ইপেপার । আজ রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন শেষে ফেরার পথে হামলা

ছাত্রদল-যুবদলের ৫ নেতা-কর্মীকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪১:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন শেষে ফেরার পথে ছাত্রদল ও যুবদলের ৫ নেতা-কর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। গতকাল রোববার বিকেলে শহরের হাটকালুগঞ্জ এলাকার এলজিইডি ভবনের সামনে তাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। আহতরা সবাই দামুড়হুদার বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মী। তারা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আফজালুর রহমান সবুজ (৩৪), দামুড়হুদা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান জনি (৩৫), দামুড়হুদা উপজেলার নতুন বাস্তুপুর গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান (৪০), একই এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে যুবদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান সুমন (৩৫) ও পীরপুরকুল্লা গ্রামের যুবদল কর্মী সেলিম মিয়া (৩৫)।

হামলার প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, তাদের সাথে প্রতিপক্ষ একটি পক্ষের নেতা-কর্মীদের মাছ ধরা নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল। সুযোগ বুঝে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ ওই গ্রুপ। তবে হামলাকারীদের নাম-পরিচয় জানায়নি আহত নেতা-কর্মীরা।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আহতরা জানান, যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালিতে যোগ দিতে দামুড়হুদা থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরে এসেছিলেন বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা। র‌্যালি শেষে বাড়িতে ফেরার পথে হাটকালুগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে ৩০-৪০ জনের একটি দল লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে দুজনকে কুপিয়ে ও বাকি তিনজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, দুজনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর মধ্যে সেলিম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও বাকিদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। আমিসহ পুলিশ সদস্যরা আহতদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা হামলাকারীদের নাম-পরিচয় জানায়নি। আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আহতদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ ঘটনায় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝণ্টু জানান, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রোগ্রাম শেষ করে দামুড়হুদায় ফেরার পথে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। কে বা কারা, কী কারণে এই হামলার সাথে জড়িত তা খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন শেষে ফেরার পথে হামলা

ছাত্রদল-যুবদলের ৫ নেতা-কর্মীকে কুপিয়ে জখম

আপলোড টাইম : ০৮:৪১:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন শেষে ফেরার পথে ছাত্রদল ও যুবদলের ৫ নেতা-কর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। গতকাল রোববার বিকেলে শহরের হাটকালুগঞ্জ এলাকার এলজিইডি ভবনের সামনে তাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। আহতরা সবাই দামুড়হুদার বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মী। তারা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আফজালুর রহমান সবুজ (৩৪), দামুড়হুদা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান জনি (৩৫), দামুড়হুদা উপজেলার নতুন বাস্তুপুর গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান (৪০), একই এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে যুবদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান সুমন (৩৫) ও পীরপুরকুল্লা গ্রামের যুবদল কর্মী সেলিম মিয়া (৩৫)।

হামলার প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, তাদের সাথে প্রতিপক্ষ একটি পক্ষের নেতা-কর্মীদের মাছ ধরা নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল। সুযোগ বুঝে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ ওই গ্রুপ। তবে হামলাকারীদের নাম-পরিচয় জানায়নি আহত নেতা-কর্মীরা।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আহতরা জানান, যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালিতে যোগ দিতে দামুড়হুদা থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরে এসেছিলেন বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা। র‌্যালি শেষে বাড়িতে ফেরার পথে হাটকালুগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে ৩০-৪০ জনের একটি দল লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে দুজনকে কুপিয়ে ও বাকি তিনজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, দুজনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর মধ্যে সেলিম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও বাকিদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। আমিসহ পুলিশ সদস্যরা আহতদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা হামলাকারীদের নাম-পরিচয় জানায়নি। আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আহতদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ ঘটনায় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝণ্টু জানান, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রোগ্রাম শেষ করে দামুড়হুদায় ফেরার পথে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। কে বা কারা, কী কারণে এই হামলার সাথে জড়িত তা খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।