আজ দুই জেলার দায়িত্বশীলদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা
চুয়াডাঙ্গায় এসেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান
জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়কে নেতা-কর্মীদের অবস্থান, ফুলেল শুভেচ্ছা
- আপলোড টাইম : ০৩:২২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ২৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় এসেছেন। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনি চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছান। তিনি আজ শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টায় চুয়াডাঙ্গা সাহিদ প্যালেসে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার কর্মপরিষদ সদস্য ও দায়িত্বশীলদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
এর আগে খুলনা থেকে সড়ক পথে আমিরে জামায়াত চুয়াডাঙ্গা হোটেল সাহিদ প্যালেসে পৌঁছালে জেলা জামায়াতের আমির অ্যাড. রুহুল আমিনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। জামায়াতে আমিরের আগমন উপলক্ষে বিকেল থেকেই দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী হোটেল সাহিদ প্যালেসের সামনে অবস্থান নেয়। তারা এসময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান গাড়ি থেকে নেমে নেতা-কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছাবিনিময় করে সরাসরি হোটেল লবিতে চলে যান। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও অঞ্চল পরিচালক (যশোর-কুষ্টিয়া) মোবারক হুসাইন।
আমিরে জামায়াতকে স্বাগত জানাতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির তাজউদ্দিন খান, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাড. আসাদুজ্জামান, নায়েবে আমির মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল, আব্দুল কাদের, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আনোয়ারুল হক মালিক প্রমুখ।
এদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জীবননগর উপজেলা জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোর হয়ে চুয়াডাঙ্গায় যাওয়ার পথে জীবননগর বাসস্টান্ডে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান নেতা-কর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মো. সাখাওয়াত হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি হাফেজ বেলাল হোসেন, পৌর জামায়াতের আমির ফিরোজ হোসেনসহ উপজেলা জামায়াতে ইসলামী, যুব জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের চুয়াডাঙ্গায় যাত্রাপথে দর্শনায় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার মাগরিবের পর থেকে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের গোলচত্বরে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা একত্রিত হতে শুরু করেন। বাদ এশা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য শুরু হয়। দর্শনা থানা জামায়াতের নেতারা তৃণমূল কর্মীদের সুশৃঙ্খলভাবে অপেক্ষা করার নির্দেশ দেন। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় আমির অল্প সময়ের মধ্যেই এসে তাদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন।
নেতাদের বারবার এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তৃণমূল কর্মীরা কেন্দ্রীয় আমিরের সরাসরি দেখা ও বক্তব্য শোনার আশায় প্রায় আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করেন। তবে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান দর্শনায় পৌঁছালে কোনো প্রোটোকল ছাড়াই তিনি চলমান গাড়িতে হাত নেড়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে চলে যান। যা অনেকের মধ্যে অসন্তোষেরও জন্ম দেয়। পরে দলের সিনিয়র নেতারা জানান, ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গার জেলা পর্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন, তাই তিনি দর্শনায় সময় দিতে পারেননি। তবে ভবিষ্যতে তিনি আবারও তাদের মাঝে উপস্থিত হবেন, এমন আশ্বাস দেন। উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গায় একটি সভায় অংশ নিতে যাওয়ার পথে বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান রাত সাড়ে ১০টার পর দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড পৌঁছান। এবং সেখানে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। তিনি চলন্ত গাড়ি থেকে হাত তুলে সকলের প্রতি শুভেচ্ছা জানান।
স্থানীয়রা জানান, ডা. শফিকুর রহমানের চুয়াডাঙ্গা সফরের খবর পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতের নেতা-কর্মীরা এশার নামাজের পর থেকে রাস্তার পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াতে শুরু করেন। তারা কেন্দ্রীয় নেতাকে স্বচক্ষে দেখার জন্য রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। রাত সাড়ে ১০টার পরে ডা. শফিকুর রহমানের গাড়িটি পৌঁছালে নেতা-কর্মীরা স্লোগানে পুরে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এলাকা মুখরিত করে তোলে। কেন্দ্রীয় নেতা এসময় কর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত তুলে শুভেচ্ছা জানাতে জানাতে বাসস্ট্যান্ড এলাকা পার হন। দামুড়হুদা থানা পুলিশের একটি গাড়ি তাঁকে প্রটোকলের মাধ্যমে নিরাপদে বাসস্ট্যান্ড অতিক্রম করান।