জীবননগর মাধবখালীতে কয়েক দফায় গাছ চুরি ও মারধরের ঘটনা
লিখিত অভিযোগ হলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ
- আপলোড টাইম : ০৪:১৫:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩০ বার পড়া হয়েছে
জীবননগর উপজেলার মাধবখালী গ্রামের মো. ফজলুর রহমান ও তার ভাই-ভাগনদের মধ্যে জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নম্বর ৬৫/২০২৪। আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের প্রতিবেদনে দখলানুসারে উভয়পক্ষকে নালিশি জমিতে স্ব-স্ব অবস্থানে শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতাবস্থা (Status-quo) বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আর আদেশের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) প্রেরণ করেছে। উপজেলা সহকারী (ভূমি) অফিসের প্রতিবেদনে দখলানুসারে মো. ফজলুর রহমানের জমি দখলে রয়েছে।
তবে আদালতের আদেশ অমান্য করে বিবাদীরা জোর করে জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েক দফা জমির গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এছাড়া মো. ফজলুর রহমান ও তার ছেলেকে বিবাদীরা কয়েক দফা মারধর করেছেন। বারবার থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সর্বশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর মামলা চলমান জমি থেকে গাছ কেটে খলিলুর রহমানের কাঠগোলায় দিতে গেলে কাঠসহ বিবাদীদের আটক করা হয়। তবে পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মো. ফজলুর রহমান থানায় মো. খলিল (৩৭), মো. ডালিম (৩০), মো. বিপুল (৩৩), মো. রাসেল (২৭), মো. চান আলী (৩০), মো. সাদ্দাম (২৫), মো. নওশের আলী (৫০), মো. মজনু (৫৫), মো. বজলু (৫২) ও মো. রকিবুল ইসলামের নামে থানায় অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিবাদী রকিবুল ইসলামসহ বিবাদীরা মামলা চলমান জমি থেকে ৮০ হাজার টাকার গাছ চুরি করে কেটে বিক্রি করেন। এ ঘটনায়ও মো. ফজলুর রহমান থানায় অভিযোগ করলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এছাড়া মো. ফজলুর রহমানের ছেলে মো. রিপনকে কয়েক দফায় মারধরের ঘটনায় দুটি জিডি এবং অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বলেন, ‘ঘটনাটির তদন্তে পুলিশের টিম পাঠানো হয়েছিল। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। আদালতে একটি মামলাও চলামান রয়েছে, যেখানে আদালতের স্থিতাবস্থার নোটিশ উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা না মানার অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ গাছ চুরির বিষয়ে ওসি জাবীদ হাসান বলেন, ‘গাছ চুরি এবং তা বিক্রির বিষয়ে কিছু তথ্য আমরা পেয়েছি। যা নিয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।’