ইপেপার । আজ শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

গাংনীতে গোপনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন

প্রতিবাদে স্কুল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রতিবেদক, মেহেরপুর সদর:
  • আপলোড টাইম : ০১:৩৫:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৮১ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় গোপনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলায় গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন স্থানীয় বাসিন্দা রহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন নিজের অধিপত্য বিস্তার ও আওয়ামী লীগ নেতা কাথুলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সঙ্গে মোটা টাকা নিয়ে দুর্নীতিবাজ মাজহারুল ইসলাম ও তার লোকদের দিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া করছেন। ওই সকল দুর্নীতিবাজ লোকদের বিদ্যালয় কমিটিতে রাখলে বিদ্যালয় দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হবে।’ তিনি বলেন, এই অন্যায় রুখতে এলাকার মানুষ এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করছে।
একই এলাকার বাসিন্দা কামরুল হোসেন বলেন, কাথুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন থেকে এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। এতে করে শিক্ষা কার্যক্রম একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি একেবারে কমে গেছে। সরকারি বরাদ্দগুলো পকেটে ভরার জন্য তার চাচা মাজহারুল ইসলামকে সভাপতি করে গোপনে এডহক কমিটি করার প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য এডহক কমিটিতে সভাপতি হওয়ার জন্য ফরম পূরণ করে পাঠানো হয়েছে। যোগ্য মানুষ থাকলে তারাও সভাপতি হতে পারেন।
বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সুন্নত আলী, শামছুল হুন্দা বিশ্বাসসহ গাড়াবাড়িয়া গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। অভিভাবকরা অবিলম্বে আগের কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি নাম বাতিল করে এলাকার জনগণের প্রস্তাবিত প্রার্থীর নাম দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান।
কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন বলেন, বিদ্যালয়ে আগে থেকে মিজানুর রহমানের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তিনি এলাকার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা। এখানে আমার কিছু করার নেই।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ফয়সাল বিন হাসান বলেন, যদি দুর্নীতি করার উদ্দেশ্য এডহক কমিটি করা হয়ে থাকে, তাহলে সেটি বাতিল করা হবে। কোনো প্রভাবশালী মহলের কথায় কমিটি হবে না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

গাংনীতে গোপনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন

প্রতিবাদে স্কুল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ

আপলোড টাইম : ০১:৩৫:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় গোপনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলায় গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন স্থানীয় বাসিন্দা রহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন নিজের অধিপত্য বিস্তার ও আওয়ামী লীগ নেতা কাথুলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সঙ্গে মোটা টাকা নিয়ে দুর্নীতিবাজ মাজহারুল ইসলাম ও তার লোকদের দিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া করছেন। ওই সকল দুর্নীতিবাজ লোকদের বিদ্যালয় কমিটিতে রাখলে বিদ্যালয় দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হবে।’ তিনি বলেন, এই অন্যায় রুখতে এলাকার মানুষ এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করছে।
একই এলাকার বাসিন্দা কামরুল হোসেন বলেন, কাথুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন থেকে এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। এতে করে শিক্ষা কার্যক্রম একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি একেবারে কমে গেছে। সরকারি বরাদ্দগুলো পকেটে ভরার জন্য তার চাচা মাজহারুল ইসলামকে সভাপতি করে গোপনে এডহক কমিটি করার প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য এডহক কমিটিতে সভাপতি হওয়ার জন্য ফরম পূরণ করে পাঠানো হয়েছে। যোগ্য মানুষ থাকলে তারাও সভাপতি হতে পারেন।
বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সুন্নত আলী, শামছুল হুন্দা বিশ্বাসসহ গাড়াবাড়িয়া গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। অভিভাবকরা অবিলম্বে আগের কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি নাম বাতিল করে এলাকার জনগণের প্রস্তাবিত প্রার্থীর নাম দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান।
কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন বলেন, বিদ্যালয়ে আগে থেকে মিজানুর রহমানের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তিনি এলাকার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা। এখানে আমার কিছু করার নেই।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ফয়সাল বিন হাসান বলেন, যদি দুর্নীতি করার উদ্দেশ্য এডহক কমিটি করা হয়ে থাকে, তাহলে সেটি বাতিল করা হবে। কোনো প্রভাবশালী মহলের কথায় কমিটি হবে না।