রসায়নে নোবেল তিন বিজ্ঞানীর
- আপলোড টাইম : ১০:৫৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
- / ৬৩ বার পড়া হয়েছে
রসায়নে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার। এদের মধ্যে ডেভিড বেকার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, আর ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার যুক্তরাজ্যের নাগরিক। গতকাল সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস রসায়নে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে। এক ঘোষণায় রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি জানায়, ‘কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন’র জন্য ডেভিড বেকারকে এবং ‘প্রোটিন স্ট্রাকচার প্রেডিকশন’র জন্য ডেমিস হাসাবিস ও জন জাম্পারকে এ বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি জানায়, জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ প্রোটিনকে প্রাধান্য দিয়ে এ বছর রসায়নে নোবেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নোবেল পাওয়া ডেভিড বেকার একেবারে নতুন ধরনের প্রোটিন তৈরি করেছেন। যা অনেকটা অসম্ভব বিষয় ছিল। অন্যদিকে ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করেছেন যা দিয়ে ৫০ বছরের পুরনো ‘প্রোটিনের জটিল কাঠামো অনুমান করার’ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এবারের নোবেল বিজয়ীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও গণনার মাধ্যমে প্রোটিনের পুরো বিষয়টি খোলাসা করেছেন। যা সব রসায়নবিদের স্বপ্ন ছিল। আর এই স্বপ্ন এখন সত্যি হওয়ার দ্বারপ্রান্তে আছে। উল্লেখ্য, ১৯০১ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে। ঊনবিংশ শতকের এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন। তিনি উইল করে গিয়েছিলেন যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য- এ পাঁচটি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে এ পাঁচ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।