ইপেপার । আজ শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও ৬ শিক্ষাথীকে পিটিয়ে আহত

প্রতিবেদক, হিজলগাড়ী:
  • আপলোড টাইম : ১২:২৪:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৫৭ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সদ্য যোগদানকৃত শিক্ষক শাকিল হোসেনের বিরুদ্ধে ক্লাসে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও ছয় শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন। শিক্ষকের আচরণে অভিভাবক মহলে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে ইউএনও’র কাছে দাবি জানানো হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের ছবি

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক মাস আগে এনটিআরসির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন তিতুদহ গ্রামের শাকিল হোসেন। তবে যোগদানের পর থেকেই তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, গতকাল বুধবার দশম শ্রেণিতে ক্লাস নেওয়ার সময় তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। পরে নবম শ্রেণির ভোকেশনাল বিভাগে ক্লাস নেওয়ার সময় ছয় শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেন। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা নিজেদের অভিভাবকদের ঘটনাটি জানান। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আকাশ মিয়া, হুসাইন, মো. আজমাইন, আলহাজসহ আরও দুজন রয়েছে।

অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে হিজলগাড়ী পুলিশ ক্যাম্পে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা একত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে এক ছাত্রীর অভিভাবক নুর নবী গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষকের আচরণ হবে শিক্ষকের ন্যায়। কিন্তু শিক্ষক শাকিলের আচরণ শিক্ষার্থীদের ওপর বাজে প্রভাব ফেলছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। স্যার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিষয়ে হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি একটি সভায় থাকায় ঘটনার সময় স্কুলে ছিলাম না। বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগ পেয়েছেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

এদিকে, বিষয়টি সম্পর্কে মতামত জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন যে, শিক্ষক শাকিল ছাত্রীদের কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত ও তাদের সঙ্গে নানা ধরনের উত্ত্যাক্তমূলক আচরণ করতেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও ৬ শিক্ষাথীকে পিটিয়ে আহত

আপলোড টাইম : ১২:২৪:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সদ্য যোগদানকৃত শিক্ষক শাকিল হোসেনের বিরুদ্ধে ক্লাসে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও ছয় শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন। শিক্ষকের আচরণে অভিভাবক মহলে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে ইউএনও’র কাছে দাবি জানানো হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের ছবি

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক মাস আগে এনটিআরসির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন তিতুদহ গ্রামের শাকিল হোসেন। তবে যোগদানের পর থেকেই তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, গতকাল বুধবার দশম শ্রেণিতে ক্লাস নেওয়ার সময় তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। পরে নবম শ্রেণির ভোকেশনাল বিভাগে ক্লাস নেওয়ার সময় ছয় শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেন। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা নিজেদের অভিভাবকদের ঘটনাটি জানান। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আকাশ মিয়া, হুসাইন, মো. আজমাইন, আলহাজসহ আরও দুজন রয়েছে।

অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে হিজলগাড়ী পুলিশ ক্যাম্পে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা একত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে এক ছাত্রীর অভিভাবক নুর নবী গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষকের আচরণ হবে শিক্ষকের ন্যায়। কিন্তু শিক্ষক শাকিলের আচরণ শিক্ষার্থীদের ওপর বাজে প্রভাব ফেলছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। স্যার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিষয়ে হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি একটি সভায় থাকায় ঘটনার সময় স্কুলে ছিলাম না। বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগ পেয়েছেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

এদিকে, বিষয়টি সম্পর্কে মতামত জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন যে, শিক্ষক শাকিল ছাত্রীদের কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত ও তাদের সঙ্গে নানা ধরনের উত্ত্যাক্তমূলক আচরণ করতেন।