ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখমের ঘটনা

অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে স্কুল ঘেরাও

প্রতিবেদক,হিজলগাড়ী:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪০:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৮৯ বার পড়া হয়েছে

হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম ও শ্রেণিকক্ষে অশ্লীল মন্তব্যের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিলের বিচার দাবিতে স্কুল ঘেরাও করেছে উত্তেজিত জনতা। এসময় তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে স্লোগান দেয়। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এনটিআরসির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে এক মাস আগে যোগদান করেন তিতুদহ গ্রামের শাকিল হোসেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি ফিল্মি স্টাইলে স্কুলে আসা-যাওয়া ও শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকেন। গত বুধবার দশম শ্রেণিতে ক্লাস নিতে গিয়ে তিনি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সামনে বলেন, ‘আমি কিন্তু রাতে লুঙ্গি ছাড়া ঘুমাই। ছাত্রীরা তোমরা অনুভব করো তো তখন আমাকে দেখতে কেমন লাগে?’ এছাড়াও আরও কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন। এরপর তিনি নবম শ্রেণির ক্লাস নিতে গিয়ে ক্লাসের ৬ জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিট করেন। এ ঘটনায় এলাকার অভিভাবক মহলে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে স্কুল চলাকালীন সময়ে একদল বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা স্কুলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিলের শাস্তির দাবি তোলেন। এসময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন স্বপন বিষয়টি মোবাইলের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিক্ষা অফিসারের সাথে আলোচনা করে দ্রুত অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত জনতা বিলম্বিত বিচার না করে তাৎক্ষণিক বিচারের দাবি জানান। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক ও এলাকার সুধিমহল উপস্থিত সকালের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এ বিষয়ে হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন স্বপন বলেন, আগামী রোববার শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ঘটনার বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখমের ঘটনা

অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে স্কুল ঘেরাও

আপলোড টাইম : ০৯:৪০:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম ও শ্রেণিকক্ষে অশ্লীল মন্তব্যের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিলের বিচার দাবিতে স্কুল ঘেরাও করেছে উত্তেজিত জনতা। এসময় তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে স্লোগান দেয়। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এনটিআরসির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে এক মাস আগে যোগদান করেন তিতুদহ গ্রামের শাকিল হোসেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি ফিল্মি স্টাইলে স্কুলে আসা-যাওয়া ও শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকেন। গত বুধবার দশম শ্রেণিতে ক্লাস নিতে গিয়ে তিনি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সামনে বলেন, ‘আমি কিন্তু রাতে লুঙ্গি ছাড়া ঘুমাই। ছাত্রীরা তোমরা অনুভব করো তো তখন আমাকে দেখতে কেমন লাগে?’ এছাড়াও আরও কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন। এরপর তিনি নবম শ্রেণির ক্লাস নিতে গিয়ে ক্লাসের ৬ জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিট করেন। এ ঘটনায় এলাকার অভিভাবক মহলে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে স্কুল চলাকালীন সময়ে একদল বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা স্কুলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিলের শাস্তির দাবি তোলেন। এসময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন স্বপন বিষয়টি মোবাইলের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিক্ষা অফিসারের সাথে আলোচনা করে দ্রুত অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত জনতা বিলম্বিত বিচার না করে তাৎক্ষণিক বিচারের দাবি জানান। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক ও এলাকার সুধিমহল উপস্থিত সকালের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এ বিষয়ে হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন স্বপন বলেন, আগামী রোববার শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ঘটনার বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন।