ঝিনাইদহে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে গণঅধিকার পরিষদের সম্পাদক রাশেদ খাঁন
গণঅভ্যুত্থান সফল করতে রাষ্ট্র সংস্কারে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
- আপলোড টাইম : ০৯:২১:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
- / ৬৬ বার পড়া হয়েছে
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ ও গণবিপ্লবের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি। দেশের মানুষের অধিকার ফিরে এসেছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসনের যাতাকালে পিষ্ট জনগণ নতুন করে দেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে ও জুলাই বিপ্লবের সফলতা টিকিয়ে রাখতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের যে রোডম্যাপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই রোডম্যাপের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ একমত। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে এই সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।’
গতকাল বুধবার নিজ জেলা ঝিনাইদহ সফরকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন বিকেল চারটায় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব সংলগ্ন ফ্যামিলি জোন মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ ঝিনাইদহ জেলা শাখা।
গণঅধিকার পরিষদের ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটন, সাবেক সভাপতি এম রায়হান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান টিপু, এনটিভির ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়কালে রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আজকের এই গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিল ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে ২০১৮ সালে ন্যায্য অধিকার আদায়ে ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল। কিন্তু আপনারা দেখেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসী ও আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনী দিয়ে শেখ হাসিনা নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিল।’
ঝিনাইদহবাসীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের ছেলে, আপনাদের ভাই, আপনাদের সন্তান। আমি সবসময় আমার নিজ এলাকার উন্নয়নের কথা ভাবি। আগামী দিনে এ জেলার স্বাস্থ্যখাত, শিক্ষা, উন্নত কৃষি ব্যবস্থা ও বেকারত্ব দূরীকরণে আমার ব্যক্তিগত পরিকল্পনা রয়েছে। এত বড় একটি জেলার স্বাস্থ্যখাতে গত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন করেনি। যে কারণে জেলার একমাত্র ২৫০ শয্যা হাসপাতালটির লিফট পর্যন্ত অচল হয়ে আছে। এ জেলার মানুষ কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্যসেবা পায়নি।’