সাবেক কমিটির দুর্নীতির প্রতিবাদে ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্সের সংবাদ সম্মেলন
৭০ লাখ টাকার হদিস নেই- আপলোড টাইম : ১০:০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
- / ৪৯ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক কমিটির (নাসির-হিলু-ফোটন প্যানেল) বিরুদ্ধে ৭০ লাখ ১২ হাজার টাকার লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাট আড়াল করতে সাবেক কমিটির কথিত নেতারা ভুয়া অভিযোগে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চেম্বারের বর্তমান কমিটির নেতারা। সাবেক কমিটির অর্থ লোপাটের ঘটনায় অডিট চলছে।
গতকাল শনিবার ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিচালক মো. আব্দুল মতিন মুক্ত। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা দোকান মালিক সমিতির আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্সের কনিষ্ঠ সহসভাপতি মো. বকুল বাশার, চেম্বারের পরিচালক মোস্তাকিম মনির, আলমগীর হোসেন আলম, এম এ সামাদ, এএসএম এনায়েত উল্লাহ (নয়ন), মো. মানিক মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংগঠনটির সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘আইনানুযায়ী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২ অনুযায়ী নির্বাচন থেকে শুরু করে সংগঠনের সকল কার্যক্রম আমরা পরিচালনা করছি। চেম্বারের বিগত কমিটির পরাজিত প্যানেল হয়রানি করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
চেম্বারের বিগত কমিটির দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের বিষয় তুলে ধরে মো. মোয়াজ্জেম হোসেন আরও বলেন, ‘নাসির-হিলু-ফোটন প্যানেল দীর্ঘদিন চেম্বারের দায়িত্ব পালন করেছে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে বাণিজ্য মেলার রয়্যালটি বাবদ গৃহীত সর্বমোট ১ কোটি ৫ লাখ টাকার পৃথক দুটি চুক্তি হয়। কিন্তু আয়ের হিসাবে দেখানো হয়েছে মাত্র ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। বাকি ৭০ লাখ ১২ হাজার টাকার কোনো হদিস নেই।’ চেম্বারের সভাপতি বলেন, আগের কমিটি লাখ লাখ টাকার কোনো হিসাব দেয়নি। প্রতি মাসে মাসিক মিটিং করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তারা সেসব করেনি। কারণ, মাসিক মিটিংয়ে প্রতিমাসের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে হয়। পেশীশক্তির জোরে দীর্ঘদিন নির্বাচন না দিয়ে তারা লুটপাট চালিয়েছে। এখন তারা নির্বাচিত কমিটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের শিক্ষা আমাদের সবাইকে গ্রহণ করতে হবে। নেতৃত্ব আসবে, নেতৃত্ব চলে যাবে। কোনো কিছু আঁকড়ে ধরার মাঝে আমরা নেই। দুই বছর পর নিয়মানুযায়ী চেম্বারের নির্বাচন হবে। ব্যবসায়ীরা ভোট না দিলে আমরা পরাজয় মেনে নেব। আমরা ব্যবসায়ীদের সেবা করতে চায়। নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য চেম্বারের নেতৃত্বে আসিনি।