জীবননগরে কচুরিপানার মধ্যে থেকে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার
লাশটি স্কুল শিক্ষক সুজনের বলে দাবি পরিবারের
- আপলোড টাইম : ০১:৫৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
- / ৬৮ বার পড়া হয়েছে
জীবননগর উপজেলার মেদেনীপুর গ্রামের ঘাড়কাটি বিলের কচুরিপানার ভেতর থেকে অজ্ঞাতনামা একটি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। এটি নিখেঁাজ জীবননগর পৌর কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক মো. সুজন আলীর কঙ্কাল বলে দাবি করছে তার পরিবার।
সুজনের বড় ভাই আব্দুস সবুর বলেন, ৪—৫ বছর আগে ফুটবল খেলতে যেয়ে সুজনের হাত ভেঙে গেছিল। পরে তার বাম হাতে অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে রড লাগানো হয়। উদ্ধার হওয়া কঙ্কালের হাতেও রড় রয়েছে। হাতের রড দেখে আমার ভাই বলে শনাক্ত করেছি।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, লাশটি নিখেঁাজ শিক্ষক সুজন আলীর বলে দাবি করছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তবে ডিএনএ প্রতিবেদন না পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। আমরা তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সুজনের ভাগনে রানা জানান, গত ৬ অক্টোবর বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে তার মামা রাইস কুকারে ভাত বসিয়েছিলেন। এরপর থেকে তার আর কোনো খেঁাজ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় জিডি করা হয়েছিল। তবে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
জীবননগর পৌর কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক মো. সুজন আলী নিখেঁাজের ঘটনায় জীবননগরে দুই দফা মানববন্ধন হয়েছে। তবে ২২ দিন নিখেঁাজ থাকলেও প্রশাসন কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি। তবে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জীবননগর উপজেলার মেদনীপুর ঘাড়কাঠি বিল থেকে এক ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিখেঁাজ জীবননগর পৌর কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক মো. সুজন আলীর পরিবারের লোকজন তার হাতে লাগানো রড় দেখে লাশ সুজনের বলে দাবি করে।
স্থানীয়রা জানান, মেদেনীপুর গ্রামের শহিদুল বিশ্বাস বলেন, শনিবার দুপুরে মাছ ধরতে ঘাড়কাটি বিলে জাল পাততে যান। এসময় বিলের কচুরিপানার ভেতরে একজনের কঙ্কাল দেখতে পান। তিনি বিষয়টি মাঠে কর্মরত কৃষকদের জানান। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় বিজিবির সদস্যরা ও জীবননগর থানা—পুলিশ ঘটনাস্থলে পেঁৗছায়। পরে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।