ইপেপার । আজ শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গাংনীতে কানের দুল ছিনতাই সন্দেহের তালিকায় ব্যবসায়ী

গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রতিবেদক, গাংনী:
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৬২ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের গাংনীতে কানের দুল ছিনতাইয়ের সন্দেহে হক সাহেব (৩০) নামে এক ব্যবসায়ীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের করমদী ডিগ্রি কলেজের পেছনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) করমদী মাদ্রাসাপাড়ার ইব্রাহিম হোসেনের মেয়ে প্রগতি বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি চাকু দেখিয়ে তার কানে থাকা স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেয়। বিষয়টি জানার পর পরিবারের সদস্যরা সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করতে শুরু করে এবং কৌশলে কয়েকজনকে ডেকে পাঠায়। এরপর চা-দোকানী হক সাহেবকে সন্দেহভাজন হিসেবে ডেকে নেওয়া হয় এবং করমদী ডিগ্রি কলেজের পেছনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।

ভুক্তভোগী হক সাহেব অভিযোগ করেন, তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে লোহার রড, বাঁশ এবং কাঠ দিয়ে পেটানো হয়। মারধরের সময় তাকে দোষ স্বীকারে বাধ্য করা হয় এবং ভিডিও ধারণ করা হয়। আহত হক সাহেবের শরীরে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি বলেন, পরে এলাকাবাসী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে বামুন্দী পুলিশ ক্যাম্পের এসআই শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।

এসআই শরিকুল জানান, দুল ছিনতাইয়ের অভিযোগে ইব্রাহিম থানায় মামলা করেছিলেন, কিন্তু কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এখন হক সাহেবকে সন্দেহভাজন হিসেবে মারধর করে আইনের অবমাননা করা হয়েছে।

এদিকে ইব্রাহিম খলিল জানান, তার মেয়ে হক সাহেবকে চোর হিসেবে শনাক্ত করেছিল, এ জন্যই তাকে মারধর করা হয়। তবে তিনি বেঁধে রাখার বিষয়টি স্বীকার করলেও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য তৌহিদ জানান, তিনি ঘটনাস্থলে এসে হক সাহেবকে বাঁধা অবস্থায় পেয়েছেন। তবে ঘটনার আগের অংশ সম্পর্কে কিছু জানেন না।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, আহত হক সাহেবকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং তাকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মারধরের বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং এর যথাযথ বিচার করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

গাংনীতে কানের দুল ছিনতাই সন্দেহের তালিকায় ব্যবসায়ী

গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১০:৫৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

মেহেরপুরের গাংনীতে কানের দুল ছিনতাইয়ের সন্দেহে হক সাহেব (৩০) নামে এক ব্যবসায়ীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের করমদী ডিগ্রি কলেজের পেছনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) করমদী মাদ্রাসাপাড়ার ইব্রাহিম হোসেনের মেয়ে প্রগতি বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি চাকু দেখিয়ে তার কানে থাকা স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেয়। বিষয়টি জানার পর পরিবারের সদস্যরা সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করতে শুরু করে এবং কৌশলে কয়েকজনকে ডেকে পাঠায়। এরপর চা-দোকানী হক সাহেবকে সন্দেহভাজন হিসেবে ডেকে নেওয়া হয় এবং করমদী ডিগ্রি কলেজের পেছনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।

ভুক্তভোগী হক সাহেব অভিযোগ করেন, তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে লোহার রড, বাঁশ এবং কাঠ দিয়ে পেটানো হয়। মারধরের সময় তাকে দোষ স্বীকারে বাধ্য করা হয় এবং ভিডিও ধারণ করা হয়। আহত হক সাহেবের শরীরে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি বলেন, পরে এলাকাবাসী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে বামুন্দী পুলিশ ক্যাম্পের এসআই শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।

এসআই শরিকুল জানান, দুল ছিনতাইয়ের অভিযোগে ইব্রাহিম থানায় মামলা করেছিলেন, কিন্তু কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এখন হক সাহেবকে সন্দেহভাজন হিসেবে মারধর করে আইনের অবমাননা করা হয়েছে।

এদিকে ইব্রাহিম খলিল জানান, তার মেয়ে হক সাহেবকে চোর হিসেবে শনাক্ত করেছিল, এ জন্যই তাকে মারধর করা হয়। তবে তিনি বেঁধে রাখার বিষয়টি স্বীকার করলেও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য তৌহিদ জানান, তিনি ঘটনাস্থলে এসে হক সাহেবকে বাঁধা অবস্থায় পেয়েছেন। তবে ঘটনার আগের অংশ সম্পর্কে কিছু জানেন না।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, আহত হক সাহেবকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং তাকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মারধরের বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং এর যথাযথ বিচার করা হবে।