নেহালপুরে টিসিবির পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
অনেক কার্ডধারীকে দেওয়া হয়নি মালামাল
- আপলোড টাইম : ০৫:৫২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৪ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কার্ড থাকা সত্ত্বেও অনেক কার্ডধারীকে মালামাল দেওয়া হয়নি। সকাল থেকে দিনমুজুর, শ্রমিকসহ বিভিন্ন নিম্ন আয়ের মানুষ পণ্য না পেয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেছেন খালি হাতে। মালামাল না পেয়ে নিজেদের কার্ড ফেরত চাইলে তাও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী মহলে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নে গত বৃহস্পতিবার টিসিবির পণ্য বিক্রির নির্ধারিত দিন ছিল। কার্ডপ্রতি ৪৭০ টাকায় ৫ কেজি চাল, ২ কেজি মসুরির ডাল এবং ২ লিটার তেল বরাদ্দ ছিল। ইউনিয়নের কোটালী গ্রামের কলম আলী, ইনতাজ, মমিন, রাজ্জাক, আছিয়া, জবেদা, আ. রহমান, মনভাজ, কহিনুর, আনেছা, শুকুর আলী, শামীম, আমিরুল, নেকবার, আনারুল, বিল্লাল, জরি আলী, বকুল, জাহাঙ্গীর, সাদিকুল, নাজমা, রহিমা, খাইরুল, কাবিল, শহিদুল, জামাল হোসেনসহ আরও অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ‘শুরু থেকে আমরা টিসিবির মালামাল পেয়ে আসছি। সে মোতাবেক কাজ কামাই করে সকাল থেকে টিসিবির মালামাল কেনার জন্য পরিষদে যাই। পরিষদের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়, তালিকায় আমাদের নাম নেই। তখন আমরা আমাদের কার্ডটি ফেরত চাই। কার্ড ফেরত দিতে নানা টালবাহানা শুরু করে দায়িত্বপ্রাপ্তরা। একেক সময় একেক ধরনের তথ্য দেওয়া হয়। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং হট্টগোল ও চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।’
অভিযোগ উঠেছে, চৌকিদার মিজানুর, আজিজুল ও আমিরুল টিসিবির উপকারভোগীদের সাথে খারাপ ব্যবহার ও মারমুখি আচরণ করেন। ভুক্তভোগীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা কেন টিসিবির পণ্য পাব না, তার যৌক্তিক কারণ জানতে চাইলে, অধিকার চাইতে গেলে দায়িত্বরত পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ারও ভয় দেখানো হয়েছে। একপর্যায়ে আমরা বলি, আমাদের মালামাল লাগবে না, আমাদের কার্ডটি অন্তত ফেরত দেন। কিন্তু কার্ডটি ফেরত দেওয়াতেও ব্যর্থ হয় কর্তৃপক্ষ।’
এদিকে একটি সূত্র জানায়, সাবেক বেগমপুর ইউনিয়নে ২ হাজার ৫৬টি টিসিবির কার্ডধারী সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নে প্রায় ১ হাজার ১৫৬টি বরাদ্দ রয়েছে। পরে অবশ্য জানা যায়, ২ হাজার কার্ড দুটি ইউনিয়নে সমান ভাগে ভাগ হয়েছে। কার্ডধারীরা অভিযোগ করেন, কার্ডধারী দরিদ্র মানুষেরা একটু সাশ্রয়ে পণ্য কেনার আশায় দিন কামাই করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেয়ে না খেয়ে মালামাল না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে।’ ভুক্তভোগীরা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কাছে বিষয়টির সমাধান এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে।