ইপেপার । আজ রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

জীবননগর থানা হেফাজত থেকে দৌঁড়ে পালালো নারী আসামি

৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার, তদন্ত কমিটি গঠন

জীবননগর অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৫২ বার পড়া হয়েছে

জীবননগরে মনোয়ারা খাতুন (৩০) নামের এক নারী আসামি থানা হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে জীবননগর থানায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি মাদক মামলার আসামি ছিলেন। মনোয়ারা খাতুন পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের মেয়ে।

এদিকে, এ ঘটনায় কর্তব্য অবহেলার অভিযোগে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সাথে চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, জীবননগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পবিত্র মণ্ডল, কনস্টেবল সোলাইমান খান ও মিতা খাতুন।

জীবননগর থানা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রাম থেকে ৮৪ বোতল ফেনসিডিল ও একটি মোটরসাইকেলসহ মনোয়ারা খাতুন ও নাজমুল হুদা নামের দুজনকে আটক করে বিজিবি। পরে বিজিবি বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে জীবননগর থানায় হস্তান্তর করে। আসামিদের মধ্যে মনোয়ারা খাতুনকে থানার নারী ও শিশু ডেস্কে রাখা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে পাঠানোর কথা ছিল। এর মধ্যে সকাল ৬টার দিকে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে দৌঁড়ে পালিয়ে যান মনোয়ারা খাতুন।

খবর পেয়ে জীবননগর থানায় উপস্থিত হন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান লালন। তাঁরা থানার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার পর্যালোচনা করেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, মনোয়ারা খাতুনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে বিজিবি। থানা হেফাজত থেকে পালানোর পর তার বিরুদ্ধে পেনালকোডে আরও একটি মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আসামি পালানোর ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় অনুসন্ধান চলছে। এছাড়া এ ঘটনার তদন্তে সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জীবননগর থানা হেফাজত থেকে দৌঁড়ে পালালো নারী আসামি

৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার, তদন্ত কমিটি গঠন

আপলোড টাইম : ০৯:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

জীবননগরে মনোয়ারা খাতুন (৩০) নামের এক নারী আসামি থানা হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে জীবননগর থানায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি মাদক মামলার আসামি ছিলেন। মনোয়ারা খাতুন পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের মেয়ে।

এদিকে, এ ঘটনায় কর্তব্য অবহেলার অভিযোগে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সাথে চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, জীবননগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পবিত্র মণ্ডল, কনস্টেবল সোলাইমান খান ও মিতা খাতুন।

জীবননগর থানা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রাম থেকে ৮৪ বোতল ফেনসিডিল ও একটি মোটরসাইকেলসহ মনোয়ারা খাতুন ও নাজমুল হুদা নামের দুজনকে আটক করে বিজিবি। পরে বিজিবি বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে জীবননগর থানায় হস্তান্তর করে। আসামিদের মধ্যে মনোয়ারা খাতুনকে থানার নারী ও শিশু ডেস্কে রাখা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে পাঠানোর কথা ছিল। এর মধ্যে সকাল ৬টার দিকে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে দৌঁড়ে পালিয়ে যান মনোয়ারা খাতুন।

খবর পেয়ে জীবননগর থানায় উপস্থিত হন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান লালন। তাঁরা থানার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার পর্যালোচনা করেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, মনোয়ারা খাতুনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে বিজিবি। থানা হেফাজত থেকে পালানোর পর তার বিরুদ্ধে পেনালকোডে আরও একটি মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আসামি পালানোর ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় অনুসন্ধান চলছে। এছাড়া এ ঘটনার তদন্তে সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।