ইপেপার । আজ শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগরে ভুয়া অ্যাপস দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র

বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার ১২০ জন গ্রাহক

জীবননগর অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:১১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

oppo_0

জীবননগরে ‘সিমেন্স এনার্জি’ অনলাইন বিজনেসের নাম করে ভুয়া অ্যাপস দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া ‘প্রতারক চক্রের মূলহোতা’ ইদ্রিস আলীকে আটক করছে জনতা। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে জীবননগর পৌরসভার লক্ষ্মীপুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করেন প্রতারণার শিকার হওয়া বেশ কয়েকজন যুবক। ইদ্রিস আলী যশোর জেলার নওয়াপাড়া উপজেলার বৌ বাজার এলাকার মৃত জোনাব আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘ ১২ বছর জীবননগর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়া বাসায় থাকেন।

ভুক্তভোগী সবুজ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে যখন একটা অ্যাপস দেওয়া হয়, তখন বলে এখানে যা টাকা দিবে, সেই টাকা জমা থাকবে, তার থেকে প্রতিদিন কমিশন পাবে। আমি তার কথা মতো ১৫ হাজার টাকা বিকাশ করি। সে আমাকে তার পরের দিন ১ হাজার টাকা ব্যাক দেয়। এভাবে দুই থেকে তিন দিন টাকা দেয়। পরে আর কোনো সন্ধান নেই। পরে জানতে পারলাম এটি একটি প্রতারক চক্র। তারা এইভাবে এলাকার বেশকিছু তরুণসহ সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রতারণা করছে।’

একই অভিযোগ করেন হাফিজুর। তিনি বলেন, ‘একজন হুজুর মানুষ প্রতারণা করবে এটা ভাবতে পারিনি। তাকে বিশ্বাস করে আমি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। সে আমার সব টাকা মেরে দিয়েছে। অনেক দিন পর তাকে খুঁজে পেলাম। আমরা কিছু চাই না, শুধু আমাদের টাকা ফেরত চাই এবং এই প্রতারকের সাথে যারা জড়িত আছে, তাদের বিচার চাই।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইদ্রিস আলী লেবাস লাগিয়ে জীবননগর বাজারে একটি প্রতারক চক্র তৈরি করেছেন। তার সাথে বেশকিছু লেবাসধারী আছে। তারা বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেয়ে বিভিন্ন ধরনের ফতুয়া দিয়ে আসেন এবং সেই সুযোগে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। ইতোমধ্যেই তারা সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের তথ্যনুযায়ী ১২০ জন গ্রাহক আছে।

এ বিষয়ে প্রতারক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘আমরা যে অ্যাপস দিয়ে কাজ করতাম, সেই সাইডটা গত শুক্রবার থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। এখানে ১২০ জন গ্রাহক আছে। তবে এর সাথে আমি একা জড়িত না। আমার সাথে চঞ্চল ডাক্তার ওরফে চয়ন, বাবু, শাহাবুল মাস্টারসহ বেশ কয়েকজন আছে। আমি যা টাকা নিয়েছি, এটা আমি ভুল করেছি। আমি সব ফেরত দেব।’

জীবননগর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জামাল হোসেন খোকন বলেন, লক্ষ্মীপুর গ্রামে একজন প্রতারককে সাধারণ জনগণ আটক করেছে, এটা আমি শুনেছি।
এ বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

error: Content is protected !!

জীবননগরে ভুয়া অ্যাপস দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র

বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার ১২০ জন গ্রাহক

আপলোড টাইম : ০৯:১১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জীবননগরে ‘সিমেন্স এনার্জি’ অনলাইন বিজনেসের নাম করে ভুয়া অ্যাপস দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া ‘প্রতারক চক্রের মূলহোতা’ ইদ্রিস আলীকে আটক করছে জনতা। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে জীবননগর পৌরসভার লক্ষ্মীপুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করেন প্রতারণার শিকার হওয়া বেশ কয়েকজন যুবক। ইদ্রিস আলী যশোর জেলার নওয়াপাড়া উপজেলার বৌ বাজার এলাকার মৃত জোনাব আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘ ১২ বছর জীবননগর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়া বাসায় থাকেন।

ভুক্তভোগী সবুজ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে যখন একটা অ্যাপস দেওয়া হয়, তখন বলে এখানে যা টাকা দিবে, সেই টাকা জমা থাকবে, তার থেকে প্রতিদিন কমিশন পাবে। আমি তার কথা মতো ১৫ হাজার টাকা বিকাশ করি। সে আমাকে তার পরের দিন ১ হাজার টাকা ব্যাক দেয়। এভাবে দুই থেকে তিন দিন টাকা দেয়। পরে আর কোনো সন্ধান নেই। পরে জানতে পারলাম এটি একটি প্রতারক চক্র। তারা এইভাবে এলাকার বেশকিছু তরুণসহ সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রতারণা করছে।’

একই অভিযোগ করেন হাফিজুর। তিনি বলেন, ‘একজন হুজুর মানুষ প্রতারণা করবে এটা ভাবতে পারিনি। তাকে বিশ্বাস করে আমি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। সে আমার সব টাকা মেরে দিয়েছে। অনেক দিন পর তাকে খুঁজে পেলাম। আমরা কিছু চাই না, শুধু আমাদের টাকা ফেরত চাই এবং এই প্রতারকের সাথে যারা জড়িত আছে, তাদের বিচার চাই।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইদ্রিস আলী লেবাস লাগিয়ে জীবননগর বাজারে একটি প্রতারক চক্র তৈরি করেছেন। তার সাথে বেশকিছু লেবাসধারী আছে। তারা বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেয়ে বিভিন্ন ধরনের ফতুয়া দিয়ে আসেন এবং সেই সুযোগে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। ইতোমধ্যেই তারা সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের তথ্যনুযায়ী ১২০ জন গ্রাহক আছে।

এ বিষয়ে প্রতারক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘আমরা যে অ্যাপস দিয়ে কাজ করতাম, সেই সাইডটা গত শুক্রবার থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। এখানে ১২০ জন গ্রাহক আছে। তবে এর সাথে আমি একা জড়িত না। আমার সাথে চঞ্চল ডাক্তার ওরফে চয়ন, বাবু, শাহাবুল মাস্টারসহ বেশ কয়েকজন আছে। আমি যা টাকা নিয়েছি, এটা আমি ভুল করেছি। আমি সব ফেরত দেব।’

জীবননগর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জামাল হোসেন খোকন বলেন, লক্ষ্মীপুর গ্রামে একজন প্রতারককে সাধারণ জনগণ আটক করেছে, এটা আমি শুনেছি।
এ বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।