ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আলমডাঙ্গায় চালককে হত্যার পর পাখিভ্যান ছিনতাই

নিখোঁজের ৩ দিন পর ডোবায় মিলল মরদেহ

প্রতিবেদক, আসমানখালী:
  • আপলোড টাইম : ১০:৩২:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৭০ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গায় আলমগীর হোসেন (৪০) নামে এক পাখিভ্যান (ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান) চালককে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের আইন্দিপুর গ্রামের ভাইমারা খাল সংলগ্ন একটি ডোবা থেকে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত বুধবার পাখিভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন আলমগীর হোসেন। তিনি উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। পুলিশের ধারণা, পাখিভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল আটটার দিকে আইন্দিপুর গ্রামে পানবরজে কাজ করার সময় কয়েকজন কৃষক ভাইমারা খাল সংলগ্ন ডোবায় একটি মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। তারাই মৃতদেহটি পাখিভ্যান চালক আলমগীর হোসেনের বলে সনাক্ত করে ও তার পরিবারের সদস্যদের জানায়। খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতের মেজ ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় পাখিভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন আলমগীর হোসেন। রাতে বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পায়নি। পরে বৃহস্পতিবার তার নিখোঁজের বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। শুক্রবার সকালে খবর পায় আইন্দিপুরে আলমগীরের লাশ পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাইয়ের গলায় রশি পেঁচানো ছিল। তাকে যারা হত্যা করেছে. তাদের বিচার চাই।’

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, পাখিভ্যান চালক আলমগীর হোসেন নিখোঁজের বিষয়ে বৃহস্পতিবার থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করে। আমরা সাধারণ ডায়েরিটি আমলে নিয়ে তাকে খুঁজতে শুরু করি। এরই মধ্যে আজ (শুক্রবার) সকালে খবর পাই তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে পাখিভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সাধারণ ডায়েরিটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মৃতদেহের গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় ছিল। যা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ডোবাই ফেলা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার পাখিভ্যানটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িত এক বা একাধিক ব্যক্তি যেই হোক, আমরা গ্রেপ্তারে কাজ করছি।

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আলমডাঙ্গায় চালককে হত্যার পর পাখিভ্যান ছিনতাই

নিখোঁজের ৩ দিন পর ডোবায় মিলল মরদেহ

আপলোড টাইম : ১০:৩২:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গায় আলমগীর হোসেন (৪০) নামে এক পাখিভ্যান (ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান) চালককে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের আইন্দিপুর গ্রামের ভাইমারা খাল সংলগ্ন একটি ডোবা থেকে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত বুধবার পাখিভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন আলমগীর হোসেন। তিনি উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। পুলিশের ধারণা, পাখিভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল আটটার দিকে আইন্দিপুর গ্রামে পানবরজে কাজ করার সময় কয়েকজন কৃষক ভাইমারা খাল সংলগ্ন ডোবায় একটি মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। তারাই মৃতদেহটি পাখিভ্যান চালক আলমগীর হোসেনের বলে সনাক্ত করে ও তার পরিবারের সদস্যদের জানায়। খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতের মেজ ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় পাখিভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন আলমগীর হোসেন। রাতে বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পায়নি। পরে বৃহস্পতিবার তার নিখোঁজের বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। শুক্রবার সকালে খবর পায় আইন্দিপুরে আলমগীরের লাশ পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাইয়ের গলায় রশি পেঁচানো ছিল। তাকে যারা হত্যা করেছে. তাদের বিচার চাই।’

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, পাখিভ্যান চালক আলমগীর হোসেন নিখোঁজের বিষয়ে বৃহস্পতিবার থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করে। আমরা সাধারণ ডায়েরিটি আমলে নিয়ে তাকে খুঁজতে শুরু করি। এরই মধ্যে আজ (শুক্রবার) সকালে খবর পাই তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে পাখিভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সাধারণ ডায়েরিটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মৃতদেহের গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় ছিল। যা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ডোবাই ফেলা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার পাখিভ্যানটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িত এক বা একাধিক ব্যক্তি যেই হোক, আমরা গ্রেপ্তারে কাজ করছি।