ইপেপার । আজ শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

আলমডাঙ্গার গোপালনগরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে বিএনপি নেতা শরীফ

বিএনপি নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীর নয়, বরং জনগণের দল

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৫:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ আজ স্বাধীনতার সত্যিকারের স্বাদ পাচ্ছে। বিগত সময় ধরে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে জিম্মি করে রেখেছিল। সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর দমিয়ে রাখার জন্য নানা অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়েছে। তবে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। এখন আমরা সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে, একতার সুরে, ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশি পরিচয়ে বসবাস করছি।’
কালীপূজা উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার রাত নয়টায় আলমডাঙ্গার গাংনী ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের শ্রী শ্রী কালীপূজা মন্দিরে পরিদর্শনকালে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ।
তিনি বলেন, ‘হিন্দু বৌদ্ধ মুসলিম খ্রিস্টান-আমরা সবাই মিলে এই বাংলাদেশ। আমাদের দেশের সংবিধানে সকল ধর্মের মানুষের অধিকার রক্ষা করেছে। কিন্তু স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সময় তা বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে। তাদের অত্যাচার ও দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক পরিবর্তন সবার জন্য এক নতুন আশার আলো হয়ে এসেছে।’
শরীফুজ্জানান তাঁর বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, ‘বিএনপি কখনোই নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীর নয়, বরং সমস্ত জনগণের দল। আমাদের লক্ষ্য জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা এবং দেশে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি মানুষের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবারও গণতান্ত্রিক চেতনায় ফিরে আসবে, যেখানে কোনো মানুষকে তার ধর্ম বা মতাদর্শের জন্য নিপীড়নের শিকার হতে হবে না।’
বক্তব্যের শেষে তিনি সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আসুন, আমরা এক হয়ে কাজ করি এবং এই দেশকে সমৃদ্ধি ও শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাই। বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ এক হয়ে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ, তা আজ আরও দৃঢ় হয়েছে, এবং আমরা এই ঐক্য ধরে রাখার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
মন্দির প্রাঙ্গণে কালীপূজা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মন্দির কমিটির সভাপতি হারান মন্ডলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার ও জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম। অতিথি ছিলেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি হেমন্ত কুমার সিংহ, গাংনী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক হাসিবুল।
এছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাদিমপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি লোকমান হোসেন, রফিকুল মেম্বার, শাহাবুল মেম্বার এবং যুবদলের নেতা সেলিম উদ্দিন, জসিম, তুশার প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গার গোপালনগরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে বিএনপি নেতা শরীফ

বিএনপি নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীর নয়, বরং জনগণের দল

আপলোড টাইম : ০৫:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ আজ স্বাধীনতার সত্যিকারের স্বাদ পাচ্ছে। বিগত সময় ধরে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে জিম্মি করে রেখেছিল। সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর দমিয়ে রাখার জন্য নানা অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়েছে। তবে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। এখন আমরা সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে, একতার সুরে, ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশি পরিচয়ে বসবাস করছি।’
কালীপূজা উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার রাত নয়টায় আলমডাঙ্গার গাংনী ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের শ্রী শ্রী কালীপূজা মন্দিরে পরিদর্শনকালে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ।
তিনি বলেন, ‘হিন্দু বৌদ্ধ মুসলিম খ্রিস্টান-আমরা সবাই মিলে এই বাংলাদেশ। আমাদের দেশের সংবিধানে সকল ধর্মের মানুষের অধিকার রক্ষা করেছে। কিন্তু স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সময় তা বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে। তাদের অত্যাচার ও দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক পরিবর্তন সবার জন্য এক নতুন আশার আলো হয়ে এসেছে।’
শরীফুজ্জানান তাঁর বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, ‘বিএনপি কখনোই নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীর নয়, বরং সমস্ত জনগণের দল। আমাদের লক্ষ্য জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা এবং দেশে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি মানুষের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবারও গণতান্ত্রিক চেতনায় ফিরে আসবে, যেখানে কোনো মানুষকে তার ধর্ম বা মতাদর্শের জন্য নিপীড়নের শিকার হতে হবে না।’
বক্তব্যের শেষে তিনি সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আসুন, আমরা এক হয়ে কাজ করি এবং এই দেশকে সমৃদ্ধি ও শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাই। বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ এক হয়ে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ, তা আজ আরও দৃঢ় হয়েছে, এবং আমরা এই ঐক্য ধরে রাখার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
মন্দির প্রাঙ্গণে কালীপূজা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মন্দির কমিটির সভাপতি হারান মন্ডলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার ও জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম। অতিথি ছিলেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি হেমন্ত কুমার সিংহ, গাংনী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক হাসিবুল।
এছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাদিমপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি লোকমান হোসেন, রফিকুল মেম্বার, শাহাবুল মেম্বার এবং যুবদলের নেতা সেলিম উদ্দিন, জসিম, তুশার প্রমুখ।