চুয়াডাঙ্গার দৌলৎদিয়াড়ে অঞ্জলী রানী হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন
হত্যাকারী ওদু গ্রেপ্তার, স্বণার্লংকার ও নগদ টাকা উদ্ধার
- আপলোড টাইম : ০১:২৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৩ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলৎদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার অঞ্জলী রানাী হত্যার মূল আসামি ওয়াদুদ মন্ডল ওরফে ওদুকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল শনিবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুণ্ডু উপজেলার শিংগা গ্রামে শ্বশুর মুস্তাক মন্ডলের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইসাথে লুট হওয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে। আর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ওদু। তিনি দৌলৎদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার মৃত সুবাদ মন্ডলের ছেলে।
জানা গেছে, গত ২০ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে দৌলৎদিয়াড় দক্ষিণপড়ায় অঞ্জলী রানীর ঘরে ঢুকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ওদু মন্ডল। পরে বাক্সে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে হত্যাকারীকে ধরতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশের একাধিক দল মাঠে নামে। পুলিশ গতকাল ভোরে ওয়াদুদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুণ্ডুর শিংগা গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে চুয়াডাঙ্গাতে নিয়ে আসেন। একই সাথে উদ্ধার করা হয় একটি স্বর্ণের নেকলেস, ৩টি স্বর্ণের পলা, ৪টি কানের দুল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা। তিনি হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকালই তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন উর রশিদ বলেন, অঞ্জলী রানী যার ভ্যানে যাওয়া—আসা করতো সেই শংকু শাহা আর ওয়াদুদ একসাথে মাদক সেবন করতো। মাদক সেবনের সময় শংকু শাহা ওয়াদুদকে জানায় তার কাকির কাছে অনেক টকা আছে। ওই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই অঞ্জলী রানীর বাড়ি আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতো ওয়াদুদ। পরে ২০ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে অঞ্জলী রানীর ঘরে ঢুকে তার গলায় ও ঘাড়ে চাকু দিয়ে দিয়ে জখম করে ওয়াদুদ। রক্তাক্ত অবস্থায় অঞ্জলী রানী ঘরের মধ্যে পড়ে গেলে ওয়াদুদ ঘরে থাকা বাক্স খুলে নগদ টকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে নদী পার হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে সে আবার বাড়িতে ফিরে গিয়ে ভিজা জামা কাপড় পাল্টে ঢাকায় চলে যায়। পরে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসলে গতকাল ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করে চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।