চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গায় পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে বিএনপি নেতা শরীফুজ্জামান
সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই, ধর্ম যার যার কিন্তু দেশটা সবার
- আপলোড টাইম : ০৯:০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
- / ৫৫ বার পড়া হয়েছে
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় উৎসব দুর্গাপূজার শুরু থেকে গতকাল শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার ৫১টি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ। এসময় তিনি ৫১টি মণ্ডপেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা কার্যক্রম তদারকি করেন। এছাড়া ৫১টি মণ্ডপের পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় পূজ উদ্যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দও শরীফুজ্জামান শরীফের আগমনে খুুুশি হন।
গতকাল শনিবার দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৬টি পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, দুর্গোৎসব উৎসবমুখর ও প্রতিটি মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে কাজ করছেন। আমরা প্রতিটি মণ্ডপে মণ্ডপে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করেছি। এই স্বেচ্ছাসেবকরা পর্যায়ক্রমে মণ্ডপে মণ্ডপে দুর্গোৎসব উৎসবমুখর ও নিরাপত্তা নিশ্চিত কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ধর্ম যার যার, কিন্তু এ দেশটা সবার। যেখানে সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। সবার নাগরিক অধিকার সমান। কারো জাতীয় পরিচয়পত্রে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগরিষ্ঠ লেখা নেই। কারণ রাষ্ট্র সবাইকে সমান অধিকার দিয়েছে। তাই আমরা সবাই সমান। একটি কুচক্রি মহল সংখ্যালঘু কার্ড লিখে ভোটের রাজনীতি করে। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সে কুচক্রি মহলের সব ষড়যন্ত্র এবার আমরা বানচাল করে দিয়েছি। তাই আমার হিন্দু ভাইয়েরা কেউ আপনারা দুর্বল নন। আপনাদের পাশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আছে এবং সবসময় থাকবে। যাতে করে কোনো দুষ্কৃিতকারী, চক্রান্তকারী কিংবা স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের গুণ্ডাবাহিনী আপনাদের দিকে চোখ তুলে তাকাতে না পারে। স্বৈরাশাসক সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা লুটপাট করে দেশ ছেড়েছে। তবে সে তার ধান্দাবাজ সব নেতা-কর্মীদের রেখে গেছেন। এদের বিষয় সতর্ক থাকতে হবে। আমরা চাই সবাই যার যার ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করুক।
বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শনকালে সে সমস্ত মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ।
পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফের সফরসঙ্গী ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল হক পল্টু, যুগ্ম সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান মুক্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন মালিক, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আজিজুর রহমান পিণ্টু, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ আমিনুল হক রোকন, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, জেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব ও বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোবারক হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মহলদার ইমরান রিণ্টু, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি এহসানুল হক স্বরাজ, জেলা যুবদলের গ্রামবিষয়ক সম্পাদক ইকরামুল হক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের অর্থ সম্পাদক সুমন পারভেজ খান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব মো. মাজেদুল আলম মেহেদী, পৌর ছাত্রদলের সদস্য শাহারুখ আহম্মেদ, সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত কুমার সিংহ প্রমুখ। এছাড়া বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।