্রভাবিত করতে পারবে না। ‘ব্লু ওয়াল স্টেটস’ বা নীল দেয়াল হিসেবে পরিচিতি এ ৫ অঙ্গরাজ্য হলো- পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিন, নেভাদা ও অ্যারিজোনা। পেনসিলভানিয়া ও মিশিগানের অধিকাংশ এলাকায় ভোটগ্রহণ শেষ হবে স্থানীয় সময় রাত ৮টায়। উইসকনসিন, অ্যারিজোনা ও মিশিগানের উত্তরাঞ্চলীয় কিছু এলাকার ভোটগ্রহণ শেষ হবে স্থানীয় সময় রাত ৯টায়। আর দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে সর্বশেষ ভোটগ্রহণ হবে নেভাদায়, স্থানীয় সময় রাত ১০টায়।
শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ট্রাম্প ও কমলা :
ট্রাম্প এবং কমলা হ্যারিসের জন্য গত রবিবার ছিল নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন। একেবারে শেষ সময়ে এসে উভয় প্রার্থীই ভোটারদের মন জয়ে চূড়ান্ত চেষ্টা চালিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মিশিগানের কৃষ্ণাঙ্গ চার্চে শেষ সময় কাটান কমলা হ্যারিস। সেখানে তিনি গাজায় ইসরায়েল যুদ্ধের অবসানের প্রতিশ্রুতি দেন। এদিকে, বড় ৩টি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য- পেনসিলভানিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা ও জর্জিয়া চষে বেড়ান ডোনাল্ড ট্রাম্প। পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্প বলেন, তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নামের একটি দুর্নীতিগ্রস্ত মেশিনের বিরুদ্ধে লড়ছেন। নির্বাচিত হলে দেশের পুরো ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবেন বলেও ঘোষণা দেন। ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, আমি (সীমান্তে) অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেব। জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের কারণে বিশাল সংখ্যায় অপরাধীরা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকছে। নির্বাচিত হলে দেশকে ‘নতুন স্বর্ণযুগে’ নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে অভিযোগ করেন, আগের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা চুরি করে জিতেছিল।
এদিকে মিশিগানে চার্চের সমাবেশে কমলা বলেন, এই নির্বাচনের ফলাফল পরবর্তী কয়েক প্রজন্মের ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করবে। তাই শুধু কথা বা প্রার্থনা নয়, কাজও করতে হবে। তিনি বলেন, ঈশ্বর আমাদের জন্য যা ভেবে রেখেছেন, তাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে আমাদের কাজ করে দেখাতে হবে। গণতন্ত্রের জন্য, আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য কাজ করে যেতে হবে। ট্রাম্প দেশকে বিভক্ত করছেন- এই ইঙ্গিত দিয়ে কমলা বলেন, ঈশ্বরের পরিকল্পনায় এই বিভাজন রোধ করার যথেষ্ট শক্তি রয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা, ভয় ও ঘৃণাকে থামানোর সুযোগ পাবেন আপনারা। এদিকে কমলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি ডাকযোগে ভোট দিয়েছেন। তার সেই ভোট এখন ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে যাচ্ছে।
নির্বাচনে প্রভাব ফেলবেন আরো ৪ প্রার্থী :
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা ও ট্রাম্পের বাইরেও ভোট দেয়ার বিকল্প রয়েছে মার্কিন ভোটারদের। আজকের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এই ৪ জনও প্রভাবশালী হয়ে উঠতে পারেন। তারা হলেন- জিল স্টেইন, কর্নেল ওয়েস্ট, চেজ অলিভার ও রবার্ট কেনেডি জুনিয়র। গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ৭৪ বছর বয়সি জিল স্টেইন এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়েছিলেন। ওই সময় তিনি দশমিক ৪ শতাংশ ও ১ শতাংশ করে ভোট পেয়েছিলেন। জিল স্টেইন এবার ৪০টি অঙ্গরাজ্যে লড়ছেন। তাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথা ডেমোক্র্যাট শিবিরে। কারণ, তিনি কমলা হ্যারিসের গুরুত্বপূর্ণ অনেক ভোট তার পক্ষে টানতে পারেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটি মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে জিল স্টেইনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপনী প্রচার চালিয়েছে। তাদের ভাষ্য, জিল স্টেইনকে একটি ভোট দেয়ার অর্থ ট্রাম্পকে ভোট দেয়া। ১২টির বেশি অঙ্গরাজ্যে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন কর্নেল ওয়েস্ট। তার সমর্থন অল্প হলেও ডেমোক্র্যাট শিবিরের জন্য তিনি বড় দুশ্চিন্তার নাম।
লিবার্টারিয়ান পার্টি ২০২০ সালের নির্বাচনে ১ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেয়েছিল। এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের প্রায় সব কটিই লড়ছেন দলটির প্রার্থী চেজ অলিভার। তাকে এবারের নির্বাচনের সম্ভাব্য অঘটন সৃষ্টিকারী ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। সাবেক ডেমোক্র্যাট ৩৯ বছর বয়সি অলিভার মুক্তবাণিজ্য ও ছোট আকারের সরকার ব্যবস্থার পক্ষে প্রচার চালান। এবারের নির্বাচনে অন্যতম আলোচিত ব্যক্তি রবার্ট কেনেডি জুনিয়র। তার পক্ষে এবারের নির্বাচনে ৫-৭ শতাংশ সমর্থন ছিল। কিন্তু গত আগস্ট মাসে তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। তবে কয়েকটি অঙ্গরাজ্য তার নাম ব্যালট থেকে সরাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ট্রাম্পের পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালানো কেনেডি নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবেন, তা স্পষ্ট নয়।
সাড়ে ৭ কোটি আগাম ভোট :
নির্বাচনের আগেই এরই মধ্যে ভোট দিয়েছেন প্রায় ৭ কোটি ৫১ লাখ মার্কিন নাগরিক- যা একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকশন ল্যাব ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ৫০ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭২ জন ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই সরাসরি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছেন। যা করোনাভাইরাস মহামারির পর প্রথমবারের মতো ভোট দেয়ার প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি ৮০ লাখ। এবারের নির্বাচনটি ২০২০ সালের মতো নয়, যখন মহামারির কারণে অধিকাংশ ভোটার ডাকযোগে ভোট দিয়েছিলেন। এবার অধিকাংশ ভোটারই সরাসরি কেন্দ্রে গিয়ে তাদের আগাম ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।