ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঝিনাইদহের শৈলকুপার মিঞা জিন্নাহ আলম ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ফের তদন্তের নির্দেশ

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১২:১৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৭৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের শৈলকুপার মিঞা জিন্নাহ আলম ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক। কলেজের ইংরেজির প্রভাষক কোহিনুর আক্তারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার নওশীনা আরিফ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রভাষক কোহিনুর আক্তারের অভিযোগ, ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট তাকে কলেজের বিএম শাখায় ইংরেজি প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এসময় কলেজ উন্নয়ন ফান্ডে দেওয়ার কথা বলে কোহিনুর আক্তারের কাছ থেকে ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নেন অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম। যার মধ্যে ৭৫ হাজার টাকা অধ্যক্ষ নিজের অ্যাকাউন্টে নেন। ২০১৫ সালে বিএম শাখা থেকে সাধারণ শাখায় স্থানান্তর করার জন্য ৫ লাখ ও কলেজ জাতীয়করণের নাম করে আরও ২ লাখ টাকা নেন অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম। ২০২১ সালে মোটা টাকার বিনিময়ে কোহিনুর আক্তারকে বাদ দিয়ে ইংরেজির প্রভাষকসহ ৩ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় ব্যাক ডেটের রেজ্যুলেশন ও কাগজপত্র তৈরি করে। এই ঘটনায় শৈলকুপা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন কোহিনুর আক্তার। আদালত অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলামের বেতন-ভাতা তোলায় নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। কোহিনুর আক্তারের দায়ের করা হাইকোর্টের একটি মামলায় এই তিন শিক্ষক নিয়োগ অবৈধ বলে ঘোষিত হয়।

এরপর তরিকুল ইসলাম কোহিনুর আক্তার স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রাণনাশের পর্যন্ত হুমকি দিতে থাকেন। এদিকে সিআর ৩৮৮/২১ মামলায় তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হলে শিক্ষানীতিমালা অনুযায়ী তরিকুল ইসলামকে বরখাস্ত করার নিয়ম থাকলেও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মেরিনা খাতুন তাকে বরখাস্ত করেননি। বিভিন্ন মামলায় অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ভয়ে দ্রুত কল্যাণ ভাতা ও অবসর ভাতা উত্তোলনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাকে সহযোগিতা করছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ভরত কুমার লস্কার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মেরিনা খাতুন। এদিকে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও উমেদপুর ইউপির চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাব্দার হোসেন মোল্লা মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই কলেজের সভাপতি বানিয়ে আনেন অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম। সাব্দার হোসেন মোল্লা ও তার পরিবার এবং অধ্যক্ষ মিলে এই কলেজের বিভিন্ন খাত থেকে কয়েক কোটি টাকা লুট করেছেন বলে অভিযোগ। এলাকাবাসী তদন্ত সাপেক্ষে কলেজ সভাপতি ও সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।  

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ঝিনাইদহের শৈলকুপার মিঞা জিন্নাহ আলম ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ফের তদন্তের নির্দেশ

আপলোড টাইম : ১২:১৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

ঝিনাইদহের শৈলকুপার মিঞা জিন্নাহ আলম ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক। কলেজের ইংরেজির প্রভাষক কোহিনুর আক্তারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার নওশীনা আরিফ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রভাষক কোহিনুর আক্তারের অভিযোগ, ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট তাকে কলেজের বিএম শাখায় ইংরেজি প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এসময় কলেজ উন্নয়ন ফান্ডে দেওয়ার কথা বলে কোহিনুর আক্তারের কাছ থেকে ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নেন অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম। যার মধ্যে ৭৫ হাজার টাকা অধ্যক্ষ নিজের অ্যাকাউন্টে নেন। ২০১৫ সালে বিএম শাখা থেকে সাধারণ শাখায় স্থানান্তর করার জন্য ৫ লাখ ও কলেজ জাতীয়করণের নাম করে আরও ২ লাখ টাকা নেন অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম। ২০২১ সালে মোটা টাকার বিনিময়ে কোহিনুর আক্তারকে বাদ দিয়ে ইংরেজির প্রভাষকসহ ৩ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় ব্যাক ডেটের রেজ্যুলেশন ও কাগজপত্র তৈরি করে। এই ঘটনায় শৈলকুপা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন কোহিনুর আক্তার। আদালত অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলামের বেতন-ভাতা তোলায় নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। কোহিনুর আক্তারের দায়ের করা হাইকোর্টের একটি মামলায় এই তিন শিক্ষক নিয়োগ অবৈধ বলে ঘোষিত হয়।

এরপর তরিকুল ইসলাম কোহিনুর আক্তার স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রাণনাশের পর্যন্ত হুমকি দিতে থাকেন। এদিকে সিআর ৩৮৮/২১ মামলায় তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হলে শিক্ষানীতিমালা অনুযায়ী তরিকুল ইসলামকে বরখাস্ত করার নিয়ম থাকলেও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মেরিনা খাতুন তাকে বরখাস্ত করেননি। বিভিন্ন মামলায় অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ভয়ে দ্রুত কল্যাণ ভাতা ও অবসর ভাতা উত্তোলনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাকে সহযোগিতা করছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ভরত কুমার লস্কার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মেরিনা খাতুন। এদিকে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও উমেদপুর ইউপির চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাব্দার হোসেন মোল্লা মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই কলেজের সভাপতি বানিয়ে আনেন অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম। সাব্দার হোসেন মোল্লা ও তার পরিবার এবং অধ্যক্ষ মিলে এই কলেজের বিভিন্ন খাত থেকে কয়েক কোটি টাকা লুট করেছেন বলে অভিযোগ। এলাকাবাসী তদন্ত সাপেক্ষে কলেজ সভাপতি ও সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।