ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আলমডাঙ্গায় বিভিন্ন মন্দিরে নগদ অর্থ বিতরণকালে বিএনপি নেতা শরীফ

কেউ ‘সংখ্যালঘু’ নয়, আমরা সবাই মানুষ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৮৫ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেছেন, ‘হিন্দু-মুসলিম সবাই ভাই ভাই, এখানে কোনো ভেদাভেদ নেই। যে বিভেদ তৈরি করেছে, সেটি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ফায়দার জন্য। আওয়ামী লীগ তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই বিভেদ সৃষ্টি করে রেখেছে। আমরা এই বিভেদ ভেঙে দিতে চাই। যদি কেউ আবারো বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।’
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আলমডাঙ্গা উপজেলার ৩১টি দুর্গাপূজা মন্দিরের সভাপতি ও সম্পাদকদের হাতে নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল রোববার বিকেলে আলমডাঙ্গা পান্না কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আক্তার হোসেন জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার দুর্গাপূজা আরও বেশি আনন্দঘন পরিবেশে ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা চাইলে দুর্গা উৎসবে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করতে পারেন। এই দল পূজার সময় মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচল ও নিরাপত্তায় কাজ করবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে এই স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হবে, যাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মুক্ত মনে তাদের উৎসব পালন করতে পারে।’
শরীফ আরও বলেন, ‘আলমডাঙ্গা উপজেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং তাদের গ্রাহকদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ মুসলিম। তাই আমি সকল হিন্দু ব্যবসায়ীদের বলছি, যদি আপনারা ব্যবসায় কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন, তবে তা আমাকে জানাবেন।’ তিনি বর্তমানে দেশের মানুষের মুক্ত স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতার বিষয়ে আলোকপাত করে আরও বলেন, ‘এখন মানুষ তাদের বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে, এটিকে কোনোভাবেই হারাতে দেওয়া যাবে না। এই বৈষম্যবিরোধী দেশে ‘সংখ্যালঘু’ বলতে কোনো শব্দ থাকবে না। মনে রাখতে হবে, আমরা সবাই মানুষ, এটি আমাদের বড় পরিচয়।’ এসময় তিনি দেশনায়ক তারেক রহমানের উপহার হিসেবে উপজেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার সিংহ, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক সুরেশ কুমার আগরওয়ালা, সদস্যসচিব উত্তম রঞ্জন দেবনাথ, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিণ্টু, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য এমদাদুল হক ডাবু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিথা, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিন্দ্রনাথ দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক বিশ^জিৎ সাধুখাঁ।
এছাড়াও অতিথি ছিলেন জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সদস্য হিরালাল দোবে, পরিমল কুমার ঘোষ কালু, আলমডাঙ্গা রথযাত্রা কমিটির সভাপতি সুশীল কুমার ভৌতিকা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত কুমার সিংহ রায়, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিনিধি অসীম কুমার সাহা ও আলমডাঙ্গা পৌর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিপন কুমার বিশ্বাস।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক মহাবুল হক মাস্টার, পৌর বিএনপির সাংগঠনকি সম্পাদক আলী আজগর সাচ্চু, পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ মালিথা, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মীর আসাদুজ্জামান উজ্জ্বল, সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম, পৌর যুবদলের সদস্যসচিব সাইফুদ্দিন কনক, যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল কাদের, হাফিজুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এমদাদ হোসেন, সদস্যসচিব রাজিব আহমেদ রাজু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের কামরুজ্জামান হিমেল, সদস্যসচিব জাকারিয়া ইসলাম শান্ত, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শুভ, সদস্যসচিব আল ইমরান রাসেল, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিক হাসান রিংকু, সদস্যসচিব মাহমুদুল হাসান তন্ময়, যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান রাজুসহ উপজেলা, পৌর ও ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আলমডাঙ্গায় বিভিন্ন মন্দিরে নগদ অর্থ বিতরণকালে বিএনপি নেতা শরীফ

কেউ ‘সংখ্যালঘু’ নয়, আমরা সবাই মানুষ

আপলোড টাইম : ০৯:২৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেছেন, ‘হিন্দু-মুসলিম সবাই ভাই ভাই, এখানে কোনো ভেদাভেদ নেই। যে বিভেদ তৈরি করেছে, সেটি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ফায়দার জন্য। আওয়ামী লীগ তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই বিভেদ সৃষ্টি করে রেখেছে। আমরা এই বিভেদ ভেঙে দিতে চাই। যদি কেউ আবারো বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।’
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আলমডাঙ্গা উপজেলার ৩১টি দুর্গাপূজা মন্দিরের সভাপতি ও সম্পাদকদের হাতে নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল রোববার বিকেলে আলমডাঙ্গা পান্না কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আক্তার হোসেন জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার দুর্গাপূজা আরও বেশি আনন্দঘন পরিবেশে ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা চাইলে দুর্গা উৎসবে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করতে পারেন। এই দল পূজার সময় মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচল ও নিরাপত্তায় কাজ করবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে এই স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হবে, যাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মুক্ত মনে তাদের উৎসব পালন করতে পারে।’
শরীফ আরও বলেন, ‘আলমডাঙ্গা উপজেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং তাদের গ্রাহকদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ মুসলিম। তাই আমি সকল হিন্দু ব্যবসায়ীদের বলছি, যদি আপনারা ব্যবসায় কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন, তবে তা আমাকে জানাবেন।’ তিনি বর্তমানে দেশের মানুষের মুক্ত স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতার বিষয়ে আলোকপাত করে আরও বলেন, ‘এখন মানুষ তাদের বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে, এটিকে কোনোভাবেই হারাতে দেওয়া যাবে না। এই বৈষম্যবিরোধী দেশে ‘সংখ্যালঘু’ বলতে কোনো শব্দ থাকবে না। মনে রাখতে হবে, আমরা সবাই মানুষ, এটি আমাদের বড় পরিচয়।’ এসময় তিনি দেশনায়ক তারেক রহমানের উপহার হিসেবে উপজেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার সিংহ, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক সুরেশ কুমার আগরওয়ালা, সদস্যসচিব উত্তম রঞ্জন দেবনাথ, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিণ্টু, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য এমদাদুল হক ডাবু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিথা, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিন্দ্রনাথ দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক বিশ^জিৎ সাধুখাঁ।
এছাড়াও অতিথি ছিলেন জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সদস্য হিরালাল দোবে, পরিমল কুমার ঘোষ কালু, আলমডাঙ্গা রথযাত্রা কমিটির সভাপতি সুশীল কুমার ভৌতিকা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত কুমার সিংহ রায়, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিনিধি অসীম কুমার সাহা ও আলমডাঙ্গা পৌর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিপন কুমার বিশ্বাস।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক মহাবুল হক মাস্টার, পৌর বিএনপির সাংগঠনকি সম্পাদক আলী আজগর সাচ্চু, পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ মালিথা, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মীর আসাদুজ্জামান উজ্জ্বল, সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম, পৌর যুবদলের সদস্যসচিব সাইফুদ্দিন কনক, যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল কাদের, হাফিজুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এমদাদ হোসেন, সদস্যসচিব রাজিব আহমেদ রাজু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের কামরুজ্জামান হিমেল, সদস্যসচিব জাকারিয়া ইসলাম শান্ত, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শুভ, সদস্যসচিব আল ইমরান রাসেল, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিক হাসান রিংকু, সদস্যসচিব মাহমুদুল হাসান তন্ময়, যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান রাজুসহ উপজেলা, পৌর ও ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।