ইপেপার । আজ রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

স্মার্টফোন কিনে না দেওয়ায় স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে বিষপানের দুই দিন পর সাথী খাতুন (১৬) নামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের নান্দবার গ্রামে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা থানা-পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে। সাথী খাতুন গাংনী ইউনিয়নের নান্দবার গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী সাজিবর রহমানের মেয়ে।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাথী খাতুন বাটন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো। সে কয়েকদিন ধরে তার বাবা-মায়ের কাছে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের আবদার করছিল। তার বাবা মেয়েকে বলেন, আগামী মাসে বেতন পেয়ে ফোন কিনে দিবেন। এতে অভিমান করে গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সে নিজ ঘরে ঘাস মারা বিষপান করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গত বুধবার সন্ধ্যায় সাথীকে ছাড়পত্র দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে সাথী তার নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে সাথী খাতুন নিজ বাড়িতে মারা যায়।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, বিষপানের দুই দিন পর স্কুলছাত্রী তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছে। থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের আবেদন করায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

স্মার্টফোন কিনে না দেওয়ায় স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

আপলোড টাইম : ০৯:০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে বিষপানের দুই দিন পর সাথী খাতুন (১৬) নামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের নান্দবার গ্রামে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা থানা-পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে। সাথী খাতুন গাংনী ইউনিয়নের নান্দবার গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী সাজিবর রহমানের মেয়ে।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাথী খাতুন বাটন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো। সে কয়েকদিন ধরে তার বাবা-মায়ের কাছে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের আবদার করছিল। তার বাবা মেয়েকে বলেন, আগামী মাসে বেতন পেয়ে ফোন কিনে দিবেন। এতে অভিমান করে গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সে নিজ ঘরে ঘাস মারা বিষপান করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গত বুধবার সন্ধ্যায় সাথীকে ছাড়পত্র দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে সাথী তার নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে সাথী খাতুন নিজ বাড়িতে মারা যায়।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, বিষপানের দুই দিন পর স্কুলছাত্রী তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছে। থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের আবেদন করায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।