ইপেপার । আজ শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আলমডাঙ্গার কৃষক লীগ নেত্রী শামসাদ রানুর আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন

মাদক ও নারী ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:
  • আপলোড টাইম : ০৯:১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
  • / ২১৪ বার পড়া হয়েছে


চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র শামসাদ রানু (রাঙ্গা ভাবি) বর্তমানে বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন। একসময় টিনের ঝুপড়িতে বাস করা এই নেত্রী এখন বিপুল সম্পদের মালিক। তবে তার আয়ের প্রকৃত উৎস সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। পূর্বে ফেসবুকে আওয়ামী লীগকে সমর্থন এবং বিরোধী দল নিয়ে কটূক্তি করা পোস্টে তিনি সক্রিয় থাকলেও হঠাৎ করে সেসব পোস্ট ডিলিট করে নতুনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন।
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, শামসাদ রানু মাদক ও দেহ ব্যবসাসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। সম্প্রতি তার বাড়ি থেকে তিনজন যৌনকর্মীসহ তাকে আটক করে এলাকাবাসী। জনসম্মুখে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে এলাকাবাসী তাকে শুধরে নেওয়ার সুযোগ দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি এলাকাবাসীকে ভীতি প্রদর্শন এবং মামলা দেওয়ার হুমকি দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসী আরও জানায়, রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে শামসাদ রানু দীর্ঘদিন ধরে মানুষের নামে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি করে আসছেন। এর আগে আলমডাঙ্গা বহুমুখী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তিনি কারাবাসও করেছিলেন।
উপজেলার এরশাদপুর গ্রামের আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি বহু মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। নারী ব্যবসাসহ নানা অপকর্মের সঙ্গেও তিনি যুক্ত।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী যৌনকর্মী বলেন, ‘প্রথমে আমি এই কাজে জড়িত ছিলাম না। শামসাদ রানু আমাকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে এই পথে নিয়ে আসে। তার বাড়িতেই এই অবৈধ কাজ চলে।’
এ বিষয়ে জানতে শামসাদ রানুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, শামসাদ রানু (রাঙ্গা ভাবি) বা গ্রামবাসীর কোনো পক্ষই আমাকে এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি এবং কোনো পক্ষই আমার নিকট কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আলমডাঙ্গার কৃষক লীগ নেত্রী শামসাদ রানুর আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন

মাদক ও নারী ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৯:১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪


চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র শামসাদ রানু (রাঙ্গা ভাবি) বর্তমানে বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন। একসময় টিনের ঝুপড়িতে বাস করা এই নেত্রী এখন বিপুল সম্পদের মালিক। তবে তার আয়ের প্রকৃত উৎস সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। পূর্বে ফেসবুকে আওয়ামী লীগকে সমর্থন এবং বিরোধী দল নিয়ে কটূক্তি করা পোস্টে তিনি সক্রিয় থাকলেও হঠাৎ করে সেসব পোস্ট ডিলিট করে নতুনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন।
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, শামসাদ রানু মাদক ও দেহ ব্যবসাসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। সম্প্রতি তার বাড়ি থেকে তিনজন যৌনকর্মীসহ তাকে আটক করে এলাকাবাসী। জনসম্মুখে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে এলাকাবাসী তাকে শুধরে নেওয়ার সুযোগ দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি এলাকাবাসীকে ভীতি প্রদর্শন এবং মামলা দেওয়ার হুমকি দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসী আরও জানায়, রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে শামসাদ রানু দীর্ঘদিন ধরে মানুষের নামে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি করে আসছেন। এর আগে আলমডাঙ্গা বহুমুখী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তিনি কারাবাসও করেছিলেন।
উপজেলার এরশাদপুর গ্রামের আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি বহু মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। নারী ব্যবসাসহ নানা অপকর্মের সঙ্গেও তিনি যুক্ত।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী যৌনকর্মী বলেন, ‘প্রথমে আমি এই কাজে জড়িত ছিলাম না। শামসাদ রানু আমাকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে এই পথে নিয়ে আসে। তার বাড়িতেই এই অবৈধ কাজ চলে।’
এ বিষয়ে জানতে শামসাদ রানুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, শামসাদ রানু (রাঙ্গা ভাবি) বা গ্রামবাসীর কোনো পক্ষই আমাকে এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি এবং কোনো পক্ষই আমার নিকট কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।