ইপেপার । আজ রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

গণঅধিকার পরিষদের সম্পাদক রাশেদ খানকে সহায়তা দিতে বিএনপির চিঠি

ঝিনাইদহে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে বিভ্রান্ত্রি

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৪৩ বার পড়া হয়েছে

কেন্দ্রীয় বিএনপি থেকে পাঠানো একটি চিঠি নিয়ে ঝিনাইদহ-২ আসনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। যদিও এই চিঠিতে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনকে তার সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই চিঠি দলীয় মনোনয়ন বা ঝিনাইদহ-২ আসন বণ্টন নিয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। রাজনৈতিক দল হিসেবে রাশেদ খাঁনকে সহায়তা করতে বলা হয়েছে। এদিকে, এই চিঠি আসার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, গত ২২ অক্টোবর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে মো. রাশেদ খাঁনকে দলীয় কার্যক্রমে সহায়তার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে তৃণমূলের মধ্যে জল্পনার জন্ম দেয় যে আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষের মনোনয়ন পেতে পারেন মো. রাশেদ খাঁন। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা তেমন নয়। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদ এখন পর্যন্ত ধানের শীষের প্রার্থী বলেই ধরে নেওয়া যায়। কারণ তৃণমূলে দলকে সুসংগঠিত করার ক্ষেত্রে মজিদের কোনো বিকল্প তৈরি হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিণ্টু বলেন, ‘এটি নমিনেশন পেপার নয়, বরং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য নির্দেশনা। এই নির্দেশনায় বিএনপি থেকে রাশেদ খানকে নমিনেশন কিংবা এই আসন তার জন্য ছেড়ে দেয়া হবে বা হয়েছে এমনটি বলা হয়নি।’
জেলা যুবদলের সভাপতি আহসান হাবিক রনক বলেন, ‘ঝিনাইদহ সদর ও হরিণাকুণ্ডুর মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদ। আগামী দিনে দলকে আরও সুসংগঠিত করে জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় ত্বরান্বিত করতে তার কোনো বিকল্প নেই।’
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল মাখন বলেন, বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলনের সহযোগী দল হিসেবে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে তার রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে সহযোগিতার জন্য চিঠি দিয়েছেন। এটা নিয়ে কোনো বিভ্রান্তির সুযোগ দেখছি না। এই নির্দেশনায় বিএনপি থেকে রাশেদ খানকে নমিনেশন কিম্বা এই আসন তার জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে বা হয়েছে এমনটি বলা হয়নি।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম শাহজাহান আলী বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদের প্রতি, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। তিনিই আগামীতে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হবেন। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা বলেন, অ্যাড. এম এ মজিদের বাইরে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে তৃণমূল মেনে নিবে না। আবার কাউকে প্রার্থী হিসেবে চাপিয়ে দিলেও ঝিনাইদহের মানুষ মানবে না বরং প্রতিহত করবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

গণঅধিকার পরিষদের সম্পাদক রাশেদ খানকে সহায়তা দিতে বিএনপির চিঠি

ঝিনাইদহে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে বিভ্রান্ত্রি

আপলোড টাইম : ১০:০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

কেন্দ্রীয় বিএনপি থেকে পাঠানো একটি চিঠি নিয়ে ঝিনাইদহ-২ আসনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। যদিও এই চিঠিতে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনকে তার সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই চিঠি দলীয় মনোনয়ন বা ঝিনাইদহ-২ আসন বণ্টন নিয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। রাজনৈতিক দল হিসেবে রাশেদ খাঁনকে সহায়তা করতে বলা হয়েছে। এদিকে, এই চিঠি আসার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, গত ২২ অক্টোবর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে মো. রাশেদ খাঁনকে দলীয় কার্যক্রমে সহায়তার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে তৃণমূলের মধ্যে জল্পনার জন্ম দেয় যে আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষের মনোনয়ন পেতে পারেন মো. রাশেদ খাঁন। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা তেমন নয়। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদ এখন পর্যন্ত ধানের শীষের প্রার্থী বলেই ধরে নেওয়া যায়। কারণ তৃণমূলে দলকে সুসংগঠিত করার ক্ষেত্রে মজিদের কোনো বিকল্প তৈরি হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিণ্টু বলেন, ‘এটি নমিনেশন পেপার নয়, বরং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য নির্দেশনা। এই নির্দেশনায় বিএনপি থেকে রাশেদ খানকে নমিনেশন কিংবা এই আসন তার জন্য ছেড়ে দেয়া হবে বা হয়েছে এমনটি বলা হয়নি।’
জেলা যুবদলের সভাপতি আহসান হাবিক রনক বলেন, ‘ঝিনাইদহ সদর ও হরিণাকুণ্ডুর মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদ। আগামী দিনে দলকে আরও সুসংগঠিত করে জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় ত্বরান্বিত করতে তার কোনো বিকল্প নেই।’
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল মাখন বলেন, বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলনের সহযোগী দল হিসেবে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে তার রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে সহযোগিতার জন্য চিঠি দিয়েছেন। এটা নিয়ে কোনো বিভ্রান্তির সুযোগ দেখছি না। এই নির্দেশনায় বিএনপি থেকে রাশেদ খানকে নমিনেশন কিম্বা এই আসন তার জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে বা হয়েছে এমনটি বলা হয়নি।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম শাহজাহান আলী বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদের প্রতি, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। তিনিই আগামীতে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হবেন। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা বলেন, অ্যাড. এম এ মজিদের বাইরে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে তৃণমূল মেনে নিবে না। আবার কাউকে প্রার্থী হিসেবে চাপিয়ে দিলেও ঝিনাইদহের মানুষ মানবে না বরং প্রতিহত করবে।