ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণকালে ডিসি জহিরুল ইসলাম

ফাঁকা পতিত জমিতে বীজ বুনে ফসল আবাদ করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:৩১:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৮ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বীজ ও রাসায়নিক সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রবি মৌসুমের গম, ভূট্টা, সরিষা, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও অড়হড় ফসলের আবাদ বৃদ্ধির নিমিত্তে কৃষকদের মধ্যে সার বীজ বিতরণের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, চুয়াডাঙ্গায় কৃষিতে অনেক সমৃদ্ধি। আর এই সমৃদ্ধি আরও বাড়াতে হলে কৃষিতে কৃষকদের প্রণোদনার কোনো বিকল্প নেই। চুয়াডাঙ্গায় এক ইঞ্চি জমি ফাঁকা রাখা যাবে না। সব ফাঁকা পতিত জমিতে বীজ বুনে ফসল আবাদ করতে হবে। চুয়াডাঙ্গায় শীতকালীন সবজি উৎপাদনে রেকর্ড। তাই সবজি চাষাবাদ আরও বৃদ্ধি করতে হবে। চুয়াডাঙ্গায় কৃষি সেবা বাড়াতে হবে। কৃষকদের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য কৃষি অফিসারদের কৃষকদের মাঝে পরামর্শ অব্যহত রাখতে হবে। রবি প্রণোদনা কৃষকদের ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষকরা উৎসাহি হয়ে দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজিবুল আলম, চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের শস্য বিভাগের উপ-পরিচালক কৃঞ্চ রায়, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আশিস মোমতাজ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মৌমিতা পারভিন, সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আক্তার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৩ হাজার ২৭০ জন কৃষকের মাঝে ৪৩ লাখ ৭১ হাজার ৭১০ টাকা মূল্যের এই প্রণোদনা সহায়তা দেয়া হয়। এর মধ্যে গমের বীজ ২০ কেজি, ডিএপি সার ১০ কেজি, এমওপি সার ১০ কেজি, ভুট্টার বীজ ২ কেজি, সরিষার বীজ ১ কেজি, পেঁয়াজের বীজ ১ কেজি, মসুরের বীজ ৫ কেজি, মুগের বীজ ৫ কেজি, অড়হড় বিজ ২ কেজি ও ডিএপি ৫ কেজি এমওপি ৫ কেজি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণকালে ডিসি জহিরুল ইসলাম

ফাঁকা পতিত জমিতে বীজ বুনে ফসল আবাদ করতে হবে

আপলোড টাইম : ১০:৩১:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বীজ ও রাসায়নিক সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রবি মৌসুমের গম, ভূট্টা, সরিষা, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও অড়হড় ফসলের আবাদ বৃদ্ধির নিমিত্তে কৃষকদের মধ্যে সার বীজ বিতরণের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, চুয়াডাঙ্গায় কৃষিতে অনেক সমৃদ্ধি। আর এই সমৃদ্ধি আরও বাড়াতে হলে কৃষিতে কৃষকদের প্রণোদনার কোনো বিকল্প নেই। চুয়াডাঙ্গায় এক ইঞ্চি জমি ফাঁকা রাখা যাবে না। সব ফাঁকা পতিত জমিতে বীজ বুনে ফসল আবাদ করতে হবে। চুয়াডাঙ্গায় শীতকালীন সবজি উৎপাদনে রেকর্ড। তাই সবজি চাষাবাদ আরও বৃদ্ধি করতে হবে। চুয়াডাঙ্গায় কৃষি সেবা বাড়াতে হবে। কৃষকদের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য কৃষি অফিসারদের কৃষকদের মাঝে পরামর্শ অব্যহত রাখতে হবে। রবি প্রণোদনা কৃষকদের ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষকরা উৎসাহি হয়ে দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজিবুল আলম, চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের শস্য বিভাগের উপ-পরিচালক কৃঞ্চ রায়, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আশিস মোমতাজ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মৌমিতা পারভিন, সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আক্তার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৩ হাজার ২৭০ জন কৃষকের মাঝে ৪৩ লাখ ৭১ হাজার ৭১০ টাকা মূল্যের এই প্রণোদনা সহায়তা দেয়া হয়। এর মধ্যে গমের বীজ ২০ কেজি, ডিএপি সার ১০ কেজি, এমওপি সার ১০ কেজি, ভুট্টার বীজ ২ কেজি, সরিষার বীজ ১ কেজি, পেঁয়াজের বীজ ১ কেজি, মসুরের বীজ ৫ কেজি, মুগের বীজ ৫ কেজি, অড়হড় বিজ ২ কেজি ও ডিএপি ৫ কেজি এমওপি ৫ কেজি।