দামুড়হুদায় ‘মিথ্যা মামলার’ প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- আপলোড টাইম : ১২:২১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
- / ৪২ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা সদর সহকারী জজ কোর্টের সেরেস্তাদার নূরুল হকের দায়ের করা একাধিক ‘মিথ্যা মামলার’ প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে ২২ জন ভুক্তভোগীর পক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামের খাজা আহাম্মেদ (৫২)।
লিখিত বক্তব্যে খাজা আহাম্মেদ বলেন, ‘আমি খাজা আহাম্মেদসহ আমাদের গ্রামের আরও ২০ জনের অধিক গোবিন্দহুদা গ্রামের বাসিন্দা চুয়াডাঙ্গা সদর সহকারী জজ কোর্টের সেরেস্তাদার নূরুল হকের দ্বারা মিথ্যা মামরার শিকার হচ্ছি। মৃত বরকত মন্ডলের ছেলে নুরুল হক চুয়াডাঙ্গা সদর সহকারী জজ কোর্টের সেরেস্তাদার। তিনি একজন ভূমিদস্যু, মামলাবাজ এবং চক্রান্তকারী ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে আদালতে প্রভাব খাটিয়ে নিজ স্বার্থে মিথ্যা মামলা ও জেলের ভয় দেখিয়ে গ্রামের নিরীহ মানুষদের হয়রানি করে আসছে। গত ১৫ বছর ধরে সে বিভিন্নভাবে আমদেরকে হুমকি হিচ্ছে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেছে।’
খাজা আহামেদ বক্তব্যে উল্লেখ করেন, নূরুল হক ১৯৯৩ সালে তার ভগ্নি সুরাতন নেছাকে বাদী করে ৫৮/৯৩ নং বিভাগের মামলা দায়ের করে। মামলাটি নিজের পক্ষে নিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে হয়রানি শুরু করে, যা আদালতে খারিজ হয়ে যায়। এরপরও নতুন নতুন মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্ন জনকে হয়রানি করেছে। এছাড়া ২০১২ সালে মাহতাব হোসেন নামে এক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা দায়ের করলে নূরুল হক পাল্টা চাঁদাবাজির মামলা করে প্রতিপক্ষকে জেল হাজতে পাঠায়। নূরুল হক আদালতে প্রভাব খাটিয়ে মামলা থেকে সুবিধা নিয়ে প্রতিপক্ষের ১০ বিঘা জমি দখল করে নেয় এবং তা থেকে লক্ষাধিক টাকার আম, মেহগনি ও শিশু গাছ কেটে নেয়।
খাজা আহাম্মেদ অভিযোগ করে বলেন, ‘মসজিদের তহবিলের ৬ লক্ষ টাকার হিসাব চাইলে নূরুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়। আমরা এখন তার দখলে থাকা ৬ বিঘা জমি উদ্ধারের দাবি জানাই এবং তার মিথ্যা মামলার হাত থেকে পরিত্রাণ চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অন্যরা নূরুল হকের দখলদারিত্ব ও মিথ্যা মামলাজনিত হয়রানির বিষয়ে অভিযোগ তুলে ধরেন এবং যথাযথ আইনি পদক্ষেপের দাবি জানান।